কুড়িগ্রাম বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা। এই জেলাটিতে রয়েছে মোট নয়টি উপজেলা। নয়টি উপজেলার আটটিতেই রয়েছে সীমান্তের ছোঁয়া শুধু রাজারহাট উপজেলা ব্যতীত। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় পূর্বের তুলনায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে রেহাই পায়না প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে। এবারের কথায় ধরা যাক, চার থেকে পাঁচবার বন্যার কবলে পড়েছে কুড়িগ্রামবাসী। দুমড়ে-মুচড়ে নদীগর্ভে চলে গেছে কৃষকের সোনার ফসল, অনেকে হারিয়েছে ঘরবাড়ি।
আর শীতের সময় প্রচন্ড শীত। কুড়িগ্রাম জেলা হিমালয়ের পাশাপাশি হওয়ায় শীতের প্রকোপে থরথর করে কাঁপে কুড়িগ্রাম। আবহাওয়া অফিস থেকে মাঝে মাঝে জানা যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখানে। সামর্থ্যবানরা শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারলেও নিম্নআয়ের মানুষদের বড়ই কষ্ট হয়।
এইতো সেদিন পলিটেকনিক ছাত্র ছাত্রীদের মানববন্ধনের ছবি তোলার জন্য প্রেসক্লাবের সামনে গেলাম, ছবিও তুললাম। চলে আসবো এমতাবস্থায় একজন ভদ্রলোকের সাথে কথা হচ্ছে। আলাপচারিতার কয়েক মিনিট পরেই দুজন মহিলা সামনে আসলেন আর বললেন,
বাবা হামাক কিচু দ্যাও।
ভদ্রলোক ও আমি দুইজনই তাদের কিছু টাকা দিলাম।
আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম,
আপনাদের বাসা কোথায়? আপনাদের ছেলে মেয়ে নাই? এই প্রচন্ড শীতে বের হয়েছেন কেন?
হামার বাড়ি উলিপুরোত বাবা মোর নাম সাহেরা পাগলি আর উইয়্যার নাম সফুরে, মোর একনা ব্যাডা আছে তাঁই বউ ছওয়া নিয়্যা ঢাকাত পড়ি থাকে,আর এই যে আছে সাহেরা ইয়্যাঁর ব্যাডা নাই।হামরায় থাকি এডি মাইনষের জাগাত। যতখ্যানে এডি উডি ব্যড়ে দুইড্যা পাই তাহে দিয়্যা কোন মতে জীবন চলে রে বাবা,প্যাডে কি আর হামার দুঃখ কষ্টের কথা বোঝে? আইত পোয়াইলেই দুই মুট খাওয়ার জন্যে বাইর হওয়াখায় হামাক। কিসের ঠান্ডা, কিসের শীত। একজন আক্ষেপ করে বললেন।
সরকার যে গরীব অসহায় মানুষদের কে খাস জায়গায় পাকা ঘর করে দিচ্ছে আপনারা পাননি?
হামার কপালোত ঐইগল্যা নাই রে বাবা....
মেম্বার চেয়ারম্যানের সাথে যার খাতির ভাল আর টাহা দিব্যার পায় তারে জন্যে ঐ ঘর।
হামার কথার কোন মূল্য নাই, হামার বিরম্বনারো কোন শ্যাষ নাই। মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছোত গেইলে কথা কওয়ার আগোত দূর দূর করি ভাগে দেয়।ভোডের সমায় ওমরা হামার ঘরোত যায় মিড্যা মিড্যা কথা কয় আর ভোডোত হয়া গেইলে হামার গাও গোন্দায়, হামার সাথে আও কইল্লে ওমার মান সম্মান যায়।
আপনাদের বাসার ঠিকানা একটু বলবেন কি?
