দশ টাকার বাদাম এর খোসা
ছাড়াতে ছাড়াতে কোনো প্রেমিকা বলছে তার প্রেমিককে,
প্রীতম শোনো আর এভাবে কতদিন খোলা আকাশের নীচে বসবো,
চাকুরি বাকুরি নিয়ে কিছু ভাবো,
কলেজের আধো ভরা পুকুর পাড়ে
বাদামের খোসা ছাড়ানো শব্দের সাথে
ঝড়ের গতিতে বেড়িয়ে এলো একটা
বড় ব্যর্থতার নিঃশ্বাস।
প্রীতম বলল , আজকাল চাকুরি ছাড়া কন্যার জনক মোটেও পাত্রস্থ করেন না তাই বলছো?
তুমিও তো চেষ্টা করতে পারো।
সেদিন রীতিমতো যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছিল।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে প্রীতমকে ছেড়ে গেছে তার প্রেমিকা।
কলেজের পুকুর পাড়ে এখনো হাজারো প্রেমী যুগলের সমাগম।
প্রীতম এখন চাকুরি করে না। সে একটা কফি হাউজের মালিক থেকে বড় হোটেলের মালিক।
কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা কিছু সময় দিয়ে উপার্জন করতে পারেন প্রীতমের হোটেলে।
ব্যবসায় সাফল্য এসেছে খুব দেরিতে ।
এরকম মোটা আয় কয়েক বছর আগে থাকলে
হয়তো চলে যেতো না ।
কষ্টের মুহূর্ত গুলোতে কেউ পাশে থাকতে চায় নি।
অন্ধকার কেটে গেলে আলোতে সবাইকে দেখা যায়।
সেই প্রাক্তন ?
হ্যাঁ সে ও এসেছিলো তার স্বামী ও ফুটফুটে চার বছরের মেয়েটাকে নিয়ে শীতের রাতে হোটেলে।
প্রীতম নিজেকে আড়াল করে নিতে চাইলেও
হোটেলের রিসিপসনে তার পরিচয় ঠিকই মেলে।
প্রাক্তন ফোন করলে অপরাধী মনে হয়?
না... শুধু মনে হয় ভাগ্যে ছিলো না।
প্রীতম তো চলে যেতে বলে নাই
যাবেই না বা কেন?
যেখানে কর্মের দাড়িপাল্লায় প্রেমের পরিমাপ।
হাজরো প্রীতম সেখানে মর্মাহত।