শরৎ হলো, পাখির কূজন, নদীর কূলে কাশ
ঝিরিঝিরি বয়, রে হাওয়া, দোলে পাতা, বাঁশ।
মেঘমালা সব দূরে ছোটে, রাতে ওঠে চাঁদ
ভাবুক মনের ভীষণ জাগে, কবি হওয়ার সাধ।
হাঁসরা খেলে পুকুর খালে, ডুব সাঁতারের খেলা
বকের সারি পাখনা মেলে, ওড়ে সারাবেলা।
ডাহুক ডাকে, থেকে থেকে, জালে ওঠে মাছ
শিউলি ফোটে বাগান জুড়ে, সজীব সকল গাছ।
জলকে চলে গাঁয়ের বধূ, মাথায় গোঁজে ফুল
ভ্রমর মাতে গুঞ্জরণে, আহা কী আকুল!
ফড়িং লাফায় ঘাসে ঘাসে ঠিক থাকে না তাল
দৌড়ি ছোটে মাঠের দিকে, ছাগল ভেড়ার পাল।
গাছে পাকে মিষ্টি যে তাল খেতে লাগে দারুণ
দূরে বাজায় মধুর বাঁশি, রাখাল ছেলে হারুন।
পানকৌড়ি সব করছে খেলা, নিঝুম নিরালায়
দামাল ছেলে ভেলায় চড়ে, বিলের ধারে যায়।
শাপলা তুলে, শাপলা বেচে, গরীব গাঁয়ের লোক
এক নিমেষে যায়রে ঘুচে যত্ত আছে শোক।
সব মিলিয়ে, শরৎ ঋতু, ছয়টি ঋতুর রানী
ভীষণ সে যে মনোলোভা, আমরা সবাই জানি।
