ললিতা সপ্তমীতে মনের নীল আকাশটাতে
একটি অচিন তারা হঠাৎ উদ্ভাসিত হল ।
তারাটি বড়ই অচেনা, ওর নাম জানা নেই
ধ্রুবতারা, শুকতারা নাকি অন্য কিছু ?
ক্ষণকাল আলো ছড়ালো মাত্র ।
ওর সৌন্দর্যে আমি মোহিত হলাম,
আবিষ্ট নয়নে তারাটি দেখতে দেখতে কখন যে,
নিদ্রাদেবীর কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, মনে নেই ।
স্বপ্নালোকে একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলাম-
একটি মেয়ে, অচিন তারাটির মতোই উজ্জ্বল মুখাবয়ব ।
ফর্সা, লম্বা, ছিপছিপে গড়নের, তার লম্বা সোনালী কেশ-
বাতাসে উড়ে এসে মুখটা ঢেকে নিচ্ছিল বারবার ।
আমার সামনে এসে দাঁড়াল মেয়েটা,
লজ্জাপীড়িত হরিণী চোখ ।
কে তুমি ? জানতে চাইলাম । কোন উত্তর দিল না সে-
তবে মিষ্টি হাসি ছড়ালো ঠোঁটে-
যেন রজনীগন্ধার শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে ।
তারপর মুধুমিশ্রিত কণ্ঠে বলল- তোমাকে আমি ভালোবাসি ।
তুমি আমার জীবনের প্রথম প্রেম- প্রথম ভালোবাসা ।
আর কিছু না বলেই মেয়েটি-
রিনিঝিনি নুপুরের নিক্কন তুলে হারিয়ে গেল ।
আমার পিছু ডাক তাকে ফেরাতে পারেনি ।
ততক্ষণে আমার স্বপ্নের শিকড় ছিড়ে গেছে ।
আমি আবারও ঘুমাতে চেয়েছি, স্বপ্নের শেষটা দেখবো বলে-
কিন্ত অচিন তারাটির প্রদীপনা আর কখনো ছড়ায়নি
আমার মন আকাশে ,ফিরে উঠেনি আবারও নতুন করে ।
স্বপ্নের শেষাংশটা দেখবো বলে,
আমি তারাটির একটি নাম রেখেছিলাম মনে মনে ।
যদি আবার কোন দিন ,আমার মন আকাশে উদ্ভাসিত হয়
সেদিন তারাটিকে ডাকবো নিদ্রিতা বলে ।