ভূতের অস্তিত্ব ।। বিপুল রায়




মণি দা, মোর মাসির বেটা ভাই। বাড়িও বগলা-বগলি-- মাইলখানেক হবে। যুদিও হাই স্কুলের অঙ্কের মাস্টার, কিন্তু মণি দা'র সাথে মোর ভাব একবারেই বন্ধুর মতন। মুই সেলা সবেমাত্র ক্লাস টেনের ছাত্র।

          মোর অঙ্কের মাথা নাই বুলি মণি দা প্রতিদিন সাঞ্ঝেরক্ষণ আসি মোক অঙ্ক শিখায়, আর বাবার সাথে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক-- দ্যাশ-দুনিয়ার নানান-কিচিম গল্প করি তারপর বাড়ি ফিরে।

          আতি হইলে মণি দা যে ভয়ে কাবু হয়-- সেইটা কিন্তু মোর জানা নাই। কাজে প্রতিদিন গল্প শ্যাষে হামার বাড়ি থাকি ফিরির সমায় বাবা নিজে যায়া মণি দা'ক আগবারে থুইয়া আইসে।

          প্রতিদিনের মতন সেদিনও সাঞ্ঝেরক্ষণ মণি দা হামার বাড়ি আসি উপস্থিত। ভাইগ্যচক্রান্তে সেদিন বাবাও বাড়িত ছিলো না। মোক অঙ্ক করা শ্যাষ করি মণি দা মাওয়ের সাথে বসি গল্পের মুড়া নিকিলাইসে। আতিও অনেকটায় হইসে। গল্প শ্যাষে খাওয়া-দাওয়া হইল। তার পর মণি দা আরও গল্প শুরু করিল। ব্যপারটা মোর ঠিক হজম হইল না। খাওয়ার পর তো মণি দা প্রতিদিন বাড়ি যায়। তাহলে কি আজি বাড়ি যাবে না?... তাতেই মণি দা মা'ক ড্যাকেয়া পুছ করিল, “মাসি, আজি কি মেসো বাড়ি ফিরিবে না?”
          মাও ভাড়া মাঞ্জাইতে মাঞ্জাইতে কইল, “আজি বোধায় ফিরিবে না বাউ। আর আজি না ফিরিলেও কালি সকাল সকাল ফিরিবে-- কয়া গেইসে।”... মা’র মুখোত এই কথা শুনার পরে মণি দা খুব চঞ্চল হয়া উঠিল। আজব ব্যপার! বাবা ফিরিবে না শুনি মণি দা'র তো এতটা দুশ্চিন্তা করার কুনো মানে হয় না। মণি দা'র চঞ্চল ভাব দেখি মুই নিজে কলুং, মণি দা-- আতি তো অনেকটায় হইসে। আজি না হয় হামারে বাড়িত থাক। কালি যাইস।-- মণি দা কথাটা কিছুক্ষণ ভাবিল-- কি করা যায়। তারপর কইল, “আজি তো বাড়ি যাবার নাগিবে ভাই। কিন্তু...”
        -- কিন্তু কি দা?
           মণি দা খানেক ভয় ভয় গালার স্বরে কইল, “কিছু না ভাই।”
        -- কিছু না! ঠিক আছেতে-- মুই ঘুমাছোং।”
          এবারে মণি দা মোর হাতটা ধরি কইল, “আজি আমাবাইস্যা না ভাই?”
           মুই স্বাভাবিক ভাবেই কলুং, হ্যাঁ।
           মণি দা'র ততক্ষণে ঝস বিরি গেইসে। ভয়ে ভয়ে চোখু দুইটা বড়ো করি কইল, “আরে ভাই, প্রামানিক বাবুর বাঁশ তলাত যে শ্মশানটা আছে-- আসির সমায় দেখিলুং ওটে মরা ছুবির ধরিসে! আর মানষিও কয়, আমাবাইস্যায়-পূণ্যিমায় শ্মশানটার ওটে নাকি ভূত বিরায়!”
          মুই নির্ভয়ে কলুং, তাতে কি হইসে?
          মণি দা একটা ঢোক গিলি কইল, “কি হইসে মানে! মুই একেলায় যাবার পাইম না রে ভাই।” কয়ায় উল্টাপাখে মুখ ঘুরাইল।
          মুই বুঝির পাসুং-- মণি দা ভয়ে আর শরোমে ডাইল। এবার মুই খানিক হাসিয়া কলুং, মণি দা-- তুই না কুসংস্কারের বিরোধীতা করিস।
        --“হ্যাঁ। অবশ্যই কুসংস্কারের বিরোধীতা করোং। তো?”
          মণি দা'র এই কথাটা শুনি এবার মুইও কলুং, তে তোর এইটা কি ধরনের সংস্কার! মরার পর কি মানষি ভূত হয়? বিশ্বাস করিস তুই?
         -- “হ্যাঁ-- বিশ্বাস করোং বুলি তো ভয় নাগেছে ভাই!”
          -- আচ্ছা, তুই ভূত দেখসিস মণি দা?
         --“না রে। সেই সৌভাইগ্য এলাও হয় নাই মোর।”
        -- আজি যুদি সেই সৌভাইগ্য হয়, তাহলে তো ভালোয় হয়। কয়ায় একটা হাসি দিলুং।
          মণি দা’ও দুরুদুরু বুকোত খানিক হাসিয়া কইল, “তুই কিন্তু এবার মাইর খাবু ভাই।”
          মুই কলুং, চল মণি দা-- তোক শ্মশান পর্যন্ত আগবারে থুইয়া আইসোং।
          মণি দা অবাক হয়া মোর পাখে দেখিয়া কইল, “তু...তুই! শ্মশান পর্যন্ত যাবু! আর ফিরিবু কায় কায়?”
        --মোর ভয় নাই মণি দা। তাছাড়া-- ছাড় ওইলা। চল। বিরা...
          মণি দা একটা স্বস্তির নিক্কাশ ছাড়িল। কিঞ্চিৎমাত্র সমায় নষ্ট না করি কইল, “চল, তাড়াতাড়ি চল।”