হামার বাড়ি উলিপুরোত,উলিপুরোত নামিয়্যা ডাড়ার পাড়োত গেইলে হামার বাড়ি,ওডি কাহো হামার কথা কইলে দ্যাহে দিবে।
ঠিক আছে ভালো থাকেন, ঠান্ডা লাগান না গায়ে।
এই বলে ওদেরকে দাঁড় করিয়ে একটা ছবি তুললাম তারপর ওদেরকে বিদায় দিলাম।
রাত্রিবেলা যখন একটু পড়াশোনা শেষ করে ঘুমাতে যাবো তার আগে ফেসবুকে "প্রতিদিনের কুড়িগ্রাম" নামের একটি গ্রুপে ঐ মহিলাদের আকুতি-মিনতির কথাগুলো হুবহু তুলে ধরে ছবিটি পোস্ট করি। এই পোস্টটি আব্দুল আজাদ নামের এক সহৃদয়বান ব্যাক্তির নজরে আসে, তিনি আমার সাথে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে দুটি কম্বল দুটি পা মোজা এবং দুটি শীতের জামার ব্যবস্থা করে দেন। আমি আবেগাপ্লুত হয়ে যাই এই ভেবে যে, হয়তো আমার সামান্য একটি পোস্টের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধ মা দুটির একটু উপকার হতে পারে।
কুড়িগ্রাম আমার নিজ জেলা হলেও কখনো উলিপুরে যাওয়া হয়নি, ওই বৃদ্ধ মহিলা দুটির সাথে যোগাযোগ করার কোন মাধ্যম ছিল না তখনও আমার কাছে। চিন্তায় পড়ে গেলাম কি করি কি করি? মহিলা দুটির পরিচয় জানতে চেয়ে ফেসবুক টাইমলাইনে একটি পোস্ট করলাম কিন্তু কোন রেসপন্স পেলাম না। মোবাইল ফোনেও উলিপুরের কয়েকজনের সাথে কথা বললাম তারাও ব্যর্থ হলো তাদের পরিচয় দিতে। চিন্তাটা আরো বেড়ে গেল যাদের জন্য এই অনুদান তাদের হাতে যদি পৌঁছে দিতে না পারি এর থেকে বড় দুঃখ আর কি হতে পারে!
অবশেষে কবি আশরাফ রাসেল ভাইয়ের জন্মদিনের নোটিফিকেশন চলে আসলো ফেসবুক নোটিফিকেশনে। উইশও করলাম, তারপর মাথায় আসলো ভাইয়ের বাসা তো উলিপুরে, দেখি একবার বলে চিনতে পারে কিনা?
ভাইকে বিস্তারিত লিখে মেসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে দিয়ে বললাম তাই চিনেন নাকি?
ভাই তখন প্রতি উত্তরে বললেন একটু অপেক্ষা করো আমি খুঁজে দেখি।
তখন আমারও কেন জানি মনটা সায় দিলো মনে হয় এবার তাদের খোজ পাব, কিছুক্ষণের মধ্যেই মেসেঞ্জারে রাসেল ভাইয়ের মেসেজ বলল হ্যাঁ তাদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তখন আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। আর ভাইকে বললাম কখন যাব?
ভাই বলল তারা তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে তুমি বিকেল চারটার দিকে আসতে পারো।
ঠিক আছে বলে ভাইয়ের সাথে মেসেজের সমাপ্তি টানলাম।
বেলা তখন একটার মতো, তখনো সূর্যের দেখা নেই গা থেকে খুলতে পারিনি শীতের পোশাক।
হাত মুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে বের হব উলিপুরের দিকে তখন ভাবলাম সঙ্গী হিসেবে কেউ থাকলে মন্দ হয় না। মেসমেট নাজমুলকে বললাম চল উলিপুরে যাই বেশি দেরী করব না গিয়ে আবার চলে আসব। নাজমুল ও কখনো উলিপুরে যায়নি ইতিপূর্বে তাই ও আনন্দে আমার প্রস্তাব গ্রহণ করল। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি.... সঙ্গী হিসেবে আরেকজন পেয়ে গেলাম বন্ধু বাইজিদকে।
আমাদের যাত্রা শুরু হলো কুড়িগ্রাম থেকে। ইজিবাইকে বসলাম ভাড়া চুক্তি হলো ২৫ টাকা করে। ইজিবাইক চলছে আর এদিকে চলছে আমাদের তিন বন্ধুর কথোপকথন। বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলাম।বেশ জমছিল আমাদের গল্প।
রাস্তার দুপাশে সবুজ শ্যামলে ভরা মাঠ, ছোট নদী, নালা, খাল, বিল অতিক্রম করে চলছি অনবরত। ১৮ কিলোমিটার রাস্তায় অতিক্রম করতে হয়েছে প্রায় তিন টি রেল ক্রসিং।
হু হু করে আমাদের গায়ে লাগছে শীতের হাওয়া, আমরাও আঁটোসাঁটো হয়ে বসে ছিলাম তিনজন।
প্রায় এক ঘন্টা পর আমরা পৌঁছালাম উলিপুরে। অটোবাইক থেকে উলিপুরে নেমেই রাসেল ভাইকে ফোন দিলাম,, ভাই আমাদেরকে রিসিভ করলেন। আমরা হালকা নাস্তা করে নিলাম সবাই, নাস্তা শেষে রাসেল ভাই বলল এখন মনে হয় ওদেরকে (বৃদ্ধ মহিলাদ্বয়) বাড়িতে পাওয়া যাবে না। তারা হয়তো এই সময় বাড়িতে নেই একটু পরে গেলেই ভাল হবে মনে হচ্ছে। আর আমারও একটু পরে একজন লোক আসবে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে এখানে।
তখন আমিও বললাম ঠিক আছে তাহলে ভাইয়া আমরা তিনজন পূর্বে কখনো উলিপুরে আসিনি তাহলে আমরাও একটু ঘুরে ফিরে দেখি তাহলে কিছুক্ষণ।
রাসেল ভাইয়ের সম্মতিতে আমরা তখন একটু ঘোরাঘুরি শুরু করলাম তিনজন মিলে। রাসেল ভাই গিয়ে বসলেন পাশের একটি লাইব্রেরীতে। তার কিছুক্ষণ পরেই রাসেল ভাইয়ের ফোন.....
