পাঁচ দিন তো চলি গেইসে মানষি চান্দাইতে। বাকি থাকিল আর মাত্র পাঁচটা দিন। এই পাঁচ দিনে একটা বড়ো পালানাটকের রিহার্সেল করাটাও মুখের কথা না হয়। আং সাং নাটক করিয়া– নিজের নাম-যশ হারেবার চান্দায় না উদয়কৃষ্ণ।
উদয়কৃষ্ণ জানে, আজিকালি মানষি পিরিতী ছাড়া কিছুই না বুঝে। গাবুর-গাবুরি চেংরা-চেংরিগিলার কথা তো বাদে দ্যাও, আদাবসা-আদাবসিগিলাও পিরিতে হাবুডুবু খায়। সেই মতনে পিরিতীক ভর করিয়া উদয়কৃষ্ণ একখান নাটক লেখিসে, ‘পিরিতীর দাম’।
শুরু হইল পালানাটকের রিহার্সেল। নায়িকার ভূমিকাত ডালিয়া, আর নায়ক বিজয়। বিজয় নাটকের পুরানা প্লেয়ার– রিহার্সেলোত কুনোমতন ভুল-ত্রুটি নাই। কিন্তু ডালিয়ার বারবার ভুল হয়। উদয়কৃষ্ণর রাগ উঠি যায়। মাঝে মাঝে গাইলির চান্দেয়াও নিজেকে খুব কষ্টে আটক করে। তাও উয়ার মুখ পিছলি বিরি যায়, “ এইটা সিনেমার সুটিং না হয় মাই, এইটা নাটকের রিহার্সেল। সুটিংওত ভুল করিলে চলিবে, কিন্তু এটে ভুল করিলে চলিবার না হয়।”... আর বাকি তিনজন বেটিছাওয়া ফির অভিনয় করিতে ভালে দক্ষ।
দিনাও দিনাও রিহার্সেল করি সগারে অভিজ্ঞতাটা মোটামুটি ভালে হইসে। ডালিয়াও সবকিছু ভালে শিখিসে এই কয়দিনে। আর পুরানা প্লেয়ারগিলাক তো কুনো কোবারে না নাগে।
হুদি ব্যালতলীর নবজীবন ক্লাবের চেংরাগিলা টোটো ভারা করি মাইকিং করা শুরু দিসে এক সপ্তা আগের থাকি– “আনন্দ সংবাদ, পালানাটক সংবাদ, মনত থন বুন্ধুরঘর আইসা দ্যাওবার ব্যালতলী নবজীবন ক্লাবের পইক্ষ থাকি এক বিরাট পালানাটকের জোগাড় করা হইসে। তোমার হামার সগারে মনত আনন্দ দিবার বাদে ছুটি আইসেছে উত্তরবঙ্গের সুনামধৈন্য নাটকদল, উদয়কৃষ্ণর মালতী অপেরা। সাথে ধরি আইসেছে উমার এই বছরের হাজার হাজার দর্শকের মন জয় করা পালানাটক ‘পিরিতীর দাম’।”