তোমার হাত ধরে উঠেছিলাম,
লালমাই পাহাড়ের চূড়ায়
সবুজ দিগন্ত মিশে গেছে,
আকাশের দূর নীলিমায় ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতায়,
বলেছিলাম তোমায়- রেখে যাব,
এখানে শুধু, তোমাকে মানায় ।
কাজল দেয়া তোমার হরিণী দুটি চোখ-
কপালে সবুজ টিপ যেন,
নান্দনিক করেছে তোমার মুখাবয়ব ।
নীলাম্বরী শাড়ির আচল-
তোমার উড়ছে বাতাসে-
মেঘের ভেলায় ভেসে কখন যেন,
হারারিয়ে যাও দূর আকাশে ।
সারারাত জেগে খুঁজবো আমি,
আকাশের ঐ তারাদের ভিড়ে,
অবশেষে, বুকের ভেতর,
খুঁজে পাবো তোমায়,
প্রেমের নীড়ে ।
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা এলো -
আকাশে ফুটল জ্যোৎস্নার আলো।
রাতের আলোয় তুমি,
বদলে গেলে,
অপরূপা চাঁদ হয়ে সামনে এলে ।
যা ছিল লুকানো বুকে, ধরলে তা মেলে,
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে , হেঁটে চললে ।
সময় পেরিয়ে গেল,
স্রোতের মতন,
আমাকে বললে চলো,
ফিরবো এখন ।
পাহাড়ের খাদ বেয়ে নামছি যখন ,
বললে, বুকের ভিতর করছে জ্বালাতন ।
পাহাড়ের পাদদেশে. আমার কোলের উপর-
মাথা রেখে ঘুমালে তুমি, শরীর নিথর ।
নিঃশ্বাস নিলে না আর, তোমার বুকে-
পাথর হয়ে গেলাম,
তোমার শোকে ।
ঝাপসা চোখে আমি,
চারিদিকে চাই-
প্রকৃতির মাঝে,
তোমায় খুঁজে না পাই ।
অমায় ছেড়ে তুমি –
না ফেরার দেশে,
করেছ প্রস্থান
আমুত্যু বেঁচে রাবে তুমি-
মোর বুকে, মৃত্যুহীন প্রাণ ।