সময়ের নিয়ম মেনেই -
জীবন থেকে পঁচিশটা বছর চলে গেলো
ঠিক যেমন নদীর গতি বাঁধা মানে না
বাঁধ ভেঙে নূতন এক পথের তৈরি করে
অতিক্রান্ত দিনগুলোও এমনি করে চলে গেলো
পেছনে তাকানোর অবসর ছিলো না।
কোন গহ্বরে কিভাবে লুকালো, কেন লুকালো
এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিলো না এতদিন
ঠিক যেন দুটো অন্ধকার যুগ পাড়ি দিলাম
এতদিন কোনো আলো পড়েনি চোখে
আমাকে মুগ্ধ করতে পারে এমন
দৃশ্যেরও সম্মুখীন হতে পারি নি
দুচোখে খেলা করবে এমন স্বপ্নও বোনা হয়নি।
এরপর হঠাৎ করে বিরামচিহ্ন এটে বসলো
আমার পঁচিশ বছরটাকে কেন্দ্র করে।
অতপর বিদ্যুৎ গতিতে এক আলোকচ্ছটায়
তোমার আগমন ঘটলো আমার জীবনে
অন্ধকারে পুড়ে যাওয়া দিনগুলোর অবসান হল
ভস্মিত ছাইগুলোও উড়িয়ে দিলাম আকাশে।
এবার সুখী হবার কথা ছিলো আমার, অথচ
অচেনা অদ্ভুত এক চাপা কষ্ট চেপে আছে
আমার সমস্ত ভাবনা জুড়ে,অস্তিত্ব জুড়ে
এ কষ্ট সময় ফুরানোর কষ্ট, আপন হারানোর শঙ্কা।
কষ্ট থেকে পালাতে চাই কিন্তু হচ্ছে কোথায়?
পূর্বের পঁচিশ বছরের বিপরীতে চলছে সময়
এই তো সেদিন তিনবার কবুল বলতেই,
তোমার হাতে হাত রাখার অনুমতি মিললো
রাতের পর রাত জেগে গল্প করায় আর বাঁধা নেই।
লাগামহীন স্মৃতিচারণ চলছিলো আমাদের
তখনই মেঘমুক্ত আকাশ ছেয়ে গেলো
চিন্তিত নিকশকালো মেঘমালায়
মৃত্যুর মত জড়তায় থরথর কাপতে থাকলো
সমস্ত দেহ।
মুহূর্তের মত তোমার দিকে তাকাতে তাকাতেই
কেটে গেলো বিবাহিত জীবনের পঁচিশটি বছর।
বাকি দিনগুলোও কেটে যাবে কালের নিয়মে
তুমি খেয়ালে নিয়ো অনাগত দিনগুলোকে
যত্ন নিয়ো আমার, যেভাবে যত্ন নিতে হয় পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের।