শেষ দীর্ঘশ্বাস।। আতিক মেসবাহ্ লগ্ন


শীতকাল। পড়ন্ত বিকেল। লোকাল বাসে যাচ্ছি। 

ডানদিকে স্যুট-টাইওয়ালা এক ভদ্রলোক ও তাঁর ছয়-সাত বছর বয়সী মেয়ে বসে। বুঝলাম বিপদে পড়েই লোকাল বাসে উঠেছেন।


দুজন হকার পত্রিকা বিক্রি করছেন।

-প্রথম আলো, যুগান্তর, কালের কন্ঠ...

-ডিসেম্বর, কারেন্ট ডিসেম্বর।


ভদ্রলোক মুঁচকি হেসে তাঁর মেয়েকে বলছেন,

-মামনি, এরা হকার। খুব দ্রুত কথা বলছে। তাই না?

-আচ্ছা বাবা, পত্রিকায় কি লেখা থাকে?

-মামনি, সুন্দর গল্প, কবিতা, ছড়া।

-তাহলে, বড় হয়ে আমি পত্রিকার দোকান দিব।

শখ করে শুরু করা কথোপকথন এভাবেই চলতে লাগল।


পেছনের সিটে বসে থাকা শিক্ষিত, বেকার ছেলেটি ফুলশার্টের হাতায় চোখের কোটরের জল মুছে, খাঁকি রঙ্গের পুরাতন, ফর্মাল প্যান্টের পকেট থেকে ঘাঁমে ভেঁজা দশ টাকার একটা নোট বের করে দীর্ঘশ্বাসে বললেন,

-মামা, একটা চাকুরীর পত্রিকা দ্যান....!

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post