অগ্নিঝরা ৭ই মার্চ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ ৷
ঐতিহাসিক রমনা’র রেসকোর্স ময়দানে জনসমুদ্র, এক অবিস্মরণীয় দিন ৷
বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে জালাময়ী ভাষণ ৷
"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ৷"
উত্তাল পূর্ব পাকিস্তান ৷
নির্যাতিত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষ মুক্তির জন্য তীব্রভাবে আন্দোলিত হয় ৷
পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ স্পৃহাকে শাণিত করে ৷
রৌদ্রদগ্ধ চেতনা ও আকাঙ্খাকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে ৷
অধিকার বঞ্চিত বাঙালি জাতি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে৷
বঙ্গবন্ধুর সতর্ক কৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা ও দিকনির্দেশনা ৷
সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে ঐক্যবদ্ধ জাতি।
মুক্তিকামী মানুষের মননে সৃষ্টি হয় দ্রোহের মহাপ্লাবন ৷
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুপ্রেরণা ও সাহস জাগিয়ে তোলে ৷
দুর্নিবার লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় গড়ে উঠে ৷
বঙ্গবন্ধুর দরাজ কণ্ঠের কালজয়ী ভাষণ বাঙালির রক্তে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷
যার পরিণতি— রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ৷
১৬ই ডিসেম্বর বীর বাঙালি জাতি আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ৷
পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ ৷
বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ঘটে এবং রচিত হয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও আত্মপরিচয়ের ইতিহাস ৷
যার স্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান এবং এটি তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ৷
বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য সত্তা ৷
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মহান স্বাধীনতার অনন্য দলিল ৷
অসাধারণ বাগ্মিতা, দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে বঙ্গবন্ধু এ ভাষণে বাঙালি জাতির আবেগ-অনুভূতি-স্বপ্ন-আকাঙ্খাকে তুলে ধরেন ৷
১৩টি ভাষায় অনূদিত ভাষণটি পৃথিবীর অন্যতম, উজ্জীবনী, ধ্রুপদী এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ৷
বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য, মানবজাতির অমূল্য সম্পদ এবং এক মহাকাব্য ৷
যুগে যুগে বাঙালি জাতিসহ সকল মুক্তিকামী মানুষকে শক্তি, সাহস, দৃঢ়তা ও অনুপ্রেরণা যোগাবে ৷
এটি সার্বজনীন এবং শাশ্বত ৷
জয় বাংলার জয় ৷৷
আমার রচিত "ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ" কবিতাটি আজকে বর্ণপ্রপাত বাংলা সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানিত সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ৷
ReplyDelete