আমি কী ক্রমশঃ স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি!
পরিনত হচ্ছি কী কাঁচের শো-পিস এ!
কিংবা ধাতুর নির্বাক মূর্তিতে!
নাকি হয়েছি অচল, যুগোপযোগী হয়ে চলতে!
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তে, আমার হৃদয় সীমানায়,
আমি যেখানেই যাই, ঝরে রক্ত।
আর ঐ রক্তের স্বাদই আমার জীবনদায়ী,
পারি না ভেজা বারুদের স্তুপ হয়ে থাকতে,
পারিনা অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে মৌন থাকতে,
পারি না শোষিতের আর্তনাদে, চোখ বন্ধ রাখতে।
আমার পাঁজরে, দেহের সর্বাঙ্গে আগুন জ্বলে,
সেই নিস্প্রভ আলোয়, পথ দেখে দেখে এগিয়ে চলি,
গহন অন্ধকারে, অমাবস্যার রাতে, বন-নদী-পাহাড়ে,
ছিন্নভিন্ন হৃদপিন্ড, ফুসফুস, মাংসল শব দেহের উপর দিয়ে।
আমি যে পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিশ্বাস রাখি সাম্যে,
তাই নির্দ্ধিধায় প্রাণ নিতে পারি, লুন্ঠনকারী শোষকদের।
যুগের সাথে, প্রতিপক্ষের কৌশলের সাথে,
আমি ও আজ, হয়েছি পরিবর্তিত।
অতীতের "রেনেসাঁ" আজ ও আমার মধ্যে সুপ্ত,
আমি "বিপ্লব", মৃত্যূ নই, জীবনের ও অধিক জীবন।
আমি "অমর" আমার হাত ধরো,
দিগন্ত প্রসারিত হাত, মুষ্ঠিবদ্ধ করে এগিয়ে চলো,
আর, উন্মুক্ত করো মনের বদ্ধ দরজা- জানালা,
প্রবাহিত হোক সবুজের অকৃত্রিম বায়ুর আনাগোনা,
বাজুক প্রতিষ্ঠার সুর, গাওয়া হোক সাম্যের গান, একসাথে -
আমি ছিলাম, আছি, থাকবো ও , সকলেরই হৃদ মাঝে।