বান
বলকা দিয়ে ঘুরপাক খাস জল।
ও জল! কোথা তুই যাস, বল?
নদী এনেছে বান।
স্রোতে প্রবল টান।
ধসে পড়ে পাড়।
রোখে সাধ্য কার?
পানার দল যায় ভেসে ভেসে।
বল তো তোরা যাচ্ছিস কোন দেশে?
ঘোলা জলে ভিজে গরু হয় নদী পার।
এ পাড় ছেড়ে ছোঁয় ও পাড়।
মাঝি পারাপার
করে বার বার বার...
এটাই যে কাজ তার।
শক্ত হাতে দাঁর বায়।
বান ঢুকেছে গাঁয়।
ভাঙে মাটির ঘর।
উপরে পরে পাড়ের গাছ
শব্দ তার মর মর মর...
বানের জলে সাদা ফ্যানা
করে বেদম নাচ।
একটুখানি উঁকি দেয়
কত কত গাছ-ব্যানা।
জাল ফেলে ফেলে
পটু যত জেলে
মাছ ধরে নেয়।
বান হাসে
তার জন্য সবই ভাসে।
তবুও ক্যানো যে সে আসে?
বান সবাইকেই রাখে ত্রাসে।
বান বান বান......
দল বেঁধে ল্যাংটো ছেলে
বানের জলে করে চান।
মজা করে স্রোতে খেলে।
স্রোত
পর্বত চূড়া থেকে নেমে আসে
বিষন্নতার স্রোত আপন গতিতে।
সেই বিষন্ন স্রোতে অনায়াসে ভাসে
গগণের আলো নিজ জ্যোতিতে।
বিষন্নতার স্রোত মিলনানন্দে হাসে।
এ যেন সঙ্গম - সতী ও পতিতে।
চাওয়া পাওয়ার অনন্ত উল্লাসে।
সৃষ্টির শুদ্ধ মতিতে।
বিষণ্নতা যে আনন্দকে ভালোবাসে।
ভবিষ্যৎ, বর্তমান ফেরে না অতীতে।
তবুও অতীত মিশে থাকে অসীমাকাশে।
সদা উপস্থিত থাকে সর্বহিতে
অদৃশ্য স্রোতে, ধরার অশেষ বাতাসে।
আনন্দ-বিধন্নতার স্রোত থাকে চিতে ( চিত্তে )।
ওরাই অন্তরে বাসে ( বাস করে )।
স্পন্দিত হয় হৃদ-গীতে।
রাশে রাশে রাশে..........
তাই তো এ পৃথিবীতে
নব নব নব আশে
উজাড় করে দিতে দিতে দিতে
প্রেম-স্রোত বয় জাগতিক শ্বাসে শ্বাসে শ্বাসে.......
যুগের পর যুগ আসে দিতে আর নিতে।
না থামাকে বাঁধে সম্পর্কের বন্ধন-পাশে।
হারা বিষন্নতার স্রোত যায় জিতে।
দেওয়া নেওয়ার অবকাশে।