নবনীর বেলা
কার তলার মেঝে কখন কার ছাদ হয়ে বসে,
শিশির জমা কাঁচ চোখ হয়ে কাঁদে
জনমুখরতা মুখরতা হারায়ে কেবল এক একাকীজন রয় কিছুটা ব্যথার জনরায়।
নবনীর রক্তশূন্যতা;
মন খারাপে নবনী মগ মগ কালো কফি খায়,
নবনী গলা অবধি পুলে গা ভেজায়।
নবনী চুল স্ট্রেইটেনারে পোড়া গন্ধ বাতাসে
আজ কার্ল বা টুইস্ট ও হয়।
প্রাইমেট জুলিয়েট
সদ্যই জন্ম নিতে যাওয়া পবিত্র
প্রেমটাকে মেরে ফেলে
পিষে ফেলে অদৃশ্য শক্তি ।
রক্তচক্ষুতে বাজায় ডংকার ।
বোয়াল মাছের কাঁটা গলায় -
আটকে থাকার মতো।
আমাদের আর প্রেম শব্দটার
মাঝে নির্লজ্জভাবে নগ্ন হয়ে
ঝুলে থাকে 'অহঙ্কার '।
আমার আর তোমার তাই
ভালবাসাবাসির ফুরসত মেলে না।
বখে যাওয়াদের দলে
ধরা পড়ে যাওয়া চোরের মতো
বিব্রত তথৈবচ আমার
টিকিটাকা ভাবনারা সব -
তোমার হাতে ধরা পড়ে গেছে ।
তুমি ওদের বন্দি কর,
দন্ডাদেশ শোনাও,
পালিয়ে যদি যায় তবে,
শমন জারি কর,
শহরে শহরে প্রহরা লাগাও।
কড়া বাঁধুনি দিয়ে বেঁধে রাখো।
ওরা পর্দার বড় তারকাদের মতো,
হঠাৎ হঠাৎ ঝলকায়,
দেখা দেয় আর উবে যায় ।
তুমি নিরলস পাপারাজ্জির মতো,
ওদের পিছেই লেগে থাকো,
পদক্ষেপ সব গুণে রাখো-
কোন গলিতে বিচরণ,
কাদের সাথে মিশছে ওরা নজর রাখো।
আমার ভাবনারা তোমাকে ঘিরে -
একটু প্লিজ সামলে রাখো।
মেরিন মালতী
আটপৌরে বেগুনি শাড়িটায়,মালতীদি,
খুব রক্ষণশীল দক্ষতায় বুকে আঁচল টেনে-
পার হতে রাস্তা ।
মুখটা রূক্ষ,যেন মহাকাশের মহাকালীয় দায়িত্ব
জমে গেছে কপালের তিনটা ভাঁজে।
ঠোঁটের অবনতি বয়সটা বাড়িয়েই বলত।
মালতীদি, শেষ কবে হেসেছিলে?কত আগে?
সাত বছর? দশ বছর?কত আলোকবর্ষ আগে?
ভুলটুল হতো না খুব ,
হলেও-বা চমকানো বিব্রত মুখ।
দূর দূর করা অভিশাপ নেই-
হই হট্টগোলের পরিহাস নেই-
তোমার থেকে আসা টক সুরভিতেই
মমতাদের দিনরাত বাড়তে দেই।
আ-কারে অধিকার
একী! নক্ষত্র দেখি তোমারই মতো রাত জাগে,
বিনিদ্র শূন্যতা তো আমিও বুকে ধরে রাখি,
তুমিহীনতার নিঃস্বতা তো
গলিতে-অলিতে সমুজ্জ্বল !
আশ্চর্য! ছায়াপথ তো আমাদের মতোই কাঁদে
সবাইকে ভাগাভাগি করে দিয়েছি
তোমার নামে জমা কষ্ট যত-
বিচ্ছিরি একলা গুমোট রাতগুলোয়
- তুমি বরং ঘুমোও।