অজান্তেই শরীরের দাগগুলো
গভীর বিন্দুতে চলে গেছে,
বিকেলের কশেরুকা ছেড়ে গেছে চঞ্চল চড়ুই।
প্রকৃতির নিপুণ নিয়মে প্রাণের সুরেলীকাঁটায় বেজে চলেছে নিখাদ পূরবী।
একাকী লাস্যময়ী মেঘমল্লারে
আষাঢ়ের চিবুক ছুঁয়েছিল পরম যত্নে,
এবং সুশীলশুভ্র আঁচলের মতো বকফুল ছড়িয়ে দিয়েছিল আকাশের আস্তিনে,
অতিভূজীয় গতিপ্রকৃতি মেনেছিলো রোজকার মহাকাশ।
নির্ভার ভোর হাসিমুখে দাঁড়ায় আমার নিরাসক্তির শ্যাওলা ধরা উঠোনে।
তাড়া খাওয়া কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে পালায় সুপ্তসুখের খুটিনাটি,
শামুকের খোলসের বাইরে জন্মোৎসবের আমীষীয় আঘ্রাণ লেগেছে,
আর আমি নেতিয়ে পড়া ধুন্দলের লতা হয়ে ঝুলছি---
বাতিল একটা জীর্ণ ডালের ভরসায়।