এই মেয়ে, তোমার
হাতের প্রদীপটা নিভে গেছে-
মনের মন্দিরে নিকষ ঘন অন্ধকার,
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলছে না বহুদিন ।
মেয়েটা হঠাৎ করেই-
মন্দিরে আসছে না প্রদীপের তৈলাধার হাতে,
জ্বলছে না প্রদীপের উজ্জ্বল শিখা ।
বড্ড অভিমানী মেয়ে-
ভালোবাসার দেবতার সাথে করেছে অভিমান,
তার এই নিরবতায় শুকিয়ে যাচ্ছে তৈলাধার
।
প্রদীপের শিখা নিভু নিভু করতেই করতেই-
মনের মন্দিরের খোলা জানালা দিয়ে বাতাস
ঢুকে
অবশেষে নিভিয়ে দিয়েছে প্রদীপের শিখা ।
অন্ধকার মন্দিরে এখন ঝিঁঝিঁ পোকার বসবাস
সেখানে এখন বাস করে আরশোলা আর-
মাঁকড়সার বিছানো জালে ধুলো জমেছে ।
অথচ প্রতিদিন প্রাতে এক ঝুড়ি ফুল হাতে
পুজোর স্নান সেরে ভেজা চুলে-
ভালোবাসার দেবতাকে পূজো দিতে আসতো সে
।
সন্ধ্যায় মন্দিরে জ্বালাতো প্রদীপ ।
এই মেয়ে, তুমি না ভালোবাসার পূজারী?
দেবতার সাথে পূজারীর অভিমান সাজে?
দেবতা তার ভক্তকে খালি হাতে কখনো ?
দেবতার কাছে কায়মনে ভালোবাসা চাও,
চাও তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে ।
দেখবে, দেবতা
তোমাকে-
ফুল চন্দন দেবে হৃদয় ভরে ।
অভিমানী মেয়ে-
আবারো স্নান করে পবিত্র হও, অভিমান ভুলে-
জ্বালাও প্রদীপ তোমার ভালোবাসার
মন্দিরে ।
আবারও ভিজে চুলে, তোলা ফুলে-
পূজো দাও ভালোবাসার দেবতাকে
দেখবে, তুমি যা হারিয়েছো,
সব ফিরে পাবে নতুন করে ।