তোমার ভিতরে দেখগো
প্রিয় আমারও বসবাস
অস্তিত্বে মিশে আছি যে
ক্ষণে ক্ষণে পলে পলে।
অনুভূত হও সর্বত্র জুড়ে
শিরা উপশিরায় শক্তির
উৎস রক্ত কণিকায় প্রবহমান
আঁখির পানে আঁখি রাখিয়া কও।
বিশ্ব জগত দেখতে চাই ঘুরিয়া
হস্ত যুগল ধরে হারাবো এবার
তেপান্তরের শেষ প্রান্তে একা
নয় তুমি সাথী হবে স্বপ্ন দেখে।
স্বপ্নের পৃথিবী সাজাতে কত শত
আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সারা দিন মান
হৃদয়ের ভালোবাসা হয় না কভু অম্লান
মনের ঘরে যতন করে আঁকি তার ছবি।
দিবসে নিশিতে আপন মনে তাকে ভাবি
নদী পাহাড় ফুল বন কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ
মেখেছি হৃদয় মন্দিরে কর্ণ কুহুরে বাজে
তব নামের বাঁশি ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসি।
পাইতে তোমার দর্শন মন করে আন চান
তোমার বুকের বাম পাঁজরে একটু উপরে
অবহেলায় অবজ্ঞেয় ভুলে থাকতে যেয়ে
বার বার তার কাছে ফিরে আসার কারণ কি?
সঠিক বোধগম্য হয়নি ভুল করে স্মরণ করে
বুক ভাঙ্গার শব্দ নেই মন ভাঙ্গার অব্যক্ত মানে
নীরবে নিভৃতে বুক চাপড়ে ক্রন্দন বড় ব্যথা রয়
ভুল করে ফিরে আসেনি কিছুটা সময় প্রার্থনা ছিল।
জল স্রোত সাগরে উজ্জ্বল উচ্ছলতা পতিত নয়তো
চোখের নীরব ভাষা কিছু না বলা কথা ছিলো বুঝিনি
কি কারণে মনে হয়নি পড়ন্ত বেলায় এসো খোঁজনি
তোমার সুখের হিল্লোলে অপ্রাপ্তির আত্মচিৎকার শুনি।
মুখ ফুটে সকল বন্ধন ছিন্ন করে বলছো ভালোবাসি
প্রাণের স্পন্দন ফিরে পেতে বন্ধুর এখন ছুটে আসি
লুকিয়ে রাখো হৃদ মাজারে বাহু ডোরে শক্ত বন্ধনে
জীবনে মরণে তোমার রব অন্য কোথা যাব না ভুবনে।
রচনাকাল : ১৪।০২।২০২২