জীর্ণ পাতা ঝরিয়ে উঁকি দেবে কিশলয়
নিশুতি রাতের পর যেমন আসে কাঙ্খিত ভোর
হাত পাখায় সামলাচ্ছে না লোডশেডিংএর অস্বস্তি...
দরদর ঘামে ডুবে যাচ্ছে চোখ মুখে গাল চুল শরীর।
কতরকম ব্যঞ্জন রেঁধেছে মা, বাবার ছুটি...
নীম-হলুদ-তেল গায়ে জেল্লা বাড়ায় ভীষণ
পুদিনা মেহেন্দি সজীব হচ্ছে নতুন ভাবে
স্বপ্নের বিনুনি বাঁধছে লক্ষ্যবস্তুর আখরে।
রীতিমত ঈশান কোণে আগুন জ্বালালো কে...
লাল সাদা শাড়িতে আলতা পায়ে আঁকছে
পুজোর স্বস্তিক চিহ্ন হালখাতা আমপাতার দড়ি
মুছে দিচ্ছে জীবনের দুঃখ হতাশা গ্লানি।
অরুণালোক মুছিয়ে দেয় রাতের সব ব্যর্থতা
পয়লা বৈশাখ বুঁদ হয় ভালোবাসাযর গীতবিতানে
বাংলার ঘরে ঘরে বেজে ওঠে শঙ্খ উলু
জগৎ মুখে হাসি ফোটার নববর্ষের সূর্য।