এখানেই,এই দেওদিঘীর জলে,মধ্য দুপুরে
ভেসে থাকা কিশোরীর শাড়ির মত,পাড় ঘেঁষে
পড়ে থাকে এই হাট, দেওদিঘীর হাট,
ভারী শরীর বটেরা ভুলে গেছে বয়েস!
হাটের কিংবা নিজের, মনে নেই কিছুই,
মসনফের ছোট ছেলে,ক্ষেতের প্রথম ফসল হাটে,ঘরে পোয়াতি বউ, সংসারে স্বচ্ছলতার তোরজোড়।
গলা চড়া হয়,বাড়ে ব্যস্ততা,
ফুলকপি-মূলোর পাতায় একটা স্তুপ বেড়ে উঠে হাঁটের পশ্চিমে,
বিকিকিনির আড়ালে মুখগুলোতে ভেসে উঠে লাভ লোকসানের সুখ দুঃখ।
এখানেই সন্ধ্যা ঘনায়,মিলিয়ে যায় কলরব,কুপি বাতির আলোয় একমুঠো বড়বটি হাতে শুধু অপেক্ষা ফুরোয় না এক শীর্ণকায় কিশোরের !
লুটিয়ে পড়ে অন্ধকার,
বেশ্যা রাতের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে পরে কামুক শিশির
বয়েসী বটের গায়ে বুনো অর্কিডের ফুলের পশরা, যেন ঠোঁটের কোণের চড়া লিপস্টিক,সৌন্দর্যে মাতাল করে তুলে উজানি ছাতিমের পিয়াসী মন,এখানেই রাত বাড়ে,বাড়ে অন্ধকার,
শেষরাতের শেষ খকখক কাশিতেই থেমে গেছে তার সব শব্দ।রোববারের হাঁটে শুটকির ডালা নিয়ে দেখা মিলবে না আর বৃদ্ধ করম আলীর,থুতনির মেহেন্দি পরা দাঁড়িতে আর ভেসে উঠবে না ব্যাবসায়িক সততা।
সুবর্ণা দাশ মুনমুন। জন্মগ্রহণ করেছেন ২১শে ডিসেম্বর,সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ গ্রামে।
বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজল কান্তি দাশ ও মা রুমা দত্ত। অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছেন সরকারি সিটি কলেজ,চট্টগ্রাম থেকে।পেশাগত জীবনে একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ২০০৯ সাল থেকে।
২০০১ সালে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক আজাদীতে লিখেই তার লেখক সত্তার আত্মপ্রকাশ।
দৈনিক আজাদীতে "জাগো নারী জাগো"র ১৩ টি ধারাবাহিক প্রবন্ধসহ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর আরও অনেক প্রবন্ধ,গল্প এবং কবিতা।দেশের প্রায় সবকটি জাতীয় দৈনিকসহ স্বনামধন্য ম্যাগাজিনগগুলোতেও লিখছেন তিনি নিয়মিত।
এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার দুটি কিশোরকবিতার বই
পাখির ডানায় মন (২০২২ ইং)
এবং হাওয়া গান ঝিরঝির (২০২৩ইং)
প্রথম বই "পাখির ডানায় মন"এর জন্য পেয়েছেন "স্বকাল শিশু সাহিত্য পুরস্কার ২০২২"