বন্ধুত্বের মানে ।। মৃণাল বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়


সবে সাত পূর্ণ হয়ে আটে পরেছে। কিন্তু এমন দস‍্যি মেয়ে আগে কেউ দেখেছে বলে মনে হয়না। ছেলেরা চঞ্চল হয়, দুরন্ত হয় শুনেছি। কিন্তু একটা  এইটুকু মেয়ে! বাড়ির সবাই সবসময় তটস্থ। এই বোধহয় কিছু ভাঙলো। ঐ রে, বাইরে একটা হইচই এর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না? নিশ্চই বোস কাকিমা নালিশ করতে এসেছে।এসেই বলবেন, “কৈ গো,মিনুর মা। এবার মেয়ের পায়ে শেকল লাগাও। ওর জ্বালায় যে পাড়ায় টেকা দায়।এই এত্ত বড় একটা থান ইঁট ছুড়ে দিলে জানালার কাঁচটা ভেঙ্গে! ভাগ‍্যিস আশেপাশে কেউ ছিলনা, থাকলে তো কানা কিংবা অন্ধ হয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে হতো।বলি একটু শাসন নেই গো? এই বয়সেই যদি এত, তবে বড় হয়ে না জানি আরো কত বড় শয়তান হবে। এই মেয়ের বিয়ে দিলে কপালে অশেষ ভোগান্তি আছে এই বলে দিলুম। আমরাও তো মেয়ে মানুষ করেছি নাকি? পাঁচ-পাঁচটা মেয়েকে পেটে ধরেছি, জন্ম দিয়ে মানুষ করে উপযুক্ত পাত্তর দেখে বিয়ে দিলুম। কি সুখে শান্তিতে শশুড়, শাশুড়ি, জা, ননদ নিয়ে সংসার করছে সব।তোমার মেয়ের মতন এরকম ডানপিটে বাপের জন্মে দেখিনি বাপু। সঠিক শিক্ষা দিও নাহলে ঘোর দুঃখ আছে,ভর সন্ধ‍্যাবেলায় এই সত্যি কথাটা বলে দিয়ে গেলুম, ভবিষ্যতে মিলিয়ে নিও”।
না বোস কাকিমা নয়, বাবলু’দা।পাড়ায় পাড়ায় মাছ বিক্রি করেন।আজও সেই একই পুনরাবৃত্তি। মিনুর নামে আর পাঁচটা দিনের মতোই এক গুচ্ছ নালিশ। “বৌদি, কিছু মনে করবেন না। না বলে পারছিনা। মিত্তিরদের বাড়িতে মাছ বিক্রি করছিলুম। পাল্লায় সবে তিনশ গ্রাম বাঁটা মাছ তুলেছি, হঠাৎ  করে ধুমকেতুর মতো কোথা থেকে এসে একেবারে বেড়ালের মতো ছোঁ মেরে পুরো প্লাস্টিকের প‍্যাকেট তুলে নিয়ে দে চম্পট! নিমেষের মধ্যে গলির বাঁকে কোথায় যে ছুটে হারিয়ে গেল আর খুঁজেই পাওয়া গেলনা!এটা কি রকম শিক্ষা বৌদি? কাঁচা মাছ নিয়ে ওই বা কি করবে? মুখ ফুটে হাত পেতে চাইতেই পারতো? কটা না হয় বিনে পয়সাতেই দিয়েই দিতুম। গরীব মানুষ,মাছ বেঁচে খাই। অতগুলো মাছ, কেনা দামই পরেছে ষাট টাকা“।
“কি বলবো বলোতো? মিনিট দশেক আগেই দেখে গেলাম বই নিয়ে পড়তে বসেছে। কখন না বলে নিঃশব্দে বেরিয়ে গেছে। বাড়িতে তো হাজার রকমের কাজ কর্ম আছে বলো? সবসময় কি চোখে চোখে রাখা যায়? প্রতিদিন নালিশ আর নালিশ। লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যায়। লোকে ভাবতেই পারে এইভাবে মেয়েকে দিয়ে ছিনিয়ে ছিনতাই করেই আমরা খাই“।
“এ মা,না না ছিঃ,ছিঃ। আমি ওকথা বলতে চাইনি। দাদাবাবু একটা নামি ব‍্যাঙ্কের ম‍্যানেজার। আপনাদের বাড়ি, গাড়ি, দু-দুটো কাজের লোক। আপনারা ছিনতাই করে খেতে যাবেন কেন? আসলে কিছু মনে করবেন না বৌদি, এটা আপনাদের অদৃষ্ট। নাহলে এত সুন্দর একটা ফুটফুটে মেয়ে এই ধরনের কাজ করবে ভাবাই যায়না।ছোট মুখে একটা বড় কথা বলছি বৌদি, রাগ করবেন না।আপনাদের মান সম্মানের কথা ভেবে ভালোর জন‍্যেই বলছি। আমার চেনাশোনা একজন তান্ত্রিক বাবা আছেন। একদম সাক্ষাৎ ভগবান। যারাই গেছেন ঐ সাধুবাবার কাছে, একদম গড়গড় করে ভূত, ভবিষ্যৎ সব বলে দিয়েছেন।অসাধারণ ক্ষমতা। একবার আপনার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে সাধুবাবার সাথে দেখা করতে পারেন। ছোট বাচ্চাতো। তার উপরে আবার মেয়ে।বনে বাদারে ঘুরে বেড়ায়।বলাতো যায়না, তেনাদের নজরেও পরতে পারে। নাহলে ভালো শিক্ষিত পয়সাওয়ালা ভদ্র পরিবারের মেয়ে এধরনের ভৌতিক আচার আচরণ অকারণে করবে কেন বলুন বৌদি!! আমি কি কোনও ভুল কথা বলছি? আমার তো মন বলছে ঐ রকমই কিছু একটা ঘটেছে। ম‍্যনেজার বাবুকেও একবার বলেছিলাম। কিন্তু উনি একেবারে দূর দূর করে থামিয়ে দিলেন। শিক্ষিত মানুষ, এসব ভূত প্রেতে বিশ্বাস করবেন কেন?”
