মাথাটা ভীষণ ঝিমঝিম করছে।শরীর অবশ হয়ে আসছে ক্রমশ। সদ্য মিনিট দশেক আগে ঘটে গেল জীবনের অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা।সেই ঘটনায় নিজেকে কেন জড়ালাম?
এই বিকৃত চিন্তা তো আমার মাথায় আসার কথা না।
কেন বন্ধুদের কথায় ভুলে গেলাম, আমি
কে?
কেন একটা নারী শরীরে হঠাৎ সাময়িক ভোগের বায়না মাথায় চেপে বসলো !
কেন জোর পূর্বক একটা মেয়েকে টেনে হিচড়ে লোকচক্ষুর আড়াল করে আমরা সবাই তার শরীরে থাবা বসালাম।
কেন তার পবিত্র শরীরে নরপশুর মতো বিকৃত ক্ষুধা মেটাতে হিংস্র হয়ে উঠলাম প্রবল।
তার বুকে কাঁপা হাতে হাত দিতে গিয়ে চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার।
বিবেক শেষ চেষ্টায় যে দেয়াল তুলে দিয়েছিলো নিজেকে ফেরানোর সুযোগ হিসেবে, কোন প্রলোভনে পা দিয়ে সে দেয়াল টপকে আমি স্ব আত্মাকে কলুষিত করলাম।
সেও তো একজন মেয়ে,
তার দৈহিক গড়নের মতো দুটো নারী তো আমারো আছে, আমার মা -
আমার আদরের ছোট বোন।
এই ক'টা মিনিটের মধ্যে আমি এমন একজন হিসেবে উপস্থিত হলাম যাকে পুরো পৃথিবী
বিতাড়িত করতে চাইছে,
চারপাশ থেকে তীব্র কন্ঠের আওয়াজ ভেসে আসছে,
ঐ দেখ ধর্ষক
ওকে পাথর নিক্ষেপ করে মার,
ওর কোন ঠাঁই নেই এ সমাজে।
আমার জন্য এখন আমার বাবা-মাকে
সবাই অপমান করবে।
ধর্ষকের বাবা, মা এবং বোন বলে সবাই গালি দিবে।
আমাকে ধরার জন্য হন্য হয়ে খুঁজবে পুলিশ।
ফেইসবুক, সংবাদ মাধ্যম গুলোতে আমায় নিয়ে লেখা হবে প্রতিবাদ/বিচারের সম্মুখীন করে ফাঁসিতে ঝুলানোর কলাম।
আমার পাপের দায় আমার পরিবার বহন করবে !
এতোদিন ধরে প্রিয় ভাবা মানুষগুলো একটু পরই হয়তো আমাকে ঘৃণা করা শুরু করবে।
এ সুস্থ সমাজের মাঝে, অসুস্থ মানষিকতার আমার ঠাঁই নেই।
আমার আত্মহত্যার সংবাদে ছেয়ে যাক এ শহর।
ছড়িয়ে পড়ুক স্লোগান দেশের সব অলি-গলি,
"ধর্ষকের কোন জায়গা নেই এ সমাজে"
#Rapist must be raped also