নিকষকৃষ্ণে ঢাকা পরেছে ধরিত্রী
মলিন আকাশে আশ্বিনের অশ্রুধারা,
চিরাচরিত নিয়ম ভেঙ্গে কাঁদছে প্রকৃতি
বিরামহীন বারিধারায় হয়ে দিশেহারা।
এযেন হৃদয় নিকুঞ্জে অশনি বার্তা দিচ্ছে আমায়
হৃদয়ের বাতায়নে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া এসে,
নিভে দিয়ে যাবে মনিময় প্রদীপের শিখা
মনের মন্দিরে জ্বলবেনা আলো অবশেষে।
নিদ্রাহীন নিঝুম অন্ধকার রাতে জেগে থাকি
তোমাকে হারাবো সেটা জানার পর থেকে,
প্রতিশ্রুতির বেড়াজালে বন্দি করে আমাকে
সত্যি কি চলে যাবে অন্যের হাতে হাত রেখে?
বুঝিনি অসময়ে আকাশ কেন কাঁদে?
বুঝিনি নতুন বন্ধু কেন খুঁজতে বলেছিলে,
হৃদয় চৌচির করতে তুমি কেন এসেছিলে?
দুফোটা চোখের জল না দিয়ে কেন চলে গেলে।
আজ আমার তপ্ত হৃদয় খানি ধূ ধূ বালুচরে
একটু জলের জন্য কাতরিয়ে মরে
দিতে যদি একটু অশ্রু রাখতাম অঞ্জলি ভরে
তপ্ত হৃদি শীতল করতাম, যখন তোমায় মনে পরে।
কিছুই দিলে নাতো তুমি, শুধু নিয়ে গেলে-
সুখের অন্বেষনে আমায় একা ফেলে,
জীবনের হিসেব মিলবে না কভু বুঝবে যেদিন
পবিত্র মন্দির ভেঙ্গে তুমি কি পেলে?
কত ভাষায় বলেছিলে ভালোবাসি তোমাকে
অবশেষে পাপি হলে তুমি মিথ্যে বলার অপরাধে,
প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করেনা; সে কথা তোমার জানা
সুখি হও তুমি, তবু দোয়া করি, অভিশাপ দেবোনা।