মধুর মা,
কেমন আছ? চিঠি পেয়ে হয়তাে অবাক হবে খােলা চিঠি কেন? আজকাল খােলা চিঠি নাকি বেশ চলছে। মন্ত্রি থেকে শুরু করে নেতা নেত্রী পর্যন্ত। আমি ভাবলাম তুমি আবার বাদ যাবে কেন? তুমি নেত্রী নও,তাতে কি? আমার রাণী ।
এবার মূল কথায় আসা যাক!
আমি অবাক হই দূর আকাশের নক্ষত্র দেখে গ্রহ, নক্ষত্র, সবাই তার নিজেস্ব নিয়মে চলছে। কোন অনিয়ম নেই।
কিন্তু এই নিয়মতান্ত্রিক পৃথিবীতে কে নিয়ম মেনে চলে বলাে? একেক সময়ে একক ধরণের পরিবর্তন আনে পােষাক আসাকেও। দ্রব্যমূল্যের কথা না হয় বাদ দিলাম কিন্তু এই তেলের দেশে কিভাবে বাড়ে তেলের দাম।এটা কিভাবে সম্ভব বলো?
জাপান না কোন দেশের বিজ্ঞানী যেন মন্তব্য করেছেন আমাদের (মানুষের) পূর্ব পুরুষেরা গাছের পাতা খেয়েছেন খাদ্য হিসেবে। দেশের যা অবস্থা। আজ আবার মন্ত্রী মহোদয় বক্তব্যে বললেন গরু কচুরীপানা খেতে পারলে মানুষ কেন পাবে না?মনে হয়, আগামী নির্বাচন এর পর থেকে ঘাস, লতা, পাতা খাওয়া শুরু হয়ে যাবে । কি একটা অবস্থা হবে একটু ভাবতো?
সবাই বাজার থেকে আমপাতা ও কাঠালপাতা নিয়ে বাড়িতে ফিরবে। আমপাতার দাম হবে বেশী, খেতেও মিষ্টি।স্বামী বাজার থেকে এক ব্যাগ কাঁঠাল পাতা নিয়ে আসবে, স্ত্রী রাগ করে বাজার ব্যাগ ছুড়ে দিয়ে বলবে, আজও তুমি কাঁঠাল পাতা নিয়ে এসেছে, বাজারে আম পাতা ছিলনা? রােজ রােজ এই কাঁঠাল পাতা খেতে ভালাে লাগেনা। স্বামী ব্যাচারা মুখ কাচুমাচু করে বলবে রাগ করনা লক্ষী সােনা, বর্তমান পকেটের অবস্থা ভাল নাই। বেতনটা পেলে আর দাম কমলে আম পাতা আনবাে। স্ত্রী বলবে থাক আর সােহাগ দেখাতে হবে না, যাও হাত মুখ ধুয়ে আস।মেয়েটা আম পাতার ভর্তা খেতে চেয়েছিল!
তাই বলছিলাম কি আমারা যদি আগে থেকেই কাঁঠাল পাতা খাওয়া শুরু করি। অন্তত
অভ্যাস করে রাখি।তখন আমাদের আর কষ্ট হবে না।অভ্যাসে পরিনত হবে।দেখনা দিন
দিন দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি যেভাবে আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।পৃথিবীতে এই
একটি ব্যতিক্রম হােক যা তােমার আর আমার মধ্যে তুমি পারবে কি।?। আমি নিশ্চিত আমি পারবাে। কারণ আমার কলম, অতীত, বর্তমান লিখতে লিখতে আজ ভবিষ্যত ফুটিয়ে তুলছে।
ইতি
-আমি
দেখিও একদিন আমরা সবাই কলম আর রং পেন্সিল দিয়ে ছবি আকঁবাে। তখন আর তুলি থাকবে না।
ইতি
-আমি