হেমন্তের হিম-বাতাসে দোলে মাঠের সবুজ
দোয়েলের শিসে নিস্তব্ধ দুপুর ফিরে উচ্ছ্বল শৈশব
নতুন ধানের গন্ধে ব্যাকুল মনের চারিদিক
উচাটন মন সোনালি ধানের শীষের ছোঁয়ায়
নবান্নের অনাগত উৎসবের আশে;
আমার উদাসী মন হারায় তন্দ্রাঘোরে ।
পড়ন্ত বিকেলে সূর্য ডোবার মোহনীয় দৃশ্যে
পাখিরা দেহ ধুয়ে কলরবে মাতে সুরমা নদীর স্বচ্ছ জলে
দূরন্তপনায় মেতে ওঠে পাতিহাঁস, বুনোহাঁস, সাদা বক
কিশোরী নারীর মতন সাঁতার কাটে ভাবনার ভীড়ে
মন-পোড়া পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষার হাওড়-
জলাশয়ের বুকে নামে অন্ধকার
ঘনকুয়াশা মাড়িয়ে হেমন্তের সোনা ঝরা দিনের
বাউল নির্জন হয় একতারাতে;
শিশির ভেজা সবুজ পাতারা ছুঁয়
—পঞ্চদশীর চাঁদ
অতপর- অভিমানী বৃক্ষেরা শান্তি খোঁজে
নিশ্চুপ সন্ধ্যায় —হাসনাহেনার ঘ্রাণে
সুরের মূর্ছনা জাগায় ঘুঘুর বহর
শীত ছুঁয়ে পরাণ গহীনে নামে আপন আলো ।