দ্বিতীয় প্রহর ।। মোনালিসা রহমান

 


"লাগিয়ে পালে

তোমার খোলা হাওয়া।।

টুকরো করে কাছি,

ডুবতে রাজি আছি, আমি ডুবতে রাজি আছি॥


তোমার খোলা হাওয়া

লাগিয়ে পালে

তোমার খোলা হাওয়া

সকাল আমার গেল মিছে, 

বিকেল যে যায় তারি পিছে গো,

রেখো না আর, বেঁধো না আর কূলের কাছাকাছি॥


মাঝির লাগি আছি জাগি সকল রাত্রিবেলা,

ঢেউগুলো যে আমায় নিয়ে করে কেবল খেলা।

ঝড়কে আমি করব মিতে, ডরব না তার ভ্রূকুটিতে

দাও ছেড়ে দাও, ওগো, আমি তুফান পেলে বাঁচি॥""



সিদ্রা শোয়া থেকে মাথা তুলে খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। ঘন নিকষ কালো তিমিরে ছেয়ে গেছে লোকালয়, লোডশেডিং। তবে নীলিমায় শশাংকদেবের আগমন ঘটেছে, যিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃত্রিম আলোর অভাব কিছুটা হলেও ঘুচিয়ে দিতে।


তার একফালি সরু রশ্মি জানালার গ্রিল গলিয়ে সরাসরি রুমের মধ্যকার বিছানায় পড়ছে,মাথা তুলতেই আড়াআড়ি সিদ্রার মুখশ্রী ছুঁয়ে দিল।



পাশের ছাদে আদিল গা এলিয়ে অন্তরীক্ষ পানে চেয়ে গান করছে। আজ প্রথমবার নয়। আদিল প্রায়শই লোডশেডিং হলে ছাদে চলে এসে খালি গলায় গান ধরে। কি সুমধুর তার কণ্ঠস্বর, শুনলে মনে হয় শুনতেই থাকি। কতবার সে গান শুনে ছুটে গেছে সেই গায়কের কাছে। সিদ্রা পাশ থেকে ওড়নাটা নিয়ে মাথা ঢেকে গায়ে জড়িয়ে গুটি গুটি পায়ে পাশে বাবার রুমে উকি দিল। বাবা মা ঘরে, দরজা ভেজানো, তাদের গুনগুন কথা কানে আসছে। 



ড্রয়িং রুমের লাগোয়া বারান্দায় চাঁদের আবছা আলোয় শিফার কালো অবয়ব স্পষ্ট। 


-"শিফা, আমি একটু ছাদে যাচ্ছি। মা জিজ্ঞেস করলে বলিস রূপার বাসায় গেছি।" 


ফিসফিস করে শিফার পিছে দাড়িয়ে বলল।


-" আপা, না গেলেই নয়?" বিষণ্ণতা চেয়ে আছে সেই মৃদু প্রশ্নে।


-"কালকের পর তো আর কখনোই যাওয়া হবে না রে। আজ নাহয় শেষ ভুলটা করি।" এক ছটাক চাপা কষ্ট তবুও কণ্ঠের স্বাভাবিকতার প্রচেষ্টাকে হারিয়ে বেরিয়ে এলো।



হালকা গোলাপী রঙের জামাটা চাঁদের অকৃত্রিম আলোয় উজ্জ্বল শুভ্র দেখাচ্ছে। ছাদের পশ্চিমের রেলিং ধরে চাপা রিনরিনে কণ্ঠে ডেকে উঠলো, 


-"আদিল ভাই?" 


ওপাশ থেকে কোনো প্রত্যুত্তর এলো না। তবে সিদ্রা জানে মানুষটা এখনো ওখানে আছে। আলো এলেই তবে ঘরে যাবে।


-"আ_আদিল ভাই? শুনুন না?" 



এবারও সব নীরব উত্তর। ঝিঝি পোকার একঘেয়ে ডাকে নিশ্চুপ পরিবেশ নিমগ্ন। সিদ্রার প্রচন্ড অভিমান হচ্ছে। অসহনীয় কষ্টে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। আখিযুগলে যেন কেউ মরিচগুঁড়া ঢেলে দিয়েছে, তীব্র জ্বালা হচ্ছে। লোকটা এত পাষাণ কেন? শেষবারের জন্যও কি কথা বলা যায় না? জোরে জোরে দুইটা শ্বাস টেনে, শুকনো ঢোক গিললো।



-"আমি জানি আপনি এখনো আছেন আদিল ভাই। প্লিজ আজকে তো কষ্ট দিবেননা।" করুন অনুনয় ঝরে পড়লো ভাঙ্গা কণ্ঠে।



এবার পাশের ছাদের রেলিং পাশ ঘেঁষে ধীরে ধীরে উঠে দাড়ালো একটা পুরুষালি অবয়ব। চাঁদের আলো পরিধেয় কালো পোশাক উজ্জ্বল করতে না পারলেও রুপোলি আলোয় শুভ্র সুপুরুষ মুখখানা ঠিকই উদ্ভাসিত করলো, সিদ্রা একদৃষ্টে সেই চেহারায় চেয়ে রইলো। ট্রাউজারের পকেটে হাত গুজে কাঠ কাঠ কণ্ঠে বলল, 


-"তুই এখানে জানলে কুরুক্ষেত্র বাঁধবে সিদ্রা। জানিস না তুই?"