“ঠিক আছে বাবলু’দা। আপাতত কত টাকা দিতে হবে বলো। ঐ দিকে মেয়েটা যে আবার কোথায় গেল? আর এতগুলো মাছ নিয়ে মিনু করবেটাই বা কি’?”
“না না, বৌদি, অসুবিধা থাকলে থাক।দিতে হবে না। এমনিতেই বাচ্চা মেয়ে, তারপরে আবার তেনাদের খপ্পড়ে পরে থাকলে তো হয়েছে কম্ম। পালা বাবলু পালা”।
“বিড়বিড় করে কি বলছো’?”
“না না বৌদি। ঐ টাকা আপনি রেখে দিন।পরে একসময় স‍্যারের কাছ থেকে নিয়ে নেবো ক্ষণ“।
আমি আর পারিনা। মিনুর বাবাও সেই কোন সকালে বাজারের ব‍্যাগ নিয়ে বেড়িয়েছে। এখনো ফেরার নাম নেই। যত্ত নালিশ শুধু আমাকেই সামলাতে হয়। আর ওনাকে বলবে তো বলবেন,“ওসব নিয়ে মাথা ঘামিও নাতো। ছোটবেলায় সবাই ঐরকম একটু আধটু হয়। আমিও খুব দুষ্টু ছিলাম। মা’র মুখে শুনেছি। কিন্তু এখন কি আর আছি? ও বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। দুষ্টুমির এইতো বয়স। দুষ্টুমি করছে মানে ওর মাথায় বুদ্ধি খেলছে। যখন বুঝতে শিখবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, তখন কি আর করবে? উল্টে নিজেই বাকিদের শাসন করবে। এটা করেনা, ওটা করতে নেই।“ আর এই বাবার আস্কারাতেই মেয়েটা আজ আমার আয়ত্বের বাইরে চলে গেছে। আমি জানি ও কখন ফিরবে। বাবা যখন বাজার নিয়ে ফিরবে, ঠিক গুটি গুটি পায়ে বাবার পিছু পিছু ঢুকবে। এমন ভাব করবে যেন ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানেনা। আমার হয়েছে যত জ্বালা। যে যার খুশিমতো বলে অপমান করে যায় আর আমার মাথাটা একেবারে লজ্জায় হেট হয়ে যায়। আচ্ছা বাবলু’দা যে কথাটা বলে গেল, সেটাও তো বেশ ভাববার মতই। নাহলে একটা বছর সাতেকের মেয়ে এতো দুষ্ট! এতো শয়তানি বুদ্ধি ওর মাথায় আসে কি করে? নির্ঘাত এ রকমই কিছু একটা অপদেবতার নজর পরেছে। তাহলে কি হবে? ও ঠাকুর, আমার একটাই মেয়ে। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর বাদে এতো লড়াই করে, মানত করে পেলাম। সেও আবার যদি তেনাদের নজরে পরে, আমি কি করবো আমায় বলে দাও ঠাকুর। জবা’দি কেই বলে দেখতে হবে। ও’ তো বাবলু’দা দের আশেপাশেই থাকে বলেছিল। ওকে দিয়েই ঐ সাধুবাবার আশ্রম খুঁজে বার করতে হবে। মেয়ের বাবাকে দিয়ে তো এসব হবেনা। আমাকেই নিজের উদ‍্যোগে চুপিচুপি জবা’দির সাথে গিয়ে সাধুবাবার পায়ে হুরমুড়িয়ে পরতে হবে। কিন্তু সমস‍্যাতো ঐ মিনু। ভুলিয়ে ভালিয়ে নাহয় নিয়ে গেলাম। কিন্তু তারপর? সাধুবাবার আশ্রমটাই না আবার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। যা দস‍্যি মেয়ে, সাধুবাবার দাড়িটাই না টেনে ছিড়ে দেয়।


