বাতাবি ফুলের ঘ্রাণে অনুপম ধরা-
গাছে গাছে কচিপাতা করে নড়াচড়া।
দূর থেকে পাখি এসে ডালে বাঁধে বাসা
তৃণ দিয়ে গড়া নীড় কারুকাজে খাসা।
মোহনীয় রূপ নিয়ে ওড়ে কাছে-দূরে
নাচে আর গান গায় মধুময় সুরে...
ডিম ফুটে ছানাগুলো বেড়ে ওঠে নীড়ে
তুলতুলে ডানা মেলে ওড়ে ধীরে ধীরে।
ফুলে-ফলে ডালে ডালে অপূর্ব শোভা
বনফুলে ছেয়ে থাকা পথ মনোলোভা।
মাঠে মাঠে কচিপাতা সবুজের হাসি
দলবেঁধে সরালিরা হাঁটে পাশাপাশি।
ঘূর্ণি বাতাসে নাচে খড়-কুটো-ধুলো
বাতাস উড়িয়ে নেয় এলোচুলগুলো।
মায়াবী বিকেলে পথ হাঁটি ধীর পায়ে
ঘূর্ণি হাওয়ার ধুলো মাখি সারা গায়ে।
জিওল মাছেরা নাচে জলাশয় ঘেরে
ভাঁটফুল হেসে ওঠে ধুলোবালি ঝেড়ে
মরাগাছ জেগে ওঠে বাতাসের তালে
বাদামি রঙের পাতা অশ্বত্থের ডালে।
হঠাৎ আদর যাচে বেড়ালের ছানা
দেখে তারে মনে হয় কত চেনাজানা।
ঋতুরাজ বিদায়ের ক্ষণ এলো তবে
ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে বুঝি অনুভবে।
বেলাশেষে ঋতুরাজ রেখে যায় স্মৃতি-
রেখে যায় বোশেখের মেলা-সম্প্রীতি।
রেখে যায় প্রাণে প্রাণে সাহসের ছবি
নতুন প্রভাতে জাগে আগামীর রবি।