এক ভুতুড়ে কান্ড ।। শুভব্রত ব্যানার্জি


আজ থেকে বেশ কিছু বচ্ছরের আগেকার কুথা। তখন আমি গোপালপুর গেরামের পেরাইমারি ইস্কুলের মেষ্টর। টাউনে পাকা বাসা থাকলেও যাওয়া আসার অসুবিধার তরে আমি ওখানেই থাকতুম। ইস্কুলে পড়াই বুলে বেশ কিছু টিউশানিও জুটেছিল কপালে। একলা থাকি। সময় কাটতো নি। তাই পড়াশুনা নিয়ে বেশ দিন কেটে চলেছিল।

একদিন পড়াতে পড়াতে বেশ রাত্তির হয়ে গিয়েছিল। নির্জন পথ। কেউ কুত্থাও নেই। আমি একা হেঁইটে হেঁইটে ঘরে ফিরতিছিলাম। তখুন রাত নটা দশটা হুবে। আমাবস্যার রাত ছিল সেদিন। যদিও ভূত প্রেত বিশ্বাস করি না নিজে। তবে সেদিন চারিদিকের পরিবেশ দেখে গাটা ছমছম করে উঠেছিল বটে। 

মনে সাহস নিয়ে চলেছি। এমন সময় একজন ভদ্রলোক আমাকে দেখে এগিয়ে এলো। তার গায়ের পোষাক ছিল বেশ চটকদার। আমাকে পরিচয় দিল বিশ্বনাথ মিস্ত্রি বলে। বললে ওই গোপালপুর গেরামের বাসিন্দা। উনি পেশায় ছিলেন অভিনেতা। অবসর সময় পেলে হেমাপাতি চিকিৎসা করেন।

গেরামের নানা মানুষের নানা কথা বলতে কখন যে আমি ঘরের সামনে এসে গেলাম বুঝতেই পারলুম নি। পথের মাঝে ভয়টা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল সঙ্গী পেয়ে। বাড়ি এসে পেছুন ফিরে দেখব, দেখি লোকটা অনেক দূরে চলি গিয়েছে। বাড়ি ফিরে দুটি খেয়ে শুয়ে ঘুম আর আসে না। ভদ্রলোকের সুমিষ্ট চেহারা আমার ঘুম যেন কেড়ে নিয়েছিল।

বেশ কিছুদিন পরে রাতের বেলায় পড়িয়ে ফেরার পথে, আবার বিশ্বনাথ বাবুর সাথে দেখা। সেদিন আমি ব্যক্তিগত একটা সমস্যার ব্যপারে বেশ চিন্তিত। ভদ্রলোক আমার মুখের দিকে তাইক্কে বললেন, আপনাকে আমি একজনের কাছে পাঠাব। তার কাছে আপনার সমস্যার কথা বুললে আপনি সমস্যা মুক্ত হবেন। আমি তো শুনে থ।

আমি জিগগাসা করলুম। বলুন তো আমার সমস্যাটা কী? একটু মুচকি হেসে উনি কইলেন, 'আপনার মাসিক বেতন অন্যদের তুলনায়, তেমন বাড়ে নি। তাই নিয়ে আপনি এক মান্সিক আশান্তিতে ভুগছেন। উপর ওয়ালাকে চিটটী লিখেও কোন লাভ হয় নি।' আমি তো উনার কথা শুনে হাঁ। হেসে উনি আমাকে এক জনের নাম ও ঠিকানা দিলো। বললেন ওনার নাম করে বলতে। 

পরের দিন আমি সেই ব্যক্তি, প্রণব বিশ্বাসের সাথে দেখা করতে, আমার সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। আর সময় মতো আমি আমার সকল বকেয়া প্রাপ্তি পেয়ে গেলাম। প্রণব বাবুকে ধন্যবাদ জানাইতে গেলে, উনি বিশ্বনাথ বাবুর কথা বিশ্বাস করতে পারলেন না। আমিও স্বার্থপর মানুষের মতো বিষয়টাকে না বাড়িয়ে বাড়ি ফিরে আসি।