আয়, আয়, আয়। কোথায় গেলি সব? এখানে তো মাত্র চারটে। পুটি, চুনো, কাতলা আর বুচি। ন‍্যাবা, পুচকি আর পুটলে- এরা তিনটে গেল কোথায়? আজকে যা দাও মেরেছি না, সব কটার কপালে কম করে তিনটে করে জুটবে। বাড়িতে তো এতক্ষণে কেত্তন শুরু হয়ে গেছে। বাবলু কাকা এতক্ষণে নির্ঘাত ভুরি ভুরি সত‍্যি কথা মায়ের কাছে গিয়ে উগরে দিয়েছে। আর মা’ও হাতপাখাটা নিয়ে দোড়গোড়ায় বসে আছে। উ,হুঃ, বাবা, মিনু অতো কাঁচা কাজ করেনা। বাবাতো এই রাস্তা দিয়েই ফিরবে। হাত নাড়িয়ে থামিয়ে বাবার বাইকে উঠে পরবো। বাবা জিজ্ঞেস করবে, “আরে, তুই এখানে কি করছিস”? একটা বানিয়ে মিথ্যে কথা বলে দেবো। অবশ‍্য সেটা বলে পাপ বাড়িয়ে লাভ নেই। কারণ মা’তো মহাভারত মুখস্থ করেই বসে আছে। বাবা ঢুকলেই আঠারো পর্ব শুনিয়েই ছাড়বে। তার থেকে বরং বাবাকে সবকিছু সত‍্যিটাই বলে দেবো। বাবা হয়তো মাথায় একটা হালকা করে গাট্টা দেবেন।তার থেকে বেশি কিছু তো আর করবেন না।
স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ি ফিরে যা কেত্তন হওয়ার হলো। মা পাখা নিয়ে আমার পেছনে, আর আমি বাবার চারপাশে। এইভাবে বার পাঁচেক ঘোরাঘুরির পর মা হাপিয়ে বসে পরলেন, আর আমি এক গ্লাস জল ভরে এনে ভদ্র মেয়ের মতো মা’র হাতে তুলে দিলুম। ব‍্যাস, রাম-রাবনের যুদ্ধ তখনকার মতো ঐখানেই শেষ। তবে, পুটলেটাকে এতো করে ডাকলাম। এলোনা তো এলোই না! কিছু হলো না তো আবার? হুলো,না। সারাদিন মারপিট করে বেড়ায়। দিনকে দিন আরও মস্তান হয়ে উঠেছে। আর হবে নাই বা কেন? কার শিষ্য দেখতে হবে তো? আরে মুন্নি মেরা নাম, হো যানে দো বদনাম। বাদমে সব কুছ লিপট লুঙ্গি। বোসদের বাড়িতে শোয়ার ঘরের জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে গোবর ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিলাম না? নে আর নালিশ করবি? আরে নালিশ করবি কর, কিন্তু অত লম্বা চওড়া ভাষন দেওয়ার কি আছে? আরে ও রকম ভাষন দিয়ে এলো বলেই না মা’র হাতে দু-ঘা খেলুম। ভাগ‍্যিস সেইমুহূর্তে লোডশেডিংটা হয়েছিল। নাহলে কপালে আরো দুঃখ ছিল। বাবার ব‍্যাঙ্ক থেকে ফিরে আসার জন‍্যে বাইরে অন্ধকারে বসে শ-খানেক মশার কামড় খেতে হয়েছিল। ছেড়ে দেওেয়া যায়? এক্কেবারে চুন চুনকে বদলা লে লিয়া। আন্দাজ করেছিল, কিন্তু প্রমাণের অভাবে কিছু বলতে পারেনি। পরের দিন পুলিশের কুকুরের মতো আমাকে রাস্তায় একা পেয়ে ঐ ঠাকুমাটা আমার হাতে, গায়ে গন্ধ শুকছিল। মনে হচ্ছিলো আরেকটু গোবর এনে আচ্ছা করে নাকে লেপে দি। যেন গোটা জীবন নাকে গোবরের গন্ধ লেগে থাকে। বিশাল গোয়েন্দা হয়েছে! উঠোনে শাড়ি মেলা থাকে না? একদিন ভর দুপুরে  সবাই যখন ঘুমোবে, গিয়ে সাদা শাড়িতে আচ্ছা করে বিচুটি পাতা ঘসে দিয়ে আসবো। চুলকাতে চুলকাতে বুড়ির গোয়েন্দাগিরির সখ একেবারে জন্মের মতো ঘুচে যাবে।
