আষাঢ় মাস। প্রতিনিয়তই বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ এই অঝোর বৃষ্টিতে ভিজতে পারছি না। আব্বু আম্মুর কড়া নিষেধ। তাদের থিউরি হলো, এখন বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর, সর্দি,কাশি ইত্যাদি হবে।
তারপর আর কি? আমাদের টাকা গুনতে হবে।
আব্বু বলেন, ঠাণ্ডা লাগলে আমি ডাক্তারের কাছে নিতে পারবো না।
ব্যস আর বৃষ্টিতে ভিজা হয় না। পাড়ার ছেলে মেয়েরা বৃষ্টিতে কত রকমের খেলাধুলা করে! ভাবতে গেলে খুব কষ্ট হয়।
আমি একটা মাত্র সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।
আর সুযোগটাও একদিন পেয়ে গেলাম।
আমার নানা অসুস্থ থাকায় খুব ভোর সকালে আব্বু, আম্মু নানাকে দেখতে যান।
ভাগ্যক্রমে ঐদিন দশটা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়। পাড়ার ছেলেদের সাথে নেমে যায় মাঠে। ফুটবল খেলতে আমি মারাত্মক ভয় পায়। কিন্তু মজা যেহেতু করতে হবে তাহলে সকলের সাথেই মজা করার চেষ্টা করি। আমাকে বলা হলো, তুই যেহেতু ভয় পাচ্ছিস সেহেতু তুই গোলকিপারে থাক। বল বেশি যাবে না। আর যদি উপরে খেলতে চাস তাহলে পায়ে ব্যাথা পাবি।
তাদের যুক্তি আমি গ্রহণ করলাম। দাঁড়িয়ে গেলাম গোলকিপারে।
খেলা চলছে। খুব আনন্দ হচ্ছে। মাঝে মাঝে নাচতে ইচ্ছে করছে। পাড়ার এক ছেলে দেখলাম আমার দিকে বল নিয়ে তেড়ে আসছে। আমি প্রস্তুত হলাম। দেখলাম ও বল মারলো। তারপর আমি চিৎপটাং করে পড়ে রইলাম। বল ঠিক পেটে লাগছে। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। পারছি না। মনে হচ্ছে আমি মরে যাচ্ছি।
ঐ যাত্ররাই বেঁচে গেলাম। শপথ করলাম, খেলবো না আর ফুটবল।
~আবু হুরায়রা ইবনে ইব্রাহিম
ঠিকানা- নতুন বাজার,বারিধারা,ঢাকা