জরীফ উদ্দীন'র দুইটি কবিতা


তাসখেলা

আজও বুঝতে পারলাম না তোমার তাসখেলা
পার্থক্য রুইতন, চিরতন, ইস্কাপন ও হরতনে
রঙ দিয়ে তুমিই ট্রাম করো বেলা অবেলা
 সব টেক্কা থাকে তোমার হাতে ক্যামনে!

তুমি হাতের চালে পার পেয়ে যাও পাক্কা খেলোয়াড়
আমি আছি তোমার প্রিয়, সাচ্চা ফলোয়ার।

খেলতে থাকো, জিততে থাকো সারা জীবন তুমি
তোমার জয়ে আমার থেকে মুছে যাক সব গ্লানি।


মে দিবসের কবিতা

আমাকে মেরে ফেল যত ইচ্ছে ততবার
আমার রক্তমাখা পায়ে হেঁটে যাও স্বর্গের পথে
রক্ত চোষাদের দল
আমাকে মেরে প্রেস রিলিজ চাই না
চাই না হাভাতে এতটুকু করুণা
আমাদের ঘামে তুলছ শততলা বাড়ি,
বাড়াচ্ছ ব্যাংক বালেন্স,
কিনছ গাড়ি, আজ সবে মুখোস পরা ভদ্রলোক।
অথচ পাই না আমাদের নায্য মূল্য
আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
যখন তোমাদের সন্তানের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা উড়ানো হয়
তখন আমরা জানি না আগামীকাল কি খাবো!

আজ জেগে উঠছে শ্রমিক জনতা
পাভেলের মায়ের আগুন ছড়িয়েছে বিশ্বময়
হে মার্কেটের লাশ নিয়ে মিছিল রাস্তায় রাস্তায়
লুইস কিং আজও আত্মসম্মানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
নিজের জীবন নিজেই উৎসর্গ করবে
কিন্তু তোমাদের ফাঁসিতে ঝুলবে না।

আজ কারখানায় শ্রমিক নয় যেন একেকজন যোদ্ধা
মাক্সিমের কলমের খুরে অধিকারে সোচ্চার সকলেই
মহামতি লেলিন ও স্তলিন দাঁড়িয়েছেন পাশে।

বল আর কত ভবনধস, বয়লার বিস্ফারণ, অপমৃত্যু
বল আর কত লাশ চাও, হে পুঁজিপতিরা?
আর কত লাশের পিঠ চেপে যাবে স্বর্গের দরজায়?

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।