কারো স্বপ্ন কেড়ে কে কাজলে চোখ টান টান করে? কার ভালোবাসা নিয়ে কে মন সাজায়? কার বুক ভেঙে কে ইটের পশরায় নতুন বাড়ি বানায়? আরো অনেক প্রশ্ন শ্রাবণীর মনটাকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়।কিছু প্রশ্ন কাউকে করা যায়না।বেদনার ভার শেয়ার করা যায়না। আবার ভেতরে থাকা গুমোট কষ্ট বৃষ্টি হয়ে ভাসিয়ে দেয় বুকের উঠোন। এতো কাছে থাকা মানুষগুলো টের পায়না একজন মানুষের ভীতরে কতটা দহন হলে পুড়তে পুড়তে নিরব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। শ্রাবণীর সাথে সম্পর্কটা যেন কোন কিছুর সাথেই তুলনা করা যায়না।বুকের সাথে মিশে থাকা শীতল এক সম্পর্কের নাম শ্রাবণী। ওকে অবিশ্বাস করা মানেই দীপার মৃত্যুর আরেক নাম। তাই একদিন গল্পের ছলে বলেই দিয়েছিলো রুপকের সাথে তার সম্পের্কর কথা। ভাব সম্প্রসারণের মতো রুপকের গুণগুলি সে বিশ্লেষণ করেছিলো। বোঝেনি শকুণী চোখ বয়ে বেড়ানো শ্রাবণীর চোখ আটকে গেছে রুপকের মোহে।পুরোটাই গ্রাস করে নেয় রুপককে। রুপকও আটকে যায় শ্রাবণীর রুপে আর গল্পের জালে। ঠিক যেন জাটকা ধরা জাল।দীপাকে নিজ থেকে সরে আসতে হয়নি বাধ্য করা হয়েছে।দুজনের মাঝখান থেকে বের হয়ে আসার। ভীষন মন খারাপ হলে দীপা নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে। ভালোবাসায় প্রাধান্য পায় কোনটি রুপ নাকি গুণ ? যে প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যায়।