সহস্র রাতের নি:সঙ্গতা ভেঙ্গে
ইট-পাথর প্রস্তরের প্রাচীর টপকে
নিছক প্রেমের উন্মাদনার গানে
আমার আধছায়া তাল পুকুরের পাড়ে
একটি নিভু নিভু কুপি হাতে
আমার জোনাক রাতের গান শুনতে এসো।
আঁধার মাখা জোনাক রাতে
চারিদিকে যখন নিস্তব্ধতায় ঢেকে যাবে;
ঐ ফুল প্রজাপতি বিহঙ্গ কুজন আর সবুজ তরু।
থাকবে শুধু জোনাকির আলো আঁধার জুড়ে
এমন সময় তুমি এসো আমার শ্যামবনে।
তোমাকে জোনাকির আলোয় দেখবো বলে
কত রমণীকে দেখে চোখের পর্দাকে পুরু করেছি!
কত কাননবালার প্রেমের চাহনি আমি ফিরিয়ে দিয়েছি!
কত মাধবী জুঁই চামেলি কামিনী শিউলির চোখে
নির্বাক আর প্রেমহীন পুরুষ বলে ধিক্কার পেয়েছি!
কত রক্তজবার চোখের বিষ হয়েছি আমি
শুধু তোমাকেই জোনাক রাতের গান শোনাবো বলে।
আমার যৌবনের একুশটি ফাল্গুনের যত ফুল!
যত সুর শৌরভমাখা পুঞ্জমালা!
আমি সব সাজিয়ে রেখেছি ডালাভরে
তোমাকে এমন অপেক্ষাতে নি:সঙ্গ তমোমণির
আলোতে দেখব বলে, শুধুই দেখব বলে।
যৌবনের কামনায় কিংবা শিকারের নেশায়
তমোমণি ছুটে চলবে তালপুকুরের লতাপাতা
আর গুল্ম পাতাঝরা শুকনো ডালে উড়ে উড়ে
ঝিঁ। ঝিঁ। গান শুনিয়ে বিরহীর মান ভাঙ্গিয়ে
তখন যে লাল আর সবুজ রঙ খসে খসে পড়বে
আমি সেই খসে পড়া জোনাক আলোতে
তোমাকে দেখব অপলক দু'নয়ন ভরে।
যখন জোনাক আলোর স্নানে ডুবে যাবে তুমি
যখন তোমার কুন্ত কালো কেশের বিশাল খোপায়
একটি জোনাক পোকা আলো ছড়াতে ছড়াতে
পাখা ছোড়াছুড়ি খেলায় আটকে যাবে তোমার চুলে।
তখন তোমার কুন্তের ভাঁজ খুলে খুলে সেটাকে
আমি অবমুক্ত করে আবার তাকে উড়িয়ে দিব তার ঠিকানাতে।
যখন জোনাকের লাল সবুজের আলোকদ্যুতি পড়বে এসে
তোমার গ্রীবার কালো তিলে আর ওষ্ঠের তুলতুলে নরমে!
যখন জোনাকির আলোয় ছেয়ে যাবে তোমার কামনার চোখ,
যখন প্রেম নেশায় আন্দোলিত হবে তোমার সব লজ্জার ভ্রুজুগল।
তখন বলব আমি এতদিন কোথায় ছিলে? এতদিনে কেন আসোনি?
এতদিন কেন তোমার দেখা মেলেনি? কেন তোমাকে দেখতে পাইনি?