-"কেন?" মিনমিনিয়ে জিগ্যেস করলেও পাশাপাশি লাগোয়া ছাদে স্থির আদিলের কর্নকূহরে ঠিক তা পৌঁছালো। 


-"মামা বকবে তোকে। ঘরে যা সিদু।" কণ্ঠের সেই সুমধুর কোমলতা আর নেই। 


-"কেন?" একইসুরে আবারও সুধালো সিদ্রা। চন্দ্রালোেয় সিক্ত জ্বলজ্বলে আঁখির উত্তরের আকাঙ্ক্ষা।


আদিল জানে সিদ্রা কি জিজ্ঞেস করছে। তবু না বোঝার ভান করলো।


-"কাল তোর বিয়ে সিদু। এতরাতে ছাদে, তাও একটা পরপুরুষের সাথে, কেও দেখে ফেললে আর মামা জানলে ভালো হবে না। ঘরে যা, ঘুমা। কাল সুন্দর দেখাতে হবে তো? কালো চোখের পেত্নী দেখে পরে বর আবার না নিয়েই চলে যাবে।" 


-"বেশ হবে। পেত্নীকে ভালোবাসতে না পারলে তার কোন অধিকার নেই আমার উপর", চাপা ঝাঁঝালো কণ্ঠে তেতে উঠল সিদ্রা। "কিন্তু কেন আদিল ভাই? আপনি কেন পরপুরুষ হলেন? কেন আমার অধিকারী আপনি নন?কেন আমার স্বপ্নগুলোকে এভাবে মেরে ফেললেন আপনারা? কেন বুঝেননা আমার হৃদয়ের তাণ্ডবের কথা? কেন বোঝেননা আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না?" এবার ফুপিয়ে কেঁদে দিল, চোখজোড়া বর্ষা নামালো, তবে ত্বরিত মুখে হাত চাপা দিল, নির্জীব আঁধারে এই ক্রন্দন্সুর নির্ঘাত কান এড়াবে না। 



সুপ্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে সামনে চন্দ্রসিক্ত দ্বাবিংশ বর্ষিয়া রমণীর থেকে চোখ ফিরিয়ে নিল আদিল। তার হৃদয়ের আঘাতগুলো তো সামনে দাড়ানো রমণীর অজ্ঞাত। সে তো জানে না কি কঠিন বাস্তবতায় নিজের ছয় বছরের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিচ্ছে সে। খোলা আকাশের নিচেও তার যে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সব থেকেও যে তার কিছুই নেই। কাল যে সে আনুষ্ঠানিকভাবে নিঃস্ব হবে। পুরুষ হওয়ায় এই প্রথম নিজেকে ধিক্কার জানালো। নারী আবেগপ্রবণ, কত সহজেই না তারা নিজেদের অনুভূতিকে উজাড় করে প্রকাশ পারে। কিন্তু পুরুষ? যত ঝড়, যত বৃষ্টিই হোক না কেন, যত আঘাতেই জর্জরিত হোক না কেন, যত রক্তক্ষরণই হোক; সে যে পারে না নিজেকে প্রকাশ করতে! শত সহস্র কষ্ট খুবই সন্তর্পণে মাটিচাপা দিতে হয় এই বুকের ভেতরেই।



তার খুব ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে বুকে জড়িয়ে নিতে, আলতো করে মাথা চাপড়িয়ে বলতে, "কেঁদো না। তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয় না। আমি তো আছি।"  কিন্তু সে বলতে পারবে না। কারণ, আসলে সে তো নেই। এই মেয়েটির জীবনে তার কোনোই স্থান নেই। সেই অধিকার সে পায়নি।



