ত্রিশ দিন সিয়াম সাধনার পরে সবার ঘরে ঘরে ঈদের খুশিতে পুরো বাড়ি আনন্দে মৌতাত হয়। ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই ধনী গরীব এক কাতারে বসে ঈদের জামাত পড়া এবং কোলাকুলিতে পরস্পর কূশল বিনিময়ে সৌহার্দপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে একে অপরের জন্য দোয়া করা।সাধারণত শিশু এবং কিশোরদের মাঝেই ঈদের আনন্দটা বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়।নতুন জামা কাপড়ের সাথে নতুন জুতো কিনার হিড়িক পড়ে যায় পরিবারের ছোট সদস্যদের। অবশ্য আর্থিক ভাবে যারা অধিক স্বচ্ছল তারা সবে বরাতের পর থেকেই কেনাকাটা শুরু করে দেয়। ব্যবসায়ীরা ও সারা বছরের পূঁজিটা ঈদের সময় কাটিয়ে অধিক লাভবানের উদ্দেশ্যে কেনাবেচা শুরু করে দেয়। এই সময় বছরের অন্য সময় থেকে জিনিস পত্রের অধিক দাম দেখা গেলো ও সামর্থ্যবান লোকেরা মনের আনন্দেই নুতন নুতন জামাকাপড় জুতো,জুয়েলারি ইত্যাদি কিনতে শুরু করে দেয়।এরা শুধু আবার নিজেদের জন্য নেয় না পরিবারের সকল সদস্য সহ মামা,খালা,ভাই-বোন, ফুফু-ফুফা সকলের জন্য কেনার সাথে সাথে পুরুষেরা তাদের শ্বশুর বাড়ির লোকেদের জন্য ও কেনাকাটা করে থাকে।অন্যদিকে মধ্যবিত্ত পরিবার টেনেটুনে নিজেদের জন্য মোটামুটি দামের কিছু ক্রয় করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করে।আর যারা একেবারে নিম্ন বেতন ধারী তারা উৎসুখ হয়ে অপেক্ষা করে কখন তার কর্মস্থলে বোনাস দেবে এবং সেই বোনাসে সকলের জন্য যৎসামান্য নতুন কিছু ক্রয় করে সকলের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করবে। এদের মধ্যে অনেকেরই আবার ঈদ মানে প্রতিদিনের মতো একটা দিন।যে দিন সূর্য উঠার সাথে শুরু হয় এবং দীর্ঘশ্বাস নিয়ে দিনটা শেষ হয়।এদের অনেকের আবার ভাগ্য থাকলে কিছু সেমাই খাওয়ার সৌভাগ্য হয় এবং দিনশেষে দু চারটি টাকা ঈদের দান পেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া মাগে। এরপর ও ঈদ আসে খুশির বার্তা নিয়ে ঈদ আসে নানা পদের রান্নার খুশবু নিয়ে,ঈদ আসে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে,এবং ঈদ আসে সকলের সাথে হাসি আনন্দে সময় অতিবাহিত করে নতুন উদ্দীপনায় জীবন যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত করার মানসিকতায়। প্রতি বছরের ন্যায় আসুক ঈদ ঘরে ঘরে এক টুকরো মিষ্টি স্বপ্ন নিয়ে, নতুনকে জয় করার বাসনা নিয়ে।