এক মা জগৎ জননী,
জগতের পূজা পায়।
আরেক মা অকূল পাথারে,
খড়কুটো হাতড়ায়।
এক মায়ের সোনার সাজ,
ভক্ত অগুন্তি ।
আরেক মায়ের জোটে না ভাতের ঘ্রাণও,
নিরাশ্রয় সন্ততি।
এক মাকে সবে বরণ করে,
করেন অভ্যর্থনা।
আরেক মায়ের স্থান পথের ধূলায়,
মানুষের মানও জোটে না।
মাটির প্রতিমায় প্রাণ স্থাপন,
হয় জাঁকজমকে।
রক্ত মাংসের প্রাণ প্রতিমাকে,
পোছে না কেউ এ জগতে।
মানুষ খোঁজে কেবলই উৎসব ,
কয়েকদিনের তরে।
তাই তো ভুলুণ্ঠিত হন জগৎ মাতাও,
বিসর্জনের পরে।
মাটির প্রতিমায় ঈশ্বর খুঁজি,
খুঁজি উৎসবের রোশনাইয়ে।
মনমন্দিরে যে ঈশ্বরের চিরন্তন বাস,
এ সরল সত্য যায় গুলিয়ে।
প্রতিমাতেই যে মায়ের স্থান,
এ তো মোরা বুঝি।
প্রতি মাতেই যে প্রতিমার অবস্থান,
তা,অন্তরের চোখে কভু না খুঁজি।
