অভিমানী মেয়ে ।। নাজমুল হুদা পারভেজ

 

 

এই মেয়ে, তোমার হাতের প্রদীপটা নিভে গেছে-

মনের মন্দিরে নিকষ ঘন অন্ধকার,

সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলছে না বহুদিন ।

মেয়েটা হঠাৎ করেই-

মন্দিরে আসছে না প্রদীপের তৈলাধার হাতে,

জ্বলছে না প্রদীপের উজ্জ্বল শিখা ।

বড্ড অভিমানী মেয়ে-

ভালোবাসার দেবতার সাথে করেছে অভিমান,

তার এই নিরবতায় শুকিয়ে যাচ্ছে তৈলাধার ।

প্রদীপের শিখা নিভু নিভু করতেই করতেই-

মনের মন্দিরের খোলা জানালা দিয়ে বাতাস ঢুকে

অবশেষে নিভিয়ে দিয়েছে প্রদীপের শিখা ।

অন্ধকার মন্দিরে এখন ঝিঁঝিঁ পোকার বসবাস

সেখানে এন বাস করে আরশোলা আর-

মাঁকড়সার  বিছানো জালে ধুলো জমেছে ।

অথচ প্রতিদিন প্রাতে এক ঝুড়ি ফুল হাতে

পুজোর স্নান সেরে ভেজা চুলে-

ভালোবাসার দেবতাকে পূজো দিতে আসতো সে ।

সন্ধ্যায় মন্দিরে জ্বালাতো প্রদীপ ।

এই মেয়ে,  তুমি না ভালোবাসার পূজারী?

দেবতার সাথে পূজারীর অভিমান সাজে?

দেবতা তার ভক্তকে খালি হাতে কখনো ?

দেবতার কাছে কায়মনে ভালোবাসা চাও,

চাও তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে ।

দেখবে, দেবতা তোমাকে-

ফুল চন্দন দেবে হৃদয় ভরে ।

অভিমানী মেয়ে-

আবারো স্নান করে পবিত্র হও, অভিমান ভুলে-

জ্বালাও প্রদীপ তোমার ভালোবাসার মন্দিরে ।

আবারও ভিজে চুলে, তোলা ফুলে-

পূজো দাও ভালোবাসার দেবতাকে

দেখবে,  তুমি যা হারিয়েছো,

সব ফিরে পাবে নতুন করে ।


Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post