মানুষের শরীরের পানি লবণাক্ত-
কান্নার জল, দেহ ঝরা ঘাম এবং রক্তের স্বাদ- সবই।
সমুদ্রের জলও লবণাক্ত, তাই অজানা প্রবৃত্তি মানুষকে-
বারবার টেনে নিয়ে যায় সমুদ্র কিংবা নদীর কাছে।
যদিও নদী ও সমুদ্র এক নয়, পৃথক বৈশিষ্ট্য আছে।
যারা সমুদ্রের কাছে যেতে পারে না-
তারা ছুটে যায় নদীর কাছে,নদীতেই খোঁজে-
সমুদ্রের জলের লবণাক্ততা, খোঁজে নীল জল।
কোন কোন কবির কবিতার উপমায় কিংবা তুলনায়
কবিতার পংক্তিমালায় নারী যদিও হয়ে ওঠে নদী।
একজন নারীর চোখে সমুদ্র খুঁজতে গিয়ে
ওর চোখের কৃত্রিম জল দেখে ভেবেছিলাম,
সত্যিই বুঝি সমুদ্র ও নদীর মাঝে-
লবণাক্ততার অদৃশ্য কোন মেলবন্ধন আছে।
ওর চোখে চোখ রেখে দেখলাম-
ওর হৃদয়ে সমুদ্রের মতোই গভীরতা আছে,
বুঝলাম, ওর চোখের জলেও লবণাক্ততা আছে।
কিন্ত বিশাল এক পার্থক্য খুঁজে পেলাম,
সমুদ্রের জল নীল আর ওর চোখের জল ঘোলাটে।
সমুদ্রের বিশালতা সীমাহীন আকাশ ছুঁয়ে যায়
কিন্ত ওর হৃদয় নদীর মতোই ছোট ও বহমান।
ওকে সমুদ্র ভেবে, আমি তাই ভুল করলাম,
কারণ ও আমাতে স্থির থাকল না।
একদিন নদীর জলের মতোই বয়ে গেল অজানায়,
অবশেষে বুঝলাম, ওর রক্ত লাল ও রং টা ঘোলাটে বলেই-
ও মানুষ, অতি সাধারণ মানুষ।
আর মানুষ বলেই, ওর চোখের জলে প্রতারণা আছে,
মানুষ বলেই, নদীর জলের মতো রং বদলায় প্রতিনিয়ত।
ও চিরকালই নদী- বদলে যাওয়া নদী,রং বদলানো নদী,
তাই আমৃত্যু ও বেঁচে থাকবে আমার হৃদয়ে-
নদী হয়ে- সমুদ্র হয়ে নয়।
উপলব্ধিতে আমার কবিতার পংক্তিমালায় লিখে যাব
নারী সব সময়ই নদী, কখনই নারী সমুদ্র হতে পারে না।