          মোর ফিরিবার অপেক্ষায় মাও বারান্দাতে দাঁড়ে নইল। মণি দা আর মুই-- দুইজনে গল্প করিতে করিতে হাঁটিয়ায় বিরালি। যাতে মন থাকি ভয় দূর হয় তার বাদে মণি দা কত ধরনের ইচিত-বিচিত গল্প খকোরে নিকিলির ধরিল।... কিছুক্ষণ হাঁটার পর আসি উপস্থিত হলি প্রামানিক বাবুর বাঁশ তলাত। বিশাল ঝাপুর-ঝুপুর বাঁশ বাগান। দিনতে আন্ধার আন্ধার ভাব থাকে কইলেও চলে! সেই বাঁশ বাগানের মইধ্যতে শ্মশান। শ্মশানের অগুন সেলাও  নিভে নাই-- গনগন করি জ্বলেছে চিতাটা।

          কার মনের ভিতিরা আর ভয় না থাকে। আসল কথা যুদি কওয়া যায়-- আমাবাইস্যার আতিত, ঘুটঘুটা আন্ধারি বাঁশ তলাত চিতার গনগনা অগুন দেখি মোরও গাওখান উদুরি উঠিল। লোমগিলা খারা হইল! টুটি-মুখও শুকি গেইসে। মাঝে মাঝে ঘপকরি অগুন জ্বলি উঠেছে! কিছুক্ষণ জ্বলার পর অগুন নিভিবার মতন হয়! মরা গতি করি সব মানষি ততক্ষণে বাড়ি চলি গেইসে। লোকমুখেও শুনা যায়-- এই বাঁশ তলাত নাকি ভূত-পেত্তানির উৎপাত খুব বেশী। আতির আটটার পর এদি খুব কম লোকে যাতায়ত করে।

          হঠাৎ কানোত আসিল একটা বিলাইর ম্যাঁও ম্যাঁও আওয়াজ! তারপর আরেকটা! কি ভয়ঙ্কর একটা পরিবেশ! নিশা আতিত শ্মশানের গোরত এংকরি বিলাই কান্দিলে কায় ভয় না খাবে! এমন সমায় মোর কানের গোর দিয়া কি একটা যে হুসসস করি উড়ি গেল-- মুই চমকি উঠিলুং! সাথে মনি দা'ও। যুদিও বা বুক ফুলি সাহস করি মণি দা'ক শ্মশান পর্যন্ত আগবারে থুবার সিদ্ধান্ত নিসুং-- মুহুর্ত্বেই সেই সাহস বুকের ভিতিরা ভয়ের উব্জন করিল। বুকখান এত জোরে ধকধক করির ধরিল যে, তা আর কবার মতন না হয়। মোর সাহসি মানষিটার এমন অবস্থা হইলে-- মণি দা'র অবস্থাটা ক্যামন হবার পারে-- তা পাঠকমহলের বুঝি নিতে কুনো অসুবিধা হবে না বুলি মনে করোং।