আরে সেদিন তো আর এমনি এমনি জানালার কাঁচ ফাটাইনি। আমার তো ইচ্ছে করছিল পটলা’দার ঘরের সবকটা জানালাই ইঁট দিয়ে মেরে ভেঙে দি। রাগ হবেনা? পটলা’দা ঐ বুড়ি ঠাকুমার বড় ছেলের ঘরের একমাত্র নাতি। ঐ হোদোল কুতকুতেটা ওর বাবার বাইক নিয়ে পাকামো মেরে রাস্তায় চালাতে গেছে! আরে চালাবারই যদি অতো শখ তবে রাস্তায় গিয়ে হাত পাকানো কেনো? বাড়ির উঠোনে চালা। বেমক্কা পেছনের চাকাটা কালুর লেজের ওপরে। কালু একদম নিরীহ কুকুর। কাউকে বিরক্ত করেনা। কারোর দিকে তেড়েও যায়না। রাস্তার পাশে একটা টগর গাছের নীচে ছায়ায় বসেছিল। তা বেচারা কি করবে? পিপড়ের গায়ে হাত দিলে পিপড়েও তো কামড়ায়। তো দিয়েছে বা-পায়ের গোড়ালির পেছনে এক কামড়। ধেড়ে খোকা হোতকা নাতি তো একেবারে কেঁদে আকুল। আর বুড়ি ঠাকুমার কান্ড দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমন কান্না জুড়ে দিলেন যে মনে হচ্ছিল বাড়িতে বুঝি কেউ মারা গেছে। তার পরের দিনই পৌরসভার থেকে কুকুর ধরার গাড়ি এসে বড় সাঁড়াশি দিয়ে কালুর পেছনে এমন ধাওয়া দিল যে সেই থেকে কালু পুরো বেপাত্তা। অবশ‍্য চিন্তা নেই পরিস্থিতিটা একটু হালকা হোক, আমি ঠিক খুঁজে নিয়ে আসবো। আমাকে খুব ভালোবাসতো। পাড়ার বলাই কাকুর দোকান থেকে লেড়ো কিনে খাওয়াতাম। পাড়ার মোড় পযর্ন্ত গোটা রাস্তাটা আমার পাশে পাশে যেত। ও যে ব‍্যাথা পেয়েছে, সেটা নিয়ে পাড়ার কেউ কিছু বললো না। সবাই উল্টে ওকেই দোষ দিল--
“এই কুকুরগুলোর জ্বালায় রাস্তায় বের হওয়াই দায়। আর দিনকে দিন এদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। পৌরসভার লোকেরা আরও চারটে কে তুলে নিয়ে গেলোনা কেন? আপদ গুলো বিদায় হলে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা যেত”।
দু-একজন অবশ‍্য বললো, “আরে না, পাড়ায় কয়েকটা কুকুর থাকারও প্রয়োজন আছে। রাত বিরেতে অচেনা কেউ পাড়ায় ঢুকলে একটু চিৎকার করে সাবধান তো করতে পারতো।“
বোস জ‍্যাঠু তো এক্কেবারে খেঁকিয়ে উঠলেন- 
“থামুন তো, নিজের ছেলে কে কামড়ালে বুঝতেন। কুকুরের প্রতি প্রেম বেড়িয়ে যেত”।
মা’কে কখনও কুকুর, বেড়াল গুলোর ব‍্যাপারে বললে মা উল্টে আচ্ছা করে বকা দেন
“তোর কি দরকার? পাড়ায় এতো বাচ্চা আছে, কারোর তো কুকুর বেড়াল নিয়ে তোর মতো এত আদিখ‍্যেতা নেই। ওরা খেতে পেলো কি না পেলো তাতে তোর কি? ওরা কি তোর বন্ধু”?
জানি, ওরা আমার কেউ নয়। কিন্তু ওদের কষ্ট দেখলে আমার ভেতরটা কেমন যেন দুমড়ে মুচড়ে যায়। ওরা না থাকলে, সকাল বিকাল একটু ডাকাডাকি না করলে তোমাদেরও কি ভালো লাগবে বলো? আমারা তো দৈনিক কত খাবার না খেয়ে ফেলে দি। ওগুলোই যদি ওদের মতো দুটো অবলা জীবকে ডেকে খেতে দি, তবে এতে করে কার কি ক্ষতি হয়ে যায় বলোতো? ওদেরও তো বাঁচবার অধিকার আছে? ওরাও তো আমাদের কাছ থেকে একটু ভালোবাসা, একটু আদর পেতেই পারে। আমরা কি ওদেরকে আমাদের বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারিনা? 

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।