এর পর এই বিশ্বনাথ বাবুর সঙ্গে আর দেখা হয় না। তাকে যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো সেই সুযোগও পেলুম নি যেন। একদিন রাত্রে যথারীতি আমি যেমন ফিরি, দেখি বিশ্বনাথ বাবু দাঁড়িয়ে। চেহারার কুনো  পরিবর্তন নেই। এমন কি পোষাক আশাকেও। বিষয়টা চোখে লাগলো। কাছে যেতেই আমাকে মিষ্টি হেসে বললেন, 'আমি জানি আপনি আমাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বেশ কিছু বার খুঁজেছেন।' আমি কথাটা শুনে সেদিন তাকে ধন্যবাদ দিলাম। তবে উনি সেদিন আমার কাছ থেকে এমন একটা উপকার চাইলেন, সেটা আমার কাছে অসম্ভব।

বিশ্বনাথ বাবু আমাকে তার স্ত্রীকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। ওনার এই প্রস্তাবে আমি রাজী হই কী ভাবে। আমি অবিবাহিত ঠিকই। কিন্তু এক বিবাহিত পুরুষের স্ত্রীকে বিবাহ কেমন করে করি। ভদ্রলোক তো নাছড় বান্দা। আমি ওনার কাছ থেকে দু-এক দিনের সময় চাইলুম।

বিষয়টা নিয়ে ক্রমশ মাথার মধ্যে জোট বাঁধতে লাগলো। কখন মনে হচ্ছে, উনি খুব গুরুত্ব সহকারে বলছে। আবার মনে হচ্ছে, উনি মজা করতিছেন। এই নিয়ে কাকে কী বলবো ভাবছি। হঠাৎ রাত্তির বেলায় দরজায় করাঘাত। দরজা খুলে দেখি ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে। আমি চমকে উঠলাম। বললেন, 'আপনি চিন্তা করছেন কেনো। আপনি আমার বউয়ের সাথে গিয়ে কথা বলুন।' তার কথাটা শুনে আবার যেন বান মারল আমায়।

যাবার আগে বিশ্বনাথ বাবু আমাকে একটা ঠিকানা দিয়ে গেলেন যেখানে উনার স্ত্রী সুলতা থাইকেন। পরের দিন সকাল বেলা আমি পৌছেগেলাম নির্দিষ্ট ঠিকানায়। গিয়ে বিশ্বনাথ বাবুর কথা বলতেই একজন ভদ্রমহিলা বেরিয়ে এলেন। পরনে লাল পাড় শাড়ী। মাথায় রাঙা চওড়া সিন্দুর। কপালে সিন্দুরের টিপ। যেন সাক্ষাত জগদ্ধাত্রী। আমাকে দেখে বললেন, 'আপনি বিশুর বন্ধু বুঝি।'

আমি শুনে আশ্চর্য হলুম। জিজ্ঞেস করলুম উনি ওনার স্ত্রী কিনা। উনি হেসে বললেন, না। উনি ওনার দাদার গৃহিনী। আমি সুলতা দেবীর কথা বলতেই ভিতর থেকে একটি কম বয়সী মহিলা বেরিয়ে আসে। তার পরনেও সধবার সাজ। দেখে একটু স্তম্ভিত হলাম। বিশ্বনাথ বাবুর কথা বলতেই মেয়েটি যেন আশার আলো দেখতে পেলো। ভাবলো আমি বোধয় তার ঘরে ফেরার কুনো খবর এনেছি। 

কথায় কথায় জানতে পারি বিশ্বনাথ বাবু বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হবার কাহিনী। মানুষটা ছিল খুব সাদাসিধে। পরের দুঃখে তার মন কাঁদত খুব। পেশায় তিনি ছিলেন এক মাস্টার মশাই। গোপাল পুরে সকলে তাকে বিশু মাস্টার বলেই চিনতো। ভালো অঙ্ক আর ইংরেজি পড়াতে জানতো। সাহিত্য জগতে ওনার নাম ছিল বেশ।

বিশ্বনাথ বাবুর বন্ধু বলতে ছিল তার ছাত্রদল। সমবয়সীদের সঙ্গে তার মিলমিশ ছিল কম। তবে ওঠা বসা করত সকলের সঙ্গে। ভালো বাচিক শিল্পী ছিলেন উনি। রবীন্দ্রনাথ নজরুল সুকান্ত কন্ঠস্থ ছিল তার। রাজনীতি করতেন না। কিন্তু অন্তরঙ্গ ভাব ছিল সকলের সঙ্গে। বিয়ের দিন সাতেক পর, এক রাজ নৈতিক নেতার ডাকে তিনি কলকাতা গেলেন। বললেন, পরের দিন কাজের শেষে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিরলেন না। বছর পাঁচেক ধরে তার প্রতীক্ষায় বাড়ির লোকে আপেক্ষা করছে। তার স্ত্রীও।

