"যাহোক, কীভাবে প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন বাংলার শাসকেরা প্লাবন-সেচ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, তা আজ আমি আপনাদের দেখাবার সুযোগ পেয়েছি। আপনারা সুযোগ দিলে এও দেখাব যে, কীভাবে গঙ্গা ও দামোদর নদীর বদ্বীপে সেই পদ্ধতি আবার চালু করলে মধ্য ও পশ্চিমবঙ্গ একসময়ে যে সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য উপভোগ করতো, তা আবার ফিরে আসতে পারে। এতে করে মধ্যাঞ্চলের সমভূমির ওপর দিয়ে পর্ববঙ্গের সম্পদই কেবল পরিবাহিত হয়ে আসবে না, আবার তারা তাদের রাজধানীতে সম্পদের জোগানও দিতে পারবে।
গাঙ্গেয় বদ্বীপ মিশরের মত অনাবৃষ্টির দেশ নয়, কিংবা নয় ব্যাবিলনের মতো ঊষর ও তৃষিত অঞ্চল। এখানে ৫০ থেকে ৬০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হলেই সবক'টি নদীতে বন্যা আসে। (এ অবস্থায়) গঙ্গা ও দামোদরের বন্যার পলি সমৃদ্ধ পানি ও মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বিপুল পানির পূর্ণ ব্যবহারের দরকার ছিল। বাংলার আদিযুগের কতিপয় রাজা তখন প্লাবন-সেচ পদ্ধতির উদ্ভাবন ও প্রচলন ঘটায়। এটাই শত শত বছরের জন্য বাংলার সম্পদ ও সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা এনে দিয়েছিল। অববাহিকা-সেচ যেমন মিশরের জন্য, স্থায়ী-সেচ যেমন ব্যাবিলনের জন্য একদম মোক্ষম ছিল; তেমনি বাংলার জন্য উপযুক্ত ছিল এই প্লাবনসেচ ব্যবস্থা। "
-বাংলার নিজস্ব সেচব্যবস্থা, উইলিয়াম উইলকক্স, অনুঃ ফারুক ওয়াসিফ
-ঊষর মরু ইরাক আর অনাবৃষ্টির দেশ মিশর যদি উন্নত হতে পারে, নদী আর বৃষ্টির দেশ আপনার সেখানে হবে না কেন? এই চিন্তা বুকে বাজে না?
আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কোন বই পড়েন তাহলে? লক্ষ লক্ষ কপি ছড়াতে হবে। হার্ড কভার ৩০০৳ ও পেপার ব্যাক ২০০৳। ৫ কপি কিনুন, ৫০% কমিশন নিন। কুরিয়ার চার্জ ৬০ টাকা। সাথী হোন।
01717-727148