          শ্মশানের বগোল যায়া মণি দা'ক ভয়ে ভয়ে কলুং, মণি দা-- মুই আর আগের পাইম না! মোক বাড়ি নিগি থুইয়া আয় তুই।
        -- “এই সমায় কথা পাল্টাইস না ভাই। শ্মশানের মইধ্য থাকি দুই জন দুই পাখে যামু।” কয়ায় মণি দা মোর হাতটা খপ করি ধরি টানি নিগাইল শ্মশানের বগোল। তারপর হাত ছাড়ি দিয়া কইল, “যা ভাই, তুইও বাড়ি ফিরি যা। মুইও বাড়ি চল্লুং। যা, দৌড়ি দৌড়ি যাইস।” কয়ায় মণি দা মারিল চম্পট। মুইও ভয়ে ভয়ে মারিলুং বাড়ির পাখে দৌড়।

          বাড়ির বগোল আসি কিসোত উস্টা খায়া যে হামারে বাড়ির চ্যাকোরখানোত পড়িলুং-- তাতে মোর হুশ হারে গেইসে!

          পরের দিন সকালে হুশ ফিরিলে দ্যাখোং মাও মোর মাথার পাখে চোখুর জল ছলছল করি বসি আছে। মুই আর কবার পাং না-- উস্টা খায়া পড়ার পর কি কি হইসে!
          মাও পুছ করিল, “তুই ঠিক আছিস তো বাবা? ”
          মুই মা'র পাখে জুলজুল করি চায়া আছোং আর ভাবেছোং-- তারপর কি হইল?
          মাও আরও পুছ করিল, “ভয় খাসিস নাকি বাবা?”
          মুই মাথা ঝকে কলুং, হ্যাঁ।
          মাও কইল, “ধুর পাগলা ভয়ের কিছু নাই। উঠেক এলা। হাত-মুখ ধুইয়া চা খা।”... মাও বগোল থাকি উঠি গেল। সাথে সাথে মুইও উঠি দাঁত ঘসি, হাত-মুখ ধুলুং। তারপর মা চা-বিস্কুট আনিল।

          কিছুক্ষণ পর মণি দা'ও আসি উপস্থিত। মণি দা’ক দেখি মোর রাগও উঠেছে, হাসিও বিরাছে। আসিয়ায় কইল, “ভাই, ঠিক আছিস তো?”
          মুইও রাগটা চাপে থুইয়া একটা মুচকি হাসি দিয়া কলুং, তোর মতনে দাদা দরকার রে মণি দা!
          তাতে আকার পার থাকি মাও কইল, “আর না কইস বাউ মণি-- কালি যা কান্ড হইসে! মুই বারান্দাত বসি আছোং, এমন সমায় চ্যাকোরখান হিরিস করি উঠিল! তোর মেসোর টর্চ লাইটটা জ্বালে আগে যায়া দ্যাখোং-- হামারে বাউ চ্যাকোরের উপুরাত পড়ি আছে! জ্ঞান-হুশ কিচ্ছু নাই। আর অতবড়ো মানষিটাক কি আর মুই কোলাত করি আনির পাং! সেলা তোর ছোট মেসোক ড্যাকে আনিলুং। উয়ায়ে কোলাত করি আনি ঘরোত থাকে থুইয়া গেল ওঝার বাড়ি। ওঝা আসি ঝাড়া-ফোঁকা করি , ত্যাল পড়ি দিয়া গেল। এই তো এলায় উঠিল।”
          মণি দা মোর পাখে টোকটোক করি দেখি একটা হাসি দিয়া কইল, “ইয়ায় তো তাও ঠিকে আছে মাসি। মোর কি হইসে জানেন? মুইও জিউ-জাহান ছাড়ি ভয়ে ভয়ে মারিলুং দৌড়। কিন্তু মোর সাথে হইল আর এক কান্ড!”
          তাতে মাও কইল, “তোর আরও কি হইল?”
       -- “আর না কন মাসি-- একেবারে শরোম খাওয়া কান্ড!”
         মুই হাসি ফেলালুং। মাও আরও পুছ করিল, “কি হইসে? ক কেনে শুনি...!”
          মণি দা কওয়া শুরু করিল, “ভাই তো বাড়ির পাখে দৌড় মারিল। মুইও মারিলুং দৌড়। শ্মশানের গোর থাকি একটা কুকুরও ধরিল মোর পাছ! পাছিলা ঘুরিলেই দেখা পাং কালা কচকচা কুকুরটা মোর পাছোতে দৌড়াছে! ভাবি নিসুং আজি আর রক্ষা নাই! ভূতের হাতোতে প্রানটা যাবে মোর! কুনোমতনে বাড়ির বগোল যায়া কাকিঘরের খড়ির ঢিপটা যেই না পার হলুং-- ওমনি দ্যাখোং একটা কালা ভঁইস ভোসোকসোক হয়া দাঁড়ে আছে! পাছিলা পাখে কুকুরটা সেলা নাই! নিশ্চয় কুনো ভূত-পেত্তানি পাছ ধরিসে! না হলে শ্মশানের কালা কুকুর আর বাড়ির গোরত ভঁইস তো কুনোদিন মোর চোখুত পড়ে নাই!”
          মণি দা'র কথাটা শ্যাষ হয় নাই, তাতে মুই কলুং, তারপর?
        -- “তারপর যেই না মুই আরও দৌড়ির চেষ্টা করিলুং, দড়িত দেবুরা খায়া সোজা ভঁইসটার সিং-ওত যায়া পড়িলুং। সিং দুইটা ডিক্কি ধরি মনের ব্যাগে চিকিরান শুরু করিলুং-- বাঁচাও... বাঁচাও... ভূত... ভূত...”
          কথার মাঝোতে মুই আরও কলুং, ভঁইসটা ঢিসায় নাই তোক?
          মণি দা কইল, “শুনকেনে। তারপর সগায় ধকপক করি লাইট ধরি বিড়ি আসিল। কাকা মোর গাত হাত রাখি পুছিল, ‘কি হইসে মণি?’
           মুই থোতবোত হয়া কলুং, ভঁইসটা কাকা, ভঁইসটা!
           কাকা কইল, ‘কোটে ভঁইস?’
           মুই কলুং, এই যে সিং দুইটা ডিক্কি ধরিসুং-- দ্যাখ।
           কাকা কইল, ‘তুই নিশা করিসিস নাকি মণি? এইটা হামার গছের মুড়াটা। আজি বিকালে তোর মুখের আগোতে তো অঠে থুলুং।’
           সেলাসিনি মোর জ্ঞান হইল-- চোখু মেলি দেখিলুং ঠিকে তো এইটা গছের মুড়াটা! মুই ভয়ে ঝসিটসি ডাইল। গোটায় দেহাটা মোর গটগটে কাঁপেছে! ততক্ষণে হামার গুষ্টির সগায় বিরি আসিসে বাড়ি থাকি। মোর কান্ড দেখি ছোট-বড়ো সগায় উমুলি উমুলি হাসির ধরিল। মুই শরোমে কাহরে ভিত্তি না দেখি-- বাড়ি যায়া এক জগ জল ঢোকঢকে গিলিলুং!

