আকাশে মেঘের আলাপনা,
যেন শ্রাবণে আকাঁ মেঘ ।
আমাকে ডাকছে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ_
যেন হারিয়ে যাওয়ার খেলা ।
বয়সের ভাড়ে লজ্জিত আমি;
২০'শে পদার্পন ।
বিষাক্ত ধোয়ার মত বেড়েই চলছে;
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে ছুটে চলা_
আগামীর ভবিষ্যৎ ।
যারা আজকের শিশু...।
জানালার পাশে শুয়ে বসে-বসে তাকানো দৃশ্য ।
মনে করিয়ে দেয়- শৈশবের স্মৃতি ।
যেখানে লুকিয়ে আছে হাজারো শ্রাবণের পান্ডুলিপি ।
প্রিয় মুখগুলো দেখে মনে হয়_ স্মৃতির শহরে কখনো শ্রাবণ আসবে না ।
একদিন হারিয়ে যেতাম_ শ্রাবণের মেঘ হয়ে,
শ্রবনা নক্ষত্রের দেশে;
রিমঝিম বৃষ্টিতে নিস্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে ।
কিংবা পিচ্ছিলতার মনে কাঁদাপূর্ণ সড়কে;
ছুটে যেতাম_ বৃক্ষ বনের দেশে,
চুর-ডাকাতির বেসে;
গাছে ফলানো ফলের অভিমুখে ।
মনে হতো এ পৃথিবীর সবকিছু আমার;
আমি নিস্পাপ মাত্র ।
শ্রাবণের মেঘ_ যেন সারা দিনের কান্না,
কখনো বা দিন-রাত প্রচন্ড অভিমান নিয়ে শস্কিত রিমঝিম শব্দে বয়ে চলে ।
কৃষকের আর্তনাত... ।
আর কত? অনেক হয়েছে...।
আসিতেছে হেমন্ত_
মাঠে-মাঠে ফসলের সমাহার ।
কার্তিকে নবান্ন_
হে শ্রাবণের মেঘ, আমি নিঃসঙ্গ বৃষ্টির শব্দে ।
শান্তনার অভাবে;
আমাকে মুক্তি দাও ।
স্বপ্ন পূরণের লক্ষে, প্রিয় শ্রাবণের মেঘ ।
শরৎ- এ কাশফুলের পাশে লুকিয়ে থাকা ইঁদুর, সেও আমাকে চেনে ।
সেই দিনগুলো আজ নেই,
স্মৃতিগুলো পরে আছে ।
তবুও খালি নেই_
অভিরাম চলছে...।
আজ এসেছে নতুন কুড়ি;
শুধু সেই সেদিনের আমি নেই ।
কত স্বপ্নের উপমা এই শ্রাবনে; কত স্বপ্ন মেঘে ডেকে যায় ।
কত জন এলো-গেল , কত জনে আসবে ।
শ্রাবনের মেঘ শুধু থেকে যায় ।