এক.
প্রায় দুই বছর একই ক্লাসে স্নাতক পড়ার পর মনে হলো আমার কলেজে, ঠিক আমারই ক্লাসে একটি মেয়ে রয়েছে যার প্রেমে না পরাটা তাঁর সম্মানের পক্ষে প্রেস্টিসজনক। আমি সেই মেয়েটির প্রেমে পরলাম, শুধু তাঁর প্রেস্টিজের কথা বিবেচনা করে নয়, আমার পকেটের ভয়াবহতার কথা চিন্তা করেও আমার প্রেমে পড়তে হয়েছে। কারণটা তাহলে খুলেই বলি, আমার বন্ধুরা আমায় চ্যালেঞ্জ করেছে আমি মেয়েটাকে পটাতে পারবো না। আমি আবার কোন কিছুতে না বলিতে পারি না। বাজি ধরলাম। বাজির শর্ত, যদি আমি এই সুন্দরী মেয়েকে পটাতে না পারি, তবে পার্টি দিয়ে তাদের খাওয়াতে হবে। তাও আবার ইষ্টি কুটুম রেস্টুরেন্টে। আমি মানিব্যাগের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে রাজি হয়ে গেলাম। মেয়েটিকে প্রস্তাব দিতেই সে আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে পটে গেল। সে যাত্রায় আমি বাজিতে জিতে গেলাম।
দুই.
তাঁর নাম নীলা। দেখতে সুন্দরি। দেখতে সুন্দরি কথাটা বুঝি সহজে বর্ণনা শেষ করার মতো শব্দ হয়ে গেল। কিন্তু আমি এর চেয়ে বিশদ বর্ণনা আজ দিব না। নীলা স্কাট পড়তো। সাথে নাকের নথটা তাঁকে অপরূপ করে তুলতো। আজ সেই অপরুপ সুন্দরী নীলা আর আমি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছি আমার ঝুপড়ি ঘরের সামনে, নীলার দৃষ্টি আকাশের দিকে আর আমার দৃষ্টি নীলার মুখের দিকে। আজ ফেসবুকে নীলা চন্দ্রগ্রহণের কথা শুনেছে। নীলার ধারণা চাঁদ যখন তাঁর প্রিয়জনের কাছে কিছু চায় আর সেটা পায় না তখন সে কাঁদে আর এ সময় চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। মূলত চাঁদের লুকিয়ে লুকিয়ে কান্নাটা না কি চন্দ্রগ্রহণ। আমি নীলার সরলতায় মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থেকে ভাবি, কে বেশী সুন্দর।!।
তিন.
আজকাল প্রায় দিন বাসায় পার্টি দিতে হয়, এবং দিয়েও যাচ্ছি রোজ, বন্ধুরা আসছে যে যখন সময় পায়, যার যার মতো রান্নাঘর থেকেও খাবার নিয়ে খাচ্ছে কারণ নীলা না কি তাদের বলেছে এটা তাঁদের নিজেদের বাড়ি মনে করতে।
একদিনের পার্টি দেওয়ার ভয়ে থাকা এই আমার বাসায় আজ সারা জীবনের পার্টি হচ্ছে। আর ম্যানিব্যাগ (?) সেটা এখন আর ব্যবহার করি না। নীলার দাবী সে হোম মিনিস্টার, আর অর্থ খাত নীলার দখলে।
উচ্চমূল্যের বাজারে মাঝেমাঝে মনে হয়,সেদিন জিতে গিয়েও হেরে গেছি।
অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া
ReplyDeleteকমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। বর্ণপ্রপাতের সাথে থাকুন। নিয়মিত লেখুন - পড়ুন।
Deleteঅসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া
ReplyDeleteমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বর্ণপ্রপাতের সাথে থাকুন।
Deleteভালো লাগলো
ReplyDeleteমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
Delete