কোথায় তোমরা? চলে আসো...
আমরা চলে আসলাম রাসেল ভাইয়ের কাছে। ভাইয়ের সাথে তখন আর একজন মানুষ।
লেখকের সাথে কবি আশরাফ রাসেল, কবি, লেখক ও প্রযোজক কৃষ্ণ কমল বর্মন ও লেখকের মেসমেট।
আমি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম উনি কে? তখন রাসেল ভাই উত্তর দিলেন তিনি রেডিও চিলমারীর প্রযোজক, কৃষ্ণ কমল বর্মন। কবিতা, গল্প লেখেন।
হাই-হ্যালোর মাধ্যমে পরিচয় হল আমাদের সবার সাথে। কৃষ্ণ কমল বর্মন দাদা আমার দেখা একজন মিষ্টি স্বভাবের মানুষ। উলিপুরের ক্ষীরমোহনের মতো।
রাসেল ভাই কৃষ্ণ কমল বর্মন দাদাকে বললেন চলেন ছোট ভাইদের সাথে ডারার পাড়ে গিয়ে একটু ঘুরে আসি। কি জানি কি মনে করে উনিও আমাদের সঙ্গী হলেন। রাসেল ভাই তখন একটি অটোবাইক ডাকলেন হলো আমরা পাঁচজন উঠে বসলাম। অটো চলছে ডারার পাড়ের দিকে।
১০-১২ মিনিটের মধ্যেই আমরা পৌছে গেলাম নির্দিষ্ট স্থানে। রাস্তার পাশেই ছোট্ট একটি গলি দিয়ে একটুখানি ভিতরে ঢুকলাম এক মহিলার সাথে দেখা হলো উনাকে মোবাইল থেকে ছবিটি দেখালাম ওই মহিলা দুটির আর বললাম দেখেন তো চিনতে পারেন কিনা?
তিনি বললেন-
হয় মুই ওমাক চেনোং বাহে, দুই জনে খুব নিরীহ মানুষ,মাইষ্যের জাগাত কোন মতে খ্যয়া না খ্যয়া দিন কাডায়।
আমরা বললাম উনাদের কাছে কি আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারেন?
তিনি সম্মতি পোষণ করলেন, আমরাও তার পিছু পিছু চললাম দু' তিন মিনিটের রাস্তা।
তারপর আমাদেরকে জীর্ণশীর্ণ একটি বাড়ির বাহিরে দাঁড় করিয়ে মহিলাটি ওই বৃদ্ধ মহিলাকে ডাক দিলেন,তিনি বাহিরে চলে আসলেন। যাকে নিয়ে আসলেন তার নাম সাহেরা। একটু কথা বলতেই তিনি আমাকে চিনে ফেললেন।
আমি জিজ্ঞেস করলাম আর একজন যে মহিলা আছে সফুরা পাগলী নামের উনি কোথায়?
শীত নিবারণের জন্য আমরা আপনাদের দুজনের জন্য একটু শীত বস্ত্রের ব্যবস্থা করেছি।
তখন বৃদ্ধা বললেন-
সফুরা বুর বাড়ি এডি থাকি একনা দুরোত তাও এলা ফির ঐই বাড়িত আছে না নাই ক্যংকরি কং?
ইতিমধ্যেই ওখানে বেশ কয়েকজন মহিলা এবং বাচ্চাকাচ্চা জড়ো হল।
আমরা সাহেরা নামের বৃদ্ধ মহিলাটির হাতে তার প্রাপ্য তুলে দিলাম।
তারপর আমি বললাম-
আমরা যদি এখানে তার (সফুরা পাগলী)জন্য এই ব্যাগটি দিয়ে যাই আপনাদের কারো কাছে উনাকে পৌঁছে দিতে পারবেন না?
