অনেক দিন কাটি গেল। বৈশালির মনত যন্ত্রনার অগুন দাউদাউ করি জ্বলেছে। মিছাং প্রেমের লোভোত পড়ি খাঁটি প্রেমোক অবহেলা করিসে– এই কথাটা যেলায় মনত পড়ে সেলায় চোখুর জল ছচ্ছর করি বিরি আইসে।
মোহিতের বিয়ার দিন বৈশালির যন্ত্রনাটা এতটায় বাড়িসে যে, সইহ্য করির মতন না হয়। বারবার মনত পড়েছে পুরানা স্মৃতিগিলা, সমায়ের মূল্য কতটা আর ভালোবাসার মানষি অইন্য কাহরো হইলে কতটা কষ্ট হয়।
বৈশালি কষ্ট সইহ্য করির পাইল না– বিষের শিশি আজারি করি মুক্তির পথ বেছি নিল। আর মোহিত হাসি-খুশি বিয়াওখান করিল। নিখিল হইল বাড়ি ছাড়া, কৌশিক আর চন্দ্রিমাও হইল গ্রাম ছাড়া।
উদয়কৃষ্ণর এই পালানাটকখান দেখি গাবুর-গাবুরি, বুড়া-বুড়ি কাহ আর চোখুর জল আটক করির পাইল না। নাটকের শ্যাসোত এই করুন কাহিনী দর্শকের মন জয় করি নিল। উদয়কৃষ্ণ নিজেও ভাবির পায় নাই যে, নয়া নয়া নাটকের প্লেয়ার ডালিয়াও এত ভালো অভিনয় করির পাবে।
সোমবার দিন সকাল সকাল পেপারোত উদয়কৃষ্ণ নিজের নামের সাথে ছবিটা দেখিয়া তো টোকটোকি খাইসে। তার সাথে ভটভট করি ফুটি উঠিসে নাটকের মতনে দর্শকের কান্দাকাটির করুন ছবিটাও। আরও ফির মঞ্চের আশে-পাশে মানষির ভির জমিসে– সগায় দেখির আসিসে নাট্যকার উদয়কৃষ্ণক আর দলের প্লেয়ারগিলাক। উদয়কৃষ্ণর জীবনের হয়তো এইটা একটা বড়ো পাওনা।