আসমানে ভাসবে দৈব্যবাণী,
ভীষণ ভাবে কম্পিত হবে রাস্তা-ঘাট, মাট,জলাশয়।
অবচেতন মনে ঝঞাট বেজে
ফাটল ধরবে, ধ্বনিত হবে ঘাত প্রতিঘাত।
অবাধ্য অহংকারী বিভৎস অনাচারীর
পা হবে খুরো, বুকে হবে জ্বালা, মুখ কাঁপবে,
জুটবেনা অন্ন, ফুটবে না কোনো বাণী।
এ অন্যায় সমর ধরায় রোল উঠবে কান্নার,
কাঁদবে বৃদ্ধ, যুবক, কৃপণ,
অর্থের উপর শয্যাশায়ী জমিদার।
কে হবে তখন সাহস দেয়ার হাতিয়ার?
যে অন্যায়ের জোয়ার তোলা সেবক অত্যাচার!
কে হবে তখন অত্যাচারী জমিদার?
যে হাত বাড়িয়ে আগলে রাখে অন্যায়ের পাহাড়!
থরথর সব কাঁপবে তখন ভয়ে হবে খানখান,
সাহারা আর মাউন্টেইন হবে সংকোচন
ব্যথা-বিবাদের ভারে।
ব্যাবিলনের উদ্যান, সুউচ্চ আসমান হবে নিম্নগামী,
হারাবে ফুল সুগন্ধ, বিশ্রী বিবেক - বৈষম্যে।
ভাষা হারাবে কণ্ঠ ব্যাবসায়ী,
গোছালো চুল উড়াবে বিভ্রান্ত উন্মাদের মতো।
কোথায় তখন থাকবে এ আসর?
জমকালো রঙিন জামানা।
কোথায় রবে তখন হিংস্র মনোভাবের বলিষ্ঠ বয়ান?
থাকবে শুধু মলিন মুখে চিন্তার আলোড়ন।
আমি সৃষ্টি, হবো ধ্বংস, আমি নই অবিরাম।
একা আসা; একা যাওয়ার লীলায় বহমান।
স্বল্পদৈর্ঘ্য জিন্দেগি নয় চির ভোগবান।