হেমন্তের দিনগুলো মাঠের খুশীর
মাঠে মাঠে সোনালি ধানের শিস সড় সড় করে
বাতাসে বাতাসে নাচে ধান যেন শ্রমের মোহর
আধপাকা দুধ-শিসগুলো ফিসফিস গল্প করে
বাতাসের সাথে, স্বপ্ন দ্যাখে তারাও মোহর হবে দ্রুত
মাঠের খুশীরা সব হৃদয়ে হৃদয়ে দ্রুত সঞ্চারিত হয়।
হিমের আমেজ নামে শিশিরে শিশিরে
ঘাসে ঘাসে জ'মে থাকে বিন্দু বিন্দু হিম
টুপটাপ ঝ'রে পড়ে গাছ থেকে পাতাদের থেকে
শীত আগন্তুক প্রায় , শিশুমন ডাকে--- ধান কুড়াতে যাবো---
নবান্নের পরব হবে পায়েস পিঠেপুলি ধুকি।
প্রকৃতির আনন্দ আজ অনন্ত অসীম
দ্রিমদ্রিম বোল তোলে সাঁওতালী মাদল
মনে দোলা দ্যায় মুগ্ধ আনন্দের নাচ
ধিতাং তিতাং তাং কোমর দোলায় কৃষ্ণ রূপসীরা,
উপোসীর জঙ্গলমহলে দোলে বনের বিভাস
মনে মনে ছড়ায় সেই বুনো বিহ্বলতা
এতো ধান এতো সুর আনন্দ থমকায় তবু
শীতের বুড়ীর থুথ্থুরে কাঁথায় কুটীরে---
সুখ কি শরম পায় গরীব গুর্বোর ঘরে যেতে ?
কাঠকুঠো লকড়ি জ্বেলে কতোগুলি জিরজিরে দেহ
আগুন পোহায় বনের উঠোনে আর রাঙা মুখচোখে
হাততালি দ্যায় শূণ্যে, বেরহম শীতকে ভাগায়
তুড়ি মেরে
ওদের বনভোজন প্রতিদিন, প্রতিদিন নবান্ন পায়েস
যা পায় তাতেই, পায় না কখনো অবিরল স্বচ্ছলতার আয়েস