:-এই মেয়েটা কি প্রেম করে?সে বলল
:- হ্যাঁ। দাসপাড়ার কাঞ্চিয়ার সাথে মাঝে মাঝে দেখা করে এখানে।
:-তাই ?
:-চালতা গাছের নিচে ঝোপঝাড়ের আড়ালে প্রায় কথা বলে।
তারপর ছেলেটিকে বিদায় দিলাম হয়তো টগরের বদলে গোলাপ দিলে সেদিন সে রাজি হয়ে যেত। চুপ করে থাকা আমার মোটেই ভাল লাগেনা। তাই ওর পিছনে আর কখনো পড়ে থাকি নি। ভাবতেছি অনেক কিছুই হঠাৎ প্রযুক্তি আমার সামনে এসে বলল
:-কেমন আছেন আপনি?
:-হ্যাঁ অনেক ভালো আছি। আর আপনি?
:-এইতো আছি। এবার আমি মাথা নিচু করে ক্যামেরার কিছু ফটো মুছে ফেলতে ছিলাম। তারপর সে বলল এখানে কি করছেন? বাড়ির পিছনে এখানে তো তেমন কেউ আসে না।
:-না মানে ছবি তুলতে ছিলাম। আপনার একটা ছবি তুলতে পারি?
:- না না। আমিতো অপ্রস্তুত। অন্য কোন একদিন।
:-আচ্ছা। যেমনটি আপনার মত।
:- সেদিনের জন্য আমি দুঃখিত, আসলে আপনার আগে আমি কাঞ্চিয়ার প্রস্তাবটা পেয়েছি।
:-Its ok.তারপর আমি আমার ব্যাগ নিয়ে পাশের একটি বাগানে চলে যাই । কয়েকটা গাছের ছবি তুললাম। ফুলের ও তুলেছিলাম। আমার স্কুলের কথা মনে পড়ছে, কারো কাছে প্রেম যেন চুপ কথা। নির্বাক হয়ে থাকা দুটি চোখের ভাষা। সকলেই তো জানতে পারে না । তারা বোদ্ধা, তাদের প্রেমের জুড়ির অভাব নেই। পূণমের পিছনে চার বছর ছোটাছুটির পর আমার স্কুলের বন্ধু সাগর বলতেই পারলো না। অথচ হৃদয়ে লালন করে পূণমের অবয়ব। উত্তাল পর্বত ছোঁয়া তরঙ্গ। তবে এমন ঢেউয়ে গা এলিয়ে দেয়ার দশবার ভাবা উচিত।