জয়নাল আবেদিনের চোখে 'আনিসুল হক' রচিত "ছোটদের বিদ্যাসাগর"



যার জন্মদিনে ঠাকুর দা তাকে এঁড়ে বাছুর বলে অবহিত করেন। সত্যি তিনি এঁড়ে তবে দাম্ভিক বা অহংকারী নয়। বিশ্বাসী নন কুসংস্কারে। দয়া বা ভালবাসাই যার জীবনের পরম ব্রত।
মাত্র ৮ বছর বয়সেই যার বিষয়ে শিক্ষক কালীকান্ত বলেন,
 
"আমার এখানে যা শিখার ছিল ঈশ্বর তা খুব ভালো ভাবেই শিখেছে। এখানে ওর আর কিছু শিখার নেই ওকে কলকাতা নিয়ে যান । এই রকম মেধা আর প্রতিভা সহজে দেখা যায় না । ওকে অবশ্যই ভালোভাবে লেখা পড়া করানো উচিত, ও একদিন অনেক বড়ো হবে।"
যে অতটুকু বয়সে মায়ের কোল ছেড়ে ৬০ মাইল পাড়ি দিয়ে কলকাতায় যান পড়ালেখা করতে। আর যেতে যেতে রাস্তার মাইলফলক গুলো দেখে দেখে শিখে ফেলেন ইংরেজির অংক সংখ্যা গুলো। তার সমন্ধে বলতে গেলে সত্যি বুক কাপে আমার।
যে মানুষটি খাবার পরিবেশন করতে গিয়ে তরকারিতে পরে থাকা তেলাপোকা অবলীলায় তুলে নেন নিজের পাতে, অন্যদের খাবার নষ্ট হবে বলে।
এমন অমায়িক মানুষকে নিয়ে বলার যোগ্য আমি নই।
যে ছেলেটি মায়ের আদেশ পালন করতে পারবে না বলে চাকুরী ছেড়ে দিতে চান,রাতের অন্ধকারে দামোদর নদী সাঁতারে মাকে দেওয়া কথা রক্ষা করেন।
যে লোকটি পরীক্ষক হয়েও প্রতিযোগিতায় নিজের ছোট ভাই অনেক ভালো ফল করার পরও পুরস্কার দেননি লোকে বলবে পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে এই ভয়ে।
বিধবা নারীর দূঃখ কষ্টকে দেখে যার মনে উদিত হয় বিধবা বিবাহের কথা । একমাত্র বিধবা বিবাহই হতে পারে এসব নারীর মুক্তি । কিন্তু কিভাবে বিধবা বিবাহের প্রচলন করা যায় , মানুষ শাস্ত্র মানে যদি শাস্ত্র ঘেটে বাহির করা যায় যে বিধবা বিবাহ শাস্ত্র সম্মত কেবল মাত্র তাহলেই সম্ভব । তাই এই চিন্তায় যে মানুষটি ঘুমাতে পারে না খাওয়া নাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে সংস্কৃত কলেজের লাইব্রেরিতে পরে থাকে রাতদিন খুঁজতে থাকে কোথাও বিধবা বিবাহের পক্ষে কোন বচন বা উদাহরণ আছে কিনা ।
এমন কল্যানকামী মানুষের কথা সত্যি অভাবনীয়।
রাম'দার স্ত্রীকে কৌশলে দান করার কথা তো আমাদেরকে নিয়ে যায় একেবারে মুগ্ধতার জায়গায় । এই ছিলেন দয়ার সাগর তিনি কত ভাবে যে মানুষকে দান করতেন।
সে আমলে মানুষ দশ টাকার চাকুরী করেও সংসার চালাতো কিন্তু বিদ্যাসাগর সাত শত টাকার চাকুরী করেও জীবন যাপন করতেন নিতান্তই সাধারণ ।

3 Comments

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

  1. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একজন হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী৷ তার কারনে বাংলাভাষা সংস্কৃতবহুল শব্দে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল৷ আর আপনারা তাকে নিয়ে আলোচনা করছেন? কেন এদেশে কি মুসলিম মনিষীর আকাল পরে গেছে? মনে রাখবেন ফেরেশতারা সবকিছু দেখেছেন৷

    ReplyDelete
    Replies
    1. তুই কোথাকার জানোয়ার রে ? সব থেকে বড় টেরোরিস্ট তো তুই আর তোদের মত অমানুষ রা । তোর বাড়িটা কোথায় ?

      Delete
  2. আপনি কিন্তু মুসলিম মনিষী নিয়ে লিখতে পারেন। সমালোচনা করার আগে নিজেকে তৈরি করুন। লালনীল দীপাবলি বইটা পড়তে পারেন অযথা তর্ক না করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বর্ণপ্রপাতের সম্পাদককে আপনার লেখার প্রকাশের জন্য অনুরোধ করব।

    ReplyDelete
Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।