তখন বেশ কয়েকজন মহিলা সাথে সাথেই পৌঁছে দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। আমরাও সবার সম্মতিক্রমে একজনের হাতে সেই বৃদ্ধ মহিলার প্রাপ্য তুলে দিলাম তার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
এবার আমরা ওখান থেকে প্রধান সড়কে উঠলাম। রাসেল ভাই বললেন তোমরা তো উলিপুরে নতুন এসেছ মুন্সিবাড়ি দেখে না গেলে অপূর্ণতা থেকেই যাবে। এইতো সামনেই মুন্সিবাড়ি। হেঁটে গেলে এখান থেকে সাত-আট মিনিটের পথ। চলো দেখিয়ে নিয়ে আসি তোমাদের। কৃষ্ণ কমল বর্মন দাদাও রাসেল ভাইয়ের কথায় সমর্থন করলেন। আমরাও তিনজন আগ্রহ নিয়ে চললাম ওদের সাথে। হাঁটছি আর চলছে আমাদের মাঝে আলাপচারিতা। আমরা পৌঁছে গেলাম মুন্সিবাড়ি। জীর্ণশীর্ণ দেয়ালে এখনও রয়েছে মুন্সিবাড়ির কিছু ধ্বংসাবশেষ। তবে অনুমান করলাম অনেক কারুকাজ এবং সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছিল এই মুন্সিবাড়ি। এক লোকমুখে শুনতে পেলাম ৪২ একর জমি রয়েছে এই মুন্সিবাড়ির নামে। আমরা সবাই ঘুরে ফিরে দেখলাম কিছুক্ষণ তারপর মোবাইলের ফ্রেমে বন্দী করলাম একে অপরের কিছু ছবি।
তারপর পাশে অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে বসলাম আমরা সবাই। কমল দাদা বললেন গরম গরম জিলাপি খেতে কিন্তু আমরা শুধু চায়ের আবদার করলাম। তখন দোকানদার চা এবং কপি মিশ্রিত কাপ আমাদের সামনে দিলেন। এর আগে চা এবং কপি একত্রে মিশ্রিত করে খাওয়া হয়নি কখনো । তবে দারুন লেগেছিল নতুন এক ফ্লেভার ছিল। তবে এটাকে চা বলব না কফি বলবো এখনো ভেবে পাইনি। এবার ওখান থেকে ফেরার পালা। আবারো ইজি বাইক যোগে আমরা পৌঁছালাম উলিপুরে। আমি ভাড়া দিতে চাইলে রাসেল ভাইয়া একটু রাগান্বিত স্বরে বললেন তোমরা ছোটনা!
কৃষ্ণ কমল দাদা ছাড়ার পাত্র নন তিনি আমাদেরকে উলিপুরের গরম গরম চপ খাওয়াবেন তার আগে আমাদেরকে ছেড়ে দেবেন না। অবশেষে আমরা চপের দোকানের পাশে গেলাম কিন্তু সেখানে প্রচুর পরিমাণে ভীড় থাকায় এবং আমাদের হাতেও কম সময় থাকার কারণে আমরা ভাপা পিঠা খাওয়ার আবদার করলাম। অবশেষে তাই হল। আহ্ কারিগরের নিপুণ হাতে গুড়, নারকেলের ফ্লেভার যুক্ত গরম গরম ভাপা পিঠার মজা এখনো লেগেই আছে আমার ঠোঁটে।
মনে আছে কি পূর্বেই বলেছিলাম যে আজ রাসেল ভাইয়ের জন্মদিন?
আমি সবার চোখ আরাল করে একটু সময় নিয়ে কোন এক ফাঁকে দুটি কলম কিনেছিলাম কনফেকশনারী দোকান থেকে। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমার তরফ থেকে সামান্য উপহার একটি কলম রাসেল ভাইয়ের হাতে এবং আরেকটি কলম কৃষ্ণ কমল দাদার হাতে তুলে দিলাম। এবার বিদায় নেয়ার পালা।
বিদায় জানালাম একে অপরকে। আমরা উলিপুর থেকে কুড়িগ্রাম ফেরার জন্য ইজি বাইক খুঁজছি।
লেখক ও তার বন্ধুদের ছোটনদী তুলে দিচ্ছেন ছোটনদীর সম্পাদক, লেখক, গবেষক আবু হেনা মুস্তফা
ইতোমধ্যেই আবার আরেক- গুণীব্যক্তি কথা সাহিত্যিক, গবেষক, বাঙালি সংস্কৃতির ছোটকাগজ ছোটনদীর সম্পাদক আবু হেনা মুস্তফার দেখা, নাম শুনেছি অনেক কিন্তু সরাসরি কখনো দেখা হয়নি। তারপর পরিচয়ের পালা। তাঁর সাথে কিছু সময়ের আলাপচারিতা বেশ ভালই লাগলো। তাঁর আহবানে আবারও চা চক্রের আয়োজন। তিনি "ছোট নদী" আমাদের হাতে তুলে দিলেন।
এর পরেই আমরা অটোবাইক চেপে বসলাম তিন জন। অটো চলছে কুড়িগ্রামের পথে।