মাকড়সার নাম টিংটু। তার বাসা মানে জাল ঐ উচু ঘাসের ঘন জঙ্গলে। সারাদিন লুকিয়ে অপেক্ষা করে কোন মশা, মাছি জালে আটকানোর জন্য। কোন মশা, মাছি আটকালেই পেট পুরে খায় টিংটু।
টুনটুনি পাখি ডিম পাড়বে তাই নতুন বাসা বাঁধতে হবে। বাসা বাঁধার জন্য মাকড়সার জাল দরকার। জাল দিয়ে খড়কুটা আটকালে ভালো বাসা বানানো যায়। টুনটুনি ঘাসের জঙ্গলে উড়ে যায় মাকড়সার জালের খোঁজে। উড়তে উড়তে তার চোখে পড়ে টিংটুর জালটা। টুনটুনি জালের কাছে যেতেই টিংটু সামনে এসে দাঁড়ায়। টিংটু বুঝতে পারে কেন টুনটুনি এসেছে। সে টুনটুনিকে থামতে বলে। টুনটুনি বলে, 'আমি বাসা বানাবো তাই তোমার জাল নিয়ে যাবো।' টিংটু বলে, 'দাঁড়াও, আমি তোমাকে অন্য জায়গায় জাল বুনে দিচ্ছি। এ বাসা নিও না।' টিংটু জাল বুনে দেয় আর সে জাল নিয়ে বাসা বুনে টুনটুনি। আস্তে আস্তে টিংটু ও টুনটুনির মাঝে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। টুনটুনি একদিন বাসায় তিনটা ডিম দেয়। দেখতে দেখতে ডিম ফুটে তিনটা টুনটুনির ছানা বের হয়। ছানাদের জন্য টুনটুনি খাবার জোগার করতে যায়। যাওয়ার পথে সে টিংটুর সাথে দেখা করে। কতদিন তার সাথে দেখা হয় না। টুনটুনি টিংটুকে তার বাচ্চাদের কথা বলে। মাকড়সা টিংটু শুনে খুশি হয়। একদিন টুনটুনির বাচ্চারা উড়তে শেখে। টুনটুনি তাদের নিয়ে মাকড়সার কাছে আসে। তাদের সাথে মাকড়সার পরিচয় করিয়ে দেয়। ছানারা মাকড়সার সাথে অনেক খেলা করে। ফিরে যাওয়ার সময় টিংটু তাদের বলে, তারা যেন বাসা বানানোর সময় তার কাছে আসে। তাদেরকে টিংটু জাল বুনে দিবে।সেই থেকে মাকড়সা ও টুনটুনির সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে গেল। তাদের সেই বন্ধুত্ব আজো আছে। যদি দেখতে চাও তবে কোন টুনটুনির বাসায় গিয়ে দেখো। দেখবে মাকড়সার জাল দিয়ে বানানো টুনটুনির বাসা।
হামীম রায়হান,
পটিয়া, চট্টগ্রাম
আপনার লেখা ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, রম্যরচনা, ভ্রমণ কাহিনী, উপন্যাস, সাহিত্যিকের জীবনী, সাক্ষাৎকার, সাহিত্যের খবর বর্ণপ্রপাতে প্রকাশ করতে চাইলে ইমেইল করুন bornopropat@gmail.com