স্বর্গদেবী ।। মুমতা হেনা মীম


হয়তো জন্ম থেকেই এখানে আমি

এক শুভ্র মেঘের ভেলায়

গা এলিয়ে ভাসছিলাম,

নীল-সাদার মাঝে বুদ হয়ে ছিলাম।

নিঃসঙ্গ,একাকী

বাতাসের ফিস ফিস কান পেতে শুনি

যদিও বুঝিনা,

অকারণেই আনমনে হাসি। 


ঐ যে দূর থেকে ঝর্নার শব্দ

রোজ অরন্যের নিরবতাকে ভেঙে

আমাকে আহ্বান জানায়, 

আমি ও ভাবতাম চলে যাই। 

কিন্তু সমুদ্রের গর্জনে 

ভীত আমি ,

নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম,

হাজার বার।


আমি কারো অপেক্ষায় ছিলাম না,

কোন আশায় ছিলাম না,

আমার কোন বাঁধনই নেই

নেই পিছুটান।



কিন্তু আজ গোধূলি বেলার শেষে

দূরে রক্তিম আভা,

পঙ্খীরাজ ঘোড়া ছুটিয়ে

নিরবতা ভেঙ্গে 

কে যেন এলো!

কোন এক রাজকুমার!

আমায় দেখে থমকে গেল

দুগ্ধফেনিভ মেঘের কোলে

বসলো হেসে।

কি জানি কত্ত কথা তার

বলতেই থাকলো!

অবাক আমি !

মুগ্ধ চোখে দেখছি

সে এলোচুলে হাত বুলিয়ে দিলো।

আহ্লাদে চোখ বুজলাম 

নির্বাক এখনো,

ভাবছি

তাকে কোথায় যেন দেখেছি।

এতো চেনা লাগছে কেন?

কবে দেখেছিলাম?

হাজার বছর আগে?

হয়তো! 



অবশেষে

মনে পড়লো হঠাৎ 

কোন এক শুভ লগ্নে

এমন একজন ই তো 

আমার নাম রেখেছিলো

স্বর্গদেবী!

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post