-"শোন, তোকে দেওয়া শাড়িগুলো ফালা ফালা করে কেটে ফেলবি যেভাবে তোর হৃদয়কে নিংরেছি, চুড়িগুলো ঠিক ততটা ভাংবি যতটা তোর হৃদয় ভাঙলো, বইয়ের ফাঁকে লুকানো চিঠিগুলোর অনুভূতিগুলো আগুনের উত্তপ্ত আঁচে পুড়িয়ে দিবি, বইগুলো ফেলে দিবি যেমন করে তোকে আমি হৃদয়ের বাহিরে ফেললাম। উত্তপ্ত বৈশাখে, রঙিন বসন্তে, কম্পিত শীতের রাতে শিশিরের শুভ্রতায় যে মুহূর্তগুলো তৈরি হয়েছিল সব মনের কোঠায় বাক্সবন্দী করে ফেলিস। আমি প্রেমিক হিসেবে ব্যার্থ, সিদু। যে চোখের পানি না ঝড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম, আজ আমি সেই সিক্ত দৃষ্টির ঘাতক। আমাকে কখনো ক্ষমা করিস না।" 



আর এক মুহূর্ত দাড়ালো না আদিল। এই প্রথম এতদিনের অভ্যাসের ব্যত্যয় ঘটলো। অন্ধকারেই সে ত্যাগ করলো প্রিয় খোলা আকাশের নিজস্ব আলোকে। সিদ্রা হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো। এসব করলেই কি এত বছরের অনুভূতি সব হারিয়ে যাবে? দুই হাতে ওরনা মুখ চাপা দিয়ে অঝোর ধারায় মনের সমস্ত আশাগুলোকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে, ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে কাঁদে। এত দুর্নিবার ব্যাথা তো সে তখনও পায়নি যখন সে গতবছর গুরুতর গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করলো। আজকের কষ্টটা যেন মৃত্যুসম। হৃদয়টা যেনো নিঙড়ে মুচড়ে কেউ শেষ করে দিচ্ছে। তার খুব ইচ্ছে করছে আদিলকে জড়িয়ে কাঁদতে। তার আশ্বস্তি পেতে। কিন্তু সে জানে সে আর কখনো ঐ বুকে মাথা ঠেকাতে পারবে না যে বুকে তার জন্য অপরিমেয় ভালোবাসা আছে। ডুকরে কেঁদে মাথাটা মাটিতে ঠেকালো। এই কষ্টের কি মুক্তি আছে আদৌ?







আদিল অবাক চোখে সামনে বসা নারীর দিকে তাকিয়ে আছে। এক মুহুর্তে যেন তার পুরো অতীত বর্তমান হল। তবে এই নারী যে তার ফেলে আসা কোমল মায়াবিনী নয়! তার মলিন চেহারায় যে কঠোরতার ছাপ স্পষ্ট, চোখ বিষন্ন নির্জীব। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে, কত বছর যেনো ঘুমায়নি। অসুখেরা যেন পুনরায় হামলে পড়লো মনের গহীনে, পুড়িয়ে দিচ্ছে অসহ্য দহনে।


-"মিসেস আনাম?" 

সিদ্রা সরাসরি আদিলের চোখে চেয়ে। মৃদু হেসে তাচ্ছিল্যের সুরে বলল, 

-"মিস সিদরাতুল চৌধুরী। আপনি হয়তো খেয়াল করেননি আমি ডিভোর্সি।" 


আদিল চোখ নামিয়ে চশমার ফাঁকে ফাইলের বায়োডাটায় পুনরায় চোখ বুলালো। সে নিশ্চুপ।


-"সেদিন বাবা বলল, রাফিনের চেয়ে ভাল, যোগ্য পাত্র আর একটাও নাকি নেই। আমাকে সারাজীবন আগলে রাখবে, কোনো কষ্ট পেতে দেবে না। এস্টাবলিশড ছেলে, খানদানি বংশ। টাকার অভাব নেই। কিন্তু কি জানো, তার মনে ভালোবাসার অভাব ছিল।" 


সামনে রাখা চায়ের কাপটায় শান্ত ভঙ্গিতে একটা চুমুক দিয়ে পেয়ালায় রেখে দিয়ে আবার বলল, 

-"আমার প্রথম বাচ্চাটা মিস্ক্যারাজ হয়। ডাক্তার বলেন আই উড নেভার বিকাম এ মাদার। রাফিন প্রথম দিকে সাপোর্টিভ ছিল। কিন্তু এক সময় সেও বুঝলো তার একটা সন্তান দরকার। আড়াই বছরেই আমি তার রুমের অধিকার হারালাম। বুঝলে? সে অফার করেছিল, আমার টাকা পয়সার অভাব হবে না। তবে আমি পারিনি থাকতে।" 


আদিল স্তব্ধ। কথা বলার শক্তি যেন লোপ পেয়েছে। গলা শুকিয়ে গেছে। যার জন্য সে সমস্তটা ত্যাগ করেছে, দেশ ছেড়েছে, সে-ই আজ বিদঘুটে বাস্তবতা নিয়ে তার সামনে চাকরির জন্য এসেছে।


-"আমি ক্ষমা করতে পারিনি বাবাকে। যিনি নিজের মেয়ের মিথ্যে সুখের আশায় একজন যোগ্য প্রেমিককে সর্বস্বান্ত করার হুমকি দিতে পারেন, তার কাছে ফিরে যাওয়ার রুচি আমার হয়নি। মামনি কেমন আছে?" 