সেদিন তার স্ত্রী আমাকে অপলকে দেখে গেল। দেখে আমার নিজের খুব লজ্জা লাগলো। কিন্তু তার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আমিও মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভালো লেগে গেলো মেয়েটাকে। তবে হঠাৎ মনে হলো, আমি পাপ করছি। হাজার হলেও উনি পরস্ত্রী। বিশ্বনাথ বাবু আজও আছেন। হয়ত কোন কারণে উনি ফিরতে পারছেন না। তাই সেই দুঃখে তিনি আমাকে কইলেন, ওনাকে বিয়া করার জন্য। ওনার বাড়ি থেকে বিদায় নেবার কালে, সকলে বলল আমাকে মাঝে মাঝে আসার জন্যে।

বিশ্বনাথ বাবুর সঙ্গে আবার একদিন দেখা হলো আরেক রাত্রে। সেদিনও আমি যথারীতি পড়িয়ে ফিরছিলাম। আমাকে সন্ধ্যার অভিবাদন করে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ওনার বৌকে কেমন লাগলো। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, আপনার বৌকে আমার কেমন লাগলো, সেটা আপনাকে কইব কেন। শুনে মুচকি হেসে বললেন, আজ থেকে ওটা আপনার দায়িত্ব। উনি যেন নিশ্চিন্ত হলেন।

পরে একটু ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করলাম, উনি বাড়ি যাচ্ছেন না কেন। বললেন, বাড়িতে গেলে ওনার আর হবে না। উনি থেকেও নেই। আমি ভুরু কুঁচকে দেখলাম ওনার দিকে। কইলেন পরে একদিন বলবেন। এই বলে হেঁটে চলে গেলেন অন্ধকার এক রাস্তার দিকে। মুখে একটা মধুর গান তার।


বুঝে উঠতে পারলাম না লোকটার কথা। হঠাৎ একদিন গেলাম ওনার বাড়িতে। সেদিন যেতেই দরজা খুললেন বিশ্বনাথ বাবুর স্ত্রী। আমাকে ভিতরে ডেকে বসালেন। আমি জানতে পারলাম, সেদিন উনি বাড়িতে একাই আছেন। উনর বড় জা আর ভাসুর বেরিয়েছেন। আসতে দেরি আছে। অনেক কথা হলো সেদিন। কথায় কথায় আমরা আপনি থেকে তুমিতে নেমে এলাম। মালতী ওর নাম। ওর মুখের হাসি দেখে আমি নিজেও খুব খুশি হলাম।

এই ভাবে প্রায় যেতে আসতে যেতে আসতে ওদের সঙ্গে একটা আলাদা সম্পর্ক হয়ে গেল। হঠাৎ একদিন দেখা বিশ্বনাথ বাবুর সঙ্গে। বললেন, বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ভালোই তো মিশে গিয়েছেন। এবার নয় বিয়ের কথাটা পাড়ুন। শুনে বিরক্ত হলাম। মানুষের সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া ভালো কিন্তু এই প্রস্তাব ছি ছি। বললাম আপনি থাকতে, কেন আমি আপনার বউকে বিয়ে করবো। আগের দিনের মতো মুখে গান গাইতে গাইতে চলে গেলেন এক অন্ধকার মাঠের দিকে।

এবার স্কুলে একদিন অফিস ঘরে কাগজ ঘাঁটতে দেখি বিশ্বনাথ বাবুর ফাইল। ফাইলটা হাতে নিয়ে চলে গেলাম হেড মাস্টার মশাইয়ের কাছে। উনার কাছ থেকে শুনলাম, উনি স্কুলের শেষে কিছু ছেলেদেরকে পড়াতেন, যারা ছিল অসভ্য, নিচ মন বৃত্তির। তাদেরকে ঠিক পথে আনতে তাদের সাথে রূড় আচরণ করেন বিশ্বনাথ বাবু। এবং শেষে তাদের আচরণে পরিবর্তন আনে। কিন্তু জীবনে তারা সেই ভাবে সফল হয় নি। তাই একটা রাগ ছিল বিশ্বনাথ বাবুর ওপর।

এর পর একদিন বিশ্বনাথ বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখি ওনার স্ত্রী একা। অসুস্থ। শীতে ভীষণ ভাবে কাঁপছে। বাড়িতে কেউ নেই তার। ফোন করে একটা ডাক্তার ডাকব উপায় নেই। দু-তিনটে গরম চাদর যেন অত্যন্ত কম। কোন উপায় না পেয়ে দৈহিক উষ্ণতা দিতে তার শীতের প্রাবল্য কমে। কিন্তু ঘটে যায় এক চরম বিপত্তি। মালতী আর আমার দৈহিক সম্পর্ক হয়ে যায়। যদিও বাড়িতে কেউ ছিল না। আমি বেরিয়ে যাই ওদের বাড়ি থেকে।

এই ঘটনার পর মালতীর সঙ্গে দেখা হয় নি অনেক দিন। সত্যি কথা বলতে, লজ্জায় যেতে পারি নি আমি। একদিন রাত্রে, বিশ্বনাথ বাবুর সাথে দেখা। এক রাশ হাসি হেসে বললেন, অভিনন্দন। আমি শুনে অবাক। কারণ জিজ্ঞেস করতেই বলে, আপনি পিতৃত্ব লাভ করেছেন। কথাটা শুনে আমি লজ্জায় মাথা নীচু করে ফেললাম। উনি বললেন, আমি তো আপনাকে বলেছি, মালতীকে বিয়ে করার জন্য। আর আপনি তো এমনি এমনি করেন নি। করেছেন, এক আসুস্থ রুগীকে সেবা করতে গিয়ে। আমাকে বললেন, আমি গিয়ে যেন ওদের বাড়িতে দেখা করে আসি।

একদিন সন্ধ্যেবেলায়, পড়ানো ছিল না। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সোজা ওনাদের বাড়িতে। যেতেই দরজা খুললেন বিশ্বনাথ বাবুর বড় বৌদি। ভদ্রভাবে ভিতরে আসতে বলেই, হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। বললেন, আমি এরকম করলাম কেন। আমি নির্বাক। ভেতর থেকে মালতি এসে দাঁড়াতে আমি পড়লাম এক অস্বস্তি পরিবেশে। তাকে বোঝবার চেষ্টা করেও শেষকালে বলেই বসলাম, আমি মালতীকে ভালোবাসি। সেদিন তার কষ্ট দেখতে আমি পারি নি বলেই, এবং কোন উপায় না পেয়ে তাকে এই সেবা দিতে বাধ্য হয়েছি।

সামাজিক কলঙ্ক থেকে ওনাকে বাঁচবার কথা বলতেই, উনি বললেন, মালতীকে বিবাহ করার জন্য। আমি শুনে হাঁ। আমি মনে করিয়ে দিলাম, মালতী বিবাহিত। বিশ্বনাথ বাবু জীবিত। ভদ্রমহিলা আমাকে একটা কাগজ দেখালেন। কাগজটা দেখে চমকে উঠলাম। দেখি বিশ্বনাথ বাবুর মৃত্যুর সংশয় পত্র। কারণ, রেল দুর্ঘটনা। 

বিশ্বনাথ বাবুর দাদা উপস্থিত হলেন সেখানে। উনি জানালেন, পাঁচ বছর আগে ওনার ভাই বিশু কলকাতায় গিয়েছিলেন কোন একটা কাজে। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপালপুর স্টেশনে ঠিক ঢোকার আগে কয়েকজন বকাটে ছাত্রদের ঠেলা ঠেলিতে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়েন এক রাশ পাথরের উপর। এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম ছেলেগুলো কে। বলল সুমন, বুতু আর নানু। 

জানতে চাইলাম, এই ছেলেকটার কোন শাস্তি হবে না কি। জানতে পারলাম ওরা সকলেই ফেরার। মালতীর এই প্রকার সাজ কেন তাহলে। বলতে বিশ্বনাথ বাবুর বৌদি বললেন, মেয়েটা ওনারা নিজের মায়ের পেটের সন্তান। তাই বোনকে ওই বৈধব্য বেশে দেখতে না চাইবার কারণে বিশ্বনাথ বাবুর কোন পারলৌকিক কাজও হয় নি। তাই আজ ওনার বিদেহী আত্মা ভালো কোন মানুষ দেখলেই মেয়েটার সুবন্ধ ব্যবস্থার জন্য এই বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। শেষকালে আজ ওনার আত্মা শান্তি পাবে। 

মালতীকে দেখলাম চোখে এক রাশ জল নিয়ে এসে দাঁড়ালো আমার সামনে। আমি কিছুদিনের মধ্যেই তার পানিগ্রহণ করলাম। এরপর বিশ্বনাথ বাবুর সঙ্গে দেখা হয় নি ঠিকি। কিন্তু আমাদের ছেলের নাম রেখেছি বিশ্বনাথ।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।