বিপুল রায়'র গল্প উদয়কৃষ্ণর পালানাটক শেষ পর্ব ।। বর্ণপ্রপাত



অনেক দিন কাটি গেল। বৈশালির মনত যন্ত্রনার অগুন দাউদাউ করি জ্বলেছে। মিছাং প্রেমের লোভোত পড়ি খাঁটি প্রেমোক অবহেলা করিসে– এই কথাটা যেলায় মনত পড়ে সেলায় চোখুর জল ছচ্ছর করি বিরি আইসে। 

মোহিতের বিয়ার দিন বৈশালির যন্ত্রনাটা এতটায় বাড়িসে যে, সইহ্য করির মতন না হয়। বারবার মনত পড়েছে পুরানা স্মৃতিগিলা, সমায়ের মূল্য কতটা আর ভালোবাসার মানষি অইন্য কাহরো হইলে কতটা কষ্ট হয়।

বৈশালি কষ্ট সইহ্য করির পাইল না– বিষের শিশি আজারি করি মুক্তির পথ বেছি নিল। আর মোহিত হাসি-খুশি বিয়াওখান করিল। নিখিল হইল বাড়ি ছাড়া, কৌশিক আর চন্দ্রিমাও হইল গ্রাম ছাড়া।

উদয়কৃষ্ণর এই পালানাটকখান দেখি গাবুর-গাবুরি, বুড়া-বুড়ি কাহ আর চোখুর জল আটক করির পাইল না। নাটকের শ্যাসোত এই করুন কাহিনী দর্শকের মন জয় করি নিল। উদয়কৃষ্ণ নিজেও ভাবির পায় নাই যে, নয়া নয়া নাটকের প্লেয়ার ডালিয়াও এত ভালো অভিনয় করির পাবে।

সোমবার দিন সকাল সকাল পেপারোত উদয়কৃষ্ণ নিজের নামের সাথে ছবিটা দেখিয়া তো টোকটোকি খাইসে। তার সাথে ভটভট করি ফুটি উঠিসে নাটকের মতনে দর্শকের কান্দাকাটির করুন ছবিটাও। আরও ফির মঞ্চের আশে-পাশে মানষির ভির জমিসে– সগায় দেখির আসিসে নাট্যকার উদয়কৃষ্ণক আর দলের প্লেয়ারগিলাক। উদয়কৃষ্ণর জীবনের হয়তো এইটা একটা বড়ো পাওনা। 

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।