-"ভালো।"  


খুব ছোট উত্তর। কারণ সে জানেনা তার কি করা বা বলা উচিত।


চেয়ারটা ঘুরিয়ে পিছনের গ্লাসের দেওয়াল ভেদ করে বাইরে দৃষ্টিপাত করলো। ডিসেম্বরের শেষভাগ। ঝিরিঝিরি স্নো ফল হচ্ছে। বাড়ি, দোকান, রাস্তাঘাট সব রঙিন আলো ও সজ্জায় সজ্জিত আগমনী ক্রিসমাস উপলক্ষে। অন্টারিওর দুরদিগন্ত গোধূলির লাল সিঁদুর লেপ্টে নিচ্ছে। আট বছর এখানে থেকেও জায়গাটাকে ভালোবাসতে পারলো না আদিল। 


-"আই এম সরি। আমার জন্য তোমাকে মামনির নামে এত নিচ ও মিথ্যা অপবাদ সহ্য করতে হয়েছে, সরি।" 


 সেদিন আসিফ চৌধুরী নিজ বোনের নামে কুৎসা রটানোর ভয় দেখিয়ে আদিলের সাথে সিদ্রার সম্পর্কটা ভেঙে দিয়েছিল। তার মা-বাবা পালিয়ে বিয়ে করে। বাবাকে সে দেখেনি, বিয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই অ্যাকসিডেন্টে মারা যান। আসিফ সাহেব তাকে চিনলেও তাদের বিয়ে অস্বীকার করেন। এবং আদিল গর্ভে এলে মিথ্যা অপবাদ দিতেও পিছপা হননা। তবু সময়ের সাথে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন জানতে পারেন আদিল তার মেয়েকে ভালোবাসে তখন আবারও তিনি জঘন্য মানসিকতার পরিচয় দেন। তার মা-ই তার সবচেয়ে বড় সম্পদ, তার নিজস্ব পৃথিবী। কি করে পারতো নিজের সুখের জন্য নিজের মা কে মিথ্যে অপমানিত হতে দিতে?


-"সিদ্রা?"


-"হুম?" 

-"রফিনকে ভালোবাসতে পেরেছিলে?"

-"চেষ্টা করেছি। পারিনি।"

-"আমাকে ভুলেছো?"

-"সেই চেষ্টা করলে আজ তোমার সামনে থাকতাম না।"

-

-"আচ্ছা, আমি যদি তোমার কাছে ফিরতে চাই তুমি কি আমাকে ফিরিয়ে দিবে, আদিল?

-

-"দেওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি তো আর তোমার সিদু নেই। তবু, নির্লজ্জ মন।" 


রাত নেমেছে ব্যস্ত রঙিন শহরে। স্নো পড়া বন্ধ হয়েছে, তবে মাটি এখনো সিক্ত শুভ্রতায়। সুউচ্চ বিল্ডিংয়ের ছাদে দাঁড়িয়ে রাতের যবনিকাপাত দেখছে দুই জোড়া ব্যথিত, বিষণ্ন চোখ। কতশত চিন্তা ভাবনা খেলে যাচ্ছে দুইটি মস্তিষ্কে।


আদিল চোখজোড়া বন্ধ করে ভীষন একটা সিদ্ধান্ত নিল।


-"আবার শুরু করা যায় না সব? সিদু?"


সিদ্রা আহিলের কথায় পিছন ফিরে। আদিল সোজা তার দিকে চেয়ে, দৃষ্টি বলে দিচ্ছে সে ভুল শোনেনি।

আচমকা দমকা হওয়ার ন্যায় জাপটে ধরলো আদিলকে। তার বুকে মাথা ঠেকিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো।

তবে আজকের কান্না চাপার প্রয়াস সে করলো না। চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। আদিল তার শক্ত বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিল ভগ্ন হৃদয়ের বিধ্বস্ত সেই নারীকে। আজ সে চোখের পানি মোছার কোনো চেষ্টাই করলো না। 


ধুয়ে যাক না সব লুকিয়ে রাখা রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, অপমান, কষ্ট, হারানোর বেদনা, অব্যক্ত সব আহাজারি, প্রশ্ন। নিকষ আঁধার কালো রাতের যবনিকাপাত যদি না-ই হয় তবে নতুন এক স্নিগ্ধ শুভ্র প্রভাতের সূচনা কি সম্ভব? 

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।