সুন্দর দৃষ্টিনন্দন নয়নাভিরাম আর অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি তুমি
তোমাকে আমার নিজের করতে রক্ত নামের ত্যাগ দিয়েছি আমি।
তোমাকে পেতে দিতে হয়েছে লক্ষ বোনের ইজ্জত-সম্ভ্রম
তোমাকে আনতে কত ভাই যে হলো দোসরদের হাতে গুম।
স্বাধীনতা তুমি অবুঝ শিশুর করুণ চাহনি, ক্ষুধার চিৎকার
স্বাধীনতা তুমি প্রসূতি মায়ের আঁচলে লুকানো কষ্টের হাহাকার।
স্বাধীনতা তুমি কৃষকের ঘরে খাজনা ঋণের বোঝা
পেটে ভাত নেই, ছেঁড়া জামা তবু কষ্ট করে বাঁচা!
স্বাধীনতা তুমি ছাত্র-যুবকের বুলেট বুকে দীপ্ত শপথের মিছিল
স্বাধীনতা বধ্যভূমির কামড়ে খাওয়া লাশে শকুন আর চিল।
অর্জিত বিজয় তুমি আমার ১৪ই ডিসেম্বরের ত্রাশ
তুমি লেখক, কবি, সাংবাদিক আর প্রফেসরের লাশ।
জানো স্বাধীনতা?
তুমি ছেলে-স্বামীর প্রতীক্ষায় থাকা হাজারো মায়ের অপেক্ষার প্রহর।
তুমি শিশুর হাতে লাল সবুজের পতাকা আর স্বাধীন সূর্য ওঠা ভোর।
জানো স্বাধীনতা? তুমি আমার অনেক চড়া দামে কেনা!
তুমি বধ্যভূমির অগনিত লাশ, যায়নি যাদের চেনা!
বিজয় তুমি একটি দুটি নয়, ত্রিশ লক্ষ শহীদের দান
তোমাদের এই ত্যাগ কখনো ভোলার নয়, যা রবে চির অম্লান।
যতদিন সূর্য দেবে আলো, পাখি গাবে গান, নদী হবে প্রবাহিত
ততদিন তোমাদের নাম ইতিহাসের পাতায় থাকবেই লিখিত।
তোমাদের ত্যাগেই পেলাম স্বাধীনতা বিজয়ের এই ক্ষণ
১৬ ডিসেম্বরে শ্রদ্ধা নাও, হে অজ্ঞাত অগনিত শহীদগণ।
মোঃ ফজলুল হক
ইংরেজি বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।