এক
সমুদ্র এক আশ্চর্য জিনিস! ঢেউয়ের পর ঢেউ আছড়ে পড়ে পাড়ে। পাহাড়সম ঢেউ আছড়ে পড়তে পড়তে মিলিয়ে যায় পাড়ে। সমুদ্র চির যৌবনাময়। সেই সৃষ্টির আদিকাল হতে এমনই ভাবে সমুদ্র তার যৌবন ধরে রেখেছে। সমুদ্র তার রূপ দিয়ে রূপপিয়াসীদের কাছে টানে। তাই তো কত শত লোক প্রতিদিন সমুদ্র বিলাসে আসে!
তিথিরও সমুদ্র খুব পছন্দের। আকাশও সমুদ্রের টানে বারবার আসত এই সমুদ্রতটে। শরতের এক বিকেলে সমুদ্রের এই বালুচরে দেখা হয় তিথি ও আকাশের। দেখা থেকে কথা, কথা আর কথা। আস্তে এই সমুদ্রতটে দেখা করাটা তিথি ও আকাশের জীবনের একটা অংশ হয়ে যায়। এক সময় পারিবারিকভাবে তিথি ও আকাশ জীবন সঙ্গী হয়। তাদের মধুচন্দ্রিমা এই সমুদ্রের নীল জলেই হয়।
দুই
এক শীতের সকালে তিথি আকাশকে নতুন অতিথির সংবাদ দেয়! সেই সংবাদ শুনে আকাশতো পাগল প্রায়। আকাশ তিথিকে নিয়ে সমুদ্রতটে আসে। আকাশ খুশিতে ছুটাছুটি করছে। তিথি দাঁড়িয়ে হাসছে! আর তখনই ছিল তিথির জীবনের শেষ সুখটুকু। চোরাবালিতে আটকে যায় আকাশ। তিথি শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেনি আকাশ। আকাশ হারিয়ে যায় চিরতরে!
সেই থেকে তিথি আর সমুদ্রের কাছে আসে না। আসবেই বা কেন, এর চেয়েও বড় সমুদ্র যে তার বুকের ভিতরে ছেপে রাখা। সেই সমুদ্রে আকাশ যেন সবসময় মেঘলা। বৃষ্টি যেন তিথির চোখের জলে নামে!
হামীম রায়হান,
পটিয়া, চট্টগ্রাম
আপনার লেখা ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, রম্যরচনা, ভ্রমণ কাহিনী, উপন্যাস, সাহিত্যিকের জীবনী, সাক্ষাৎকার, সাহিত্যের খবর বর্ণপ্রপাতে প্রকাশ করতে চাইলে ইমেইল করুন bornopropat@gmail.com