জলসার মজলিসে মেতেছে শহর,
বড়দিন ছড়াচ্ছে তার উষ্ণতার তাপ।
প্রকৃতির পারদ যদিও নিম্নমুখী,
তবু উৎসবের রোশনাইয়ে হেরেছে তার পরিমাপ।
এ মজলিসে সামিল ছোট থেকে বড়,
নেই বাছবিচার জাত ধর্মেরও।
হাজারো খাদ্য সমাহারে বিপুল আয়োজন,
তারই মাঝে কেকের পসরায় পোয়াবারো।
হাইরাইজ থেকে রাস্তা সেজেছে আলোকমালায়,
শিশুরা আছে সান্টার উপহারের অপেক্ষায়।
তবু কিছু গলিপথ আজও আঁধারেতে ঘেরা,
অর্ধাহারে, একটু উষ্ণতার খোঁজে খড়কুটোর তাপ পোহায়।
সেখানে আসে না কোনো সান্টা বুড়ো,
উপহারের ডালি সাজিয়ে কারো জন্য।
উৎসব ছড়ায় না তার এক কণা আলো,
হাইরাইজের পাশে ঝুপড়িগুলো যে উদ্বৃত্ত, নগণ্য।
এঁটোকাঁটা শুঁকেই তাদের দিন গুজরান,
ঝরতি পড়তিতেই শুধু চলে রোজকার ভাগ।
হায় যিশু, তুমিও ছিলে যে হতদরিদ্র,
সেই তোমারই জন্মোৎসবে আজ প্রান্তিকেরাই গিয়েছে বাদ!
বড়ো শীতার্ততায় জীবনের বোঝা বয়ে,
শুধুই করে চলে তারা নিত্য বাঁচার লড়াই।
বড়দিন আসে যায় প্রতি বছর সব খানেতেই,
তবু এই বিশাল পৃথিবীতে আজও তাদের নেই ঠাঁই!
দিন বড়ো হয় তোমারই স্মরণে,
উৎসব উৎযাপনের মিলনমেলায়।
তবু তোমার বাণী আজও পায়নি মান হৃদয় মাঝে,
তাই মনের ঘরে আজও স্থান সংকুলান, ভীষণ সংকীর্ণতায়।।