রহিম উদ্দিন এর ছড়া গাঁয়ের খেলা



একদা এক রাজার ছেলে যাচ্ছে বাপের গাঁয়ে
সোনাদিয়া গাঙ পেরুলো করিম চাচার নায়ে
শিখবে সাতার গাঙের জলে জানতে চাইলো মায়ে।

অমনি সে উঠলো বলে না না মা, ভয় করে
যাবো আমি মরে
সুইমিংপুলে শিখবো সাতার বাবার হাত ধরে।

খানিক বাদে এলো তারা বাড়ির কাছাকাছি
মা বললো ও লক্ষী সোনা
ঐ যে তোমার চাচি
ছোট বড় সবাই মিলে খেলছে কানামাছি
খেলবে নাকি ওদের সাথে মজার খেলা বউচি?

ছি ছি মা, এসব কী!
হাতে পায়ে ময়লা
গায়ে তারা মাখছে নাকি চুলোর কালো কয়লা?
খেলবো আমি মোবাইল খুলে
ভীষণ মজার গেরিলা।

ধুত্তেরি বোকা ছেলে খেলো তবে হা-ডু-ডু
সন্ধ্যা হলেই চাচি তোমায় খেতে দেবে লাড্ডু
খেলতে পারো লাটিম খেলা ডাংগুলি আর চোর পুলিশ
ইচ্ছে হলেই বলতো পারো এবার তবে ডিসমিস!

খেলবে নাকি ইচিং বিচিং
ওপেন টু বাইস্কোপ
খেললে তুমি লুকোচুরি
থাকতে হবে চুপ!
খেলবে তুমি কড়ি খেলা
কুতকুত  ও গোল্লাছুট
খেলতে পারো টোপাভাতি
পরতে পারো রাজমুকুট
পুতুল খেলা  বিয়ের খেলা
আরো মজার ফুল টোকা
মোরগ লড়াই পানিঝুপ্পা
চমৎকার এক্কাদোক্কা
এই যে তোমার সাহেব বাবা
দেখছে যে মানুষটি
এলাটিং বেলাটিং
খেলতো আরো ষোল গুটি।
এসব তুমি কই পাবে ঐ
ইট পাথরের শহরে
এই গাঁয়েই তোর দাদা-দাদি
শুয়ে মাটির কবরে।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post