বর্ষা এসেছে,,,
বর্ষার স্মৃতিঘেরা জায়গাটা আজ কেমন অচেনা লাগছে!
হেরে যাওয়া নিয়তি কেমন প্রকৃতিকে নিস্তব্ধ করে রেখেছে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে উর্ধ্বাকাশে তাকিয়ে দেখি মেঘ জমেছে।
আকাশ বৈরী আলোটাও ঝাপসা হয়ে এসেছে।
এরিই সাথে মনের কোণে কিছু অগোছালো গল্প দোল খেয়ে যাচ্ছে।
এলোমেলোই বটে,সাজানোর পূর্বেই যে কাহিনির বিরাম ঘটেছে!
মনকে সুধাই কেন এসেছিল সে!কি এর অন্ত কথা?
ভাবার্থটা কেন এতোটা অচেনা!
এর পরেই ঝোড়ো হাওয়া,একিই সাথে আমার ভেতর বাহির আন্দোলিত করে তুলেছে।
তারপর রিমঝিম বৃষ্টি!
বর্ষা এসেছে,,,
তার একেকটা ফোঁটা চোখের পাতা বেয়ে নোনাজলে একাকার হয়ে
আমার স্তব্ধ শরীর বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে!
কুঁকড়ে যাওয়া শঙ্কিত মন কতো কিছুরই না হিসাব মিলচ্ছে।
প্রতিবার বর্ষা আসে দূর থেকে ভেসে আসা মেঘগুলো সীমাহীন উচ্ছ্বাস নিয়ে আসে।
ঝোড়ো হাওয়া যখন বৃষ্টির আভাস দেয়?
ছুটে যাই মন ভালো করা সেই জায়গাটায়।
তাকিয়ে থাকি বিস্তীর্ণ মাঠ পেরিয়ে,
অদূরের সারি সারি পাঁচটি আম গাছেদের পানে।
ছোট্ট বন্ধুদের মতো তাদের সাথেও ভাগাভাগি করি সুখগুলো,
বর্ষার জল ছুঁয়ে বিধাতার কাছে বলি এজন্মের ইচ্ছেগুলো।
এবারও বর্ষা এসেছে,,,
এবার বর্ষা আসেনি সীমাহীন উচ্ছ্বাস নিয়ে,
এসেছে সীমাহীন রিক্ততা নিয়ে,
এসেছে বন্ধু হারানোর ভয় নিয়ে।
বন্ধু তো কতো লোকেই হয়!
কই কাউকে হারানোর জন্য তো এতো ভয় হয়নি?
কই কাউকে হারানোর ভয়ে তো এমন শ্বাসরুদ্ধ হয়েও আসেনি!
আকাশ পাতাল ভাবনায়,অবিরাম বর্ষায়
অবচেতন মনে অগাধ বিশ্বাস নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে তাকেই চাই।
এবার আর এজন্ম নয় জন্মান্তর চাই।
যে বন্ধুকে আমি সংসারে বেঁধে রাখতে পারিনি তাকে তুমি দিও জন্মান্তরে!
জন্মান্তরে যে কোন শব্দ নেই 'মোহ' বলে!
সেখানে যে এমন কোন শব্দও নেই 'গর্হিত' বলে!!!
সারমিনা হিরা
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ (অনার্স ৩য় বর্ষ)
ভুরুঙ্গামারী,কুড়িগ্রাম