পদ্মেরা
মাথাতোলে অঙ্কুরের আহ্বানে,
ব্যাঙ্গের
সাড়ি একসাথে গলাবাজি তার পাশে ।
সারা
মাঠে ধানের মাথা দু'একটি
চারদিকে পানি থৈ
কানবেয়ে
খড় খড় আওয়াজে ছুটে চলে পাজি কৈ ।
জলের
ধারে খড়া জাল পেতেছে নতুন গামছা মাথায় জেলে,
কহে
কেহ; ওহে রশিক জেলে দিও টেংড়া ধুতরা পেলে ।
সাদা
পলিইথিলিনে বৃষ্টি ভেজা থেকে রেহাই রিক্সা ওয়ালা,
ভিজে
খালি গায়ে ঝাপাঝাপিতে দুষ্টু ছেলের দল কাটায় ছেলে বেলা ।
কলাগাছে
কঞ্চি গাঁথিয়া জাহাজ মস্তুল সারেংয়ের ভেলা,
কে
কে চড়িবে ওরে বাতামতলীর ঘাটে, পড়িয়া আসিলো যে বেলা।
ঝাঁপি
মাথায় বৈঠা বাইছে নাইয়োরী ছৈ'য়ে রুমালে ফুল তোলে,
ডুব
কাশবনের ওপর দিয়ে পানা ফুলে পিঁপড়া চাক বাঁধে।
আষাঢ়ে
বাদল চাকতি ফোটায় স্বচ্ছ আয়না পানিতে,
নিষ্পলক
দৃষ্টি কুসুম কদম সাদা পাঁপড়িতে ।
বর্ষার
রংধনুর কল্পনায় মন চলে যেতে যায় এপার ওপার সাঁকোতে,
রঙ্গিন
মন নাচে সাদা মেঘের মহলের বারান্দার বেলকোনিতে ॥
লেখকঃ স্বেচ্ছাসেবক
ও মিডিয়া কর্মী, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।
বর্ণপ্রপাতকে ধন্যবাদ
ReplyDeleteবেশ
ReplyDelete