তখন আমার একুশ বসন্তের জমে থাকা সব ফুলের নির্যাস ঢেলে,
আমার একুশ বর্ষার জমে থাকা সব জলকণা ঢেলে ফোয়ারা বানিয়ে
তোমার সাথে এক উন্মাদনার মরণ স্নানে ভেসে যাব।
তুমি এমন এক জোনাক রাতে একলা বেশে এসো।
আমি আমার জমে থাকা যত কথা সব সুরে বেঁধে রেখেছি।
তুমি এসো কোনো এক জোনাক রাতে, আমার হতে এসো।
ইট-পাথর প্রস্তরের প্রাচীর টপকে
নিছক প্রেমের উন্মাদনার গানে
আমার আধছায়া তাল পুকুরের পাড়ে
একটি নিভু নিভু কুপি হাতে
আমার জোনাক রাতের গান শুনতে এসো।
আঁধার মাখা জোনাক রাতে
চারিদিকে যখন নিস্তব্ধতায় ঢেকে যাবে;
ঐ ফুল প্রজাপতি বিহঙ্গ কুজন আর সবুজ তরু।
থাকবে শুধু জোনাকির আলো আঁধার জুড়ে
এমন সময় তুমি এসো আমার শ্যামবনে।
তোমাকে জোনাকির আলোয় দেখবো বলে
কত রমণীকে দেখে চোখের পর্দাকে পুরু করেছি!
কত কাননবালার প্রেমের চাহনি আমি ফিরিয়ে দিয়েছি!
কত মাধবী জুঁই চামেলি কামিনী শিউলির চোখে
নির্বাক আর প্রেমহীন পুরুষ বলে ধিক্কার পেয়েছি!
কত রক্তজবার চোখের বিষ হয়েছি আমি
শুধু তোমাকেই জোনাক রাতের গান শোনাবো বলে।
আমার যৌবনের একুশটি ফাল্গুনের যত ফুল!
যত সুর শৌরভমাখা পুঞ্জমালা!
আমি সব সাজিয়ে রেখেছি ডালাভরে
তোমাকে এমন অপেক্ষাতে নি:সঙ্গ তমোমণির
আলোতে দেখব বলে, শুধুই দেখব বলে।
যৌবনের কামনায় কিংবা শিকারের নেশায়
তমোমণি ছুটে চলবে তালপুকুরের লতাপাতা
আর গুল্ম পাতাঝরা শুকনো ডালে উড়ে উড়ে
ঝিঁ। ঝিঁ। গান শুনিয়ে বিরহীর মান ভাঙ্গিয়ে
তখন যে লাল আর সবুজ রঙ খসে খসে পড়বে
আমি সেই খসে পড়া জোনাক আলোতে
তোমাকে দেখব অপলক দু'নয়ন ভরে।
যখন জোনাক আলোর স্নানে ডুবে যাবে তুমি
যখন তোমার কুন্ত কালো কেশের বিশাল খোপায়
একটি জোনাক পোকা আলো ছড়াতে ছড়াতে
পাখা ছোড়াছুড়ি খেলায় আটকে যাবে তোমার চুলে।
তখন তোমার কুন্তের ভাঁজ খুলে খুলে সেটাকে
আমি অবমুক্ত করে আবার তাকে উড়িয়ে দিব তার ঠিকানাতে।
যখন জোনাকের লাল সবুজের আলোকদ্যুতি পড়বে এসে
তোমার গ্রীবার কালো তিলে আর ওষ্ঠের তুলতুলে নরমে!
যখন জোনাকির আলোয় ছেয়ে যাবে তোমার কামনার চোখ,
যখন প্রেম নেশায় আন্দোলিত হবে তোমার সব লজ্জার ভ্রুজুগল।
তখন বলব আমি এতদিন কোথায় ছিলে? এতদিনে কেন আসোনি?
এতদিন কেন তোমার দেখা মেলেনি? কেন তোমাকে দেখতে পাইনি?
তখন আমার একুশ বসন্তের জমে থাকা সব ফুলের নির্যাস ঢেলে,
আমার একুশ বর্ষার জমে থাকা সব জলকণা ঢেলে ফোয়ারা বানিয়ে
তোমার সাথে এক উন্মাদনার মরণ স্নানে ভেসে যাব।
তুমি এমন এক জোনাক রাতে একলা বেশে এসো।
আমি আমার জমে থাকা যত কথা সব সুরে বেঁধে রেখেছি।
তুমি এসো কোনো এক জোনাক রাতে, আমার হতে এসো।