          মুই আর মাও মণি দার কথা শুনি হাসি উঠিলি। সাথে মণি দা’ও হাসি উঠিল।

          তারপর আরও অনেক গল্প-গুজব হইল। শ্যাষে মণি দা'ক পুছ করিলুং, আচ্ছা মণি দা-- সায়েন্স কি বিশ্বাস করে-- ভূত-পেত্তানির অস্তিত্ব বুলি কিছু আছে?
           মণি দা’ও হাসি মুখে উত্তর দিল, “সায়েন্স বিশ্বাস করুক আর না করুক মুই তো বিশ্বাস করোং ভাই।... সায়েন্স পড়িলেই যে সায়েন্স মানি চলির নাগিবে-- তা তো কুনো কথা না হয়। সায়েন্সের মতে জীবন-যাপন করাও চাট্টিখানি কথা না হয়। সায়েন্সোক শ্রদ্ধা করোং-- শ্রদ্ধার জাগাত থাউক। কিন্তু, মনের ভিতিরার চিরস্থায়ী অটুট বিশ্বাসোক কি আর সায়েন্স সহজে দূর করিবার পায়! তাছাড়া মনের ভয়-ভিতি, সাহস-ক্ষমতা এইলা বিষয় তো সায়েন্সের উপুরা নির্ভরশীল না হয়। এইলা মানষির মানসিক চিন্তাধারার উপর নির্ভর করে।’’
          মুই মণি দা'র মুখের পাখে জুলজুল করি চায়া ভাবোং, মণি দা’র কথাটা কি ঠিক?
          মোর পিঠিত হাত সত্তে মণি দা কইল, “ঠিক আছে ভাই-- মুই এলা চল্লুং। স্কুল আছে, দেড়ি হয়া যাবে না হলে।”... মণি দা উঠি চলি গেল।

          কিছুক্ষণ পর বাবা বাড়ি ফিরিল। মা’র মুখোত সব কিছু শুনি বাবা একটা হাসি দিয়া কইল, “ভুত-পেত্তানি বুলি কিছু হয় না। ওইলা সব মনের ভ্রম।”

          অথচ-- সেলাও মোর মনের ভিতিরাত একটায় প্রশ্ন ঘুর ঘুর করেছে-- আসলেই কি ভূতের অস্তিত্ব বুলি কিছু আছে?

তারিখ: ২৪.০২.২০২১

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।