সিজদায় মাথা ঠেঁকে রোজ চোখ ভিজে যাওয়া বান্দার আকুতি তার প্রভু শোনেন,
মোনাজাতে উঁচিয়ে রাখা দু'হাতের ভাঁজে স্পর্শ করা দীর্ঘশ্বাসের অস্তিত্ব তার প্রভু জানেন,
বান্দার অশান্ত মনের আর্তনাদের শব্দ তার
প্রভুর দরবারে পৌঁছায়।
হে অসহায়, হে নিঃসঙ্গ , হে ক্লান্ত পথিক,
তোমার চারপাশে শুধুই শুন্যতা!
তুমি রোজ ঠকেছো,
সবচেয়ে আস্থা ভাজন জায়গা গুলো থেকো।
আজ তুমি বন্ধু শুন্য,
তোমার সঙ্গতায় আজ শুধুই হাহা কারের ছন্দ বাজে।
দম বন্ধ হয়ে যাওয়া চার দেয়ালের বন্দী দশায় তোমার আত্মার রোজ ফাঁসি হয়।
একটু শুনো, অস্থির মনটাকে একটু ঘুড়িয়ে নাও আকাশের মালিকের পানে।
মন টাকে ভরসা দাও,
তোমার মালিক তোমায় একা রাখবেনা।
তোমার হৃদয়ে আওয়াজ তোলো,
তোমার মালিক স্বার্থপরের মতো তোমাকে কখনো ছেড়ে যাবেনা।
তোমার দুর্দিনে তোমার ভরসা করা মানুষ গুলো যখন তোমার হতে দূরুত্ব বাড়ায়,
তোমার ভীষণ প্রয়োজনে তুমি পাশে আকড়ে ধরে রাখার মতো যখন কাউকে পাওনা।
সংকট ময় এমন পরিস্থিতিতে তোমার অসহায়ত্বে দুনিয়া হাসলেও
একজন থেকে যায় যে তোমার শেষ ভরসা হয়ে পাশে রয়।
তুমি কষ্ট পেওনা, তুমি হতাশ হইয়ো না,
তোমার রব তোমাকে একাকিত্বের বিষাদে ছেড়ে দেবে না কখনো।
ওহে, তোমার রবের পানে একটু চাও,
একটু তাকাও।
দেখো, তোমার প্রতি তার রহমতের বৃষ্টি তোমাকে কিভাবে শীতল করে।
উপলব্ধি করো, তোমার প্রতি তোমার রবের সান্নিধ্যে তোমায় কিভাবে উজ্জীবিত করে লড়ে যাওয়ার।
হে বান্দা যে দুনিয়ায় তোমার বেঁচে থাকা অনিশ্চিত,
যে দুনিয়ার মানুষ গুলো
আজ আপন কাল পর বনে যায়,
তুমি সেই দুনিয়ার ব্যস্ততায় ডুবে তোমার রব হতে দূরুত্ব বাড়িয়োনা।
তুমি দুনিয়ার বুকে যে সুখ তালাশ করো,
সে সুখ তোমায় সুখী করার বদলে তোমায় শুধুই পোড়াবে তুষের আগুনে।
তুমি দুনিয়ার বুকে যাকে বন্ধু ভেবে আপন আঙ্গিনায় ঠাঁই দিবে
দিনশেষে সে তোমার আমানতের খেয়ানত করবে।
তুমি তোমার রবকে বন্ধু বানাও,
তোমার রবের সান্নিধ্যে মনে ধারণ করো।
কষ্ট পেয়ে পেয়ে ভেঙ্গে যাওয়া মানুষ তুমি
শুনে রাখো, তুমি নিশ্চয়ই প্রতিদান পাবে।
তুমি নিশ্চয়ই এমন কিছু পাবে যা তুমি কোনদিন কারো হতে আশা করোনি।
তোমার স্রষ্টার ভান্ডারের সব সম্পদ তোমার জন্যই বরাদ্দ,
শুধু চেয়ে নেয়ার জন্য স্মরণ করো সেই মহান প্রভুকে, তার দাসত্বে সঁপে দাও নিজেকে।
তোমার স্রষ্টা প্রতিশ্রুত বদ্ধ,
তার পানে উঠানো হাত দু'টো ভরে
তোমার রব তোমায় নিজ হতে পুরষ্